ছবি: সংগৃহীত
অন্তর্বর্তী সরকারের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান ১৯শে নভেম্বর দিল্লি যাচ্ছেন। ভারত মহাসাগরের পাঁচটি দেশের সমন্বয়ে গঠিত কলম্বো সিকিউরিটি কনক্লেভের সম্মেলন ২০শে নভেম্বর দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হবে। ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের আমন্ত্রণে দুই দিনের সফরে দিল্লি যাচ্ছেন খলিলুর রহমান।
সরকারের দায়িত্বশীল একটি সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমানের দিল্লি সফরের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছে। ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের একটি সূত্র জানায়, খলিলুর রহমানের দিল্লি সফরে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে। তবে তা এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়নি।
জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান কেন হঠাৎ দিল্লি সফরে যাচ্ছেন—এমন প্রশ্ন তুলেছেন সাবেক সংসদ সদস্য ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক গোলাম মাওলা রনি। তিনি বলেন, ‘সংবাদমাধ্যমে বলা হচ্ছে যে, ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের আমন্ত্রণে খলিলুর রহমান দিল্লি যাচ্ছেন। এটা কোনো দ্বিপক্ষীয় বৈঠক না।’
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে দেওয়া ভিডিওবার্তায় রনি বলেন, ‘বাংলাদেশের জন্য এই বৈঠকটি বিভিন্ন কারণে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, শেখ হাসিনা পরবর্তী বাংলাদেশে এই প্রথমবারের মতো ভারতীয় কর্মকর্তার আমন্ত্রণে এই সফর হচ্ছে। এ ছাড়া দিল্লিতে পরপর দুই দফা সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। স্পষ্টতই এর জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করছে ভারত।'
তিনি বলেন, 'আর পাকিস্তানের হাত ধরে বাংলাদেশকে ফুটপ্রিন্ট হিসেবে পাকিস্তানের জঙ্গি গোষ্ঠী ব্যবহার করছে বা করতে পারে বা করা হবে এরকম একটা ধোঁয়া তুলে, অভিযোগ তুলে বাংলাদেশের সরকারকে নাস্তানাবুদ করার জন্য যে দিল্লির প্ল্যান; সেই সময়ে খলিলুর রহমানের এই বৈঠক নিঃসন্দেহে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।'
তিনি বলেন, ‘আমি শুধু সম্ভাবনা এবং সংখ্যার কথাগুলো বলছি। আপনারা সবাই জানেন যে পাকিস্তান নৌবাহিনীর প্রধান বাংলাদেশ সফর করেছেন। আর স্বাধীনতার পরে এই প্রথম পাকিস্তানি নৌবাহিনীর কোনো জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে নোঙর করেছে। এটি যেকোনো কারণে ভারতের মাথাব্যথার কারণ। যেকোনো বিচারে এটি ভারতের চক্ষু চড়কগাছ হওয়ার জন্য যথেষ্ট। এটি দিল্লি স্বাভাবিকভাবে নেয়নি।’
‘এরপর পাকিস্তানের জেনারেলদের ঘন ঘন বাংলাদেশ ভ্রমণ এবং বিশেষ করে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি তিনি বাংলাদেশ ভ্রমণ করে গেছেন। অন্যদিকে হঠাৎ করে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনাকে ভারত যেভাবে প্রমোট করছে এবং যেভাবে ভারতের মদদে সর্বশক্তি নিয়োগ করে বিশ্ব মিডিয়াতে শেখ হাসিনাকে তুলে ধরা হচ্ছে; এর অর্থ ভারত বাংলাদেশের যেকোনো বিষয়কে অন্য আন্তর্জাতিক যেকোনো বিষয়ের চাইতে গুরুত্ব দিচ্ছে’- যোগ করেন তিনি।
রনি বলেন, ‘বাংলাদেশের পক্ষ থেকে যা বলা হোক বা না হোক, কিন্তু ভারতের পক্ষ থেকে এগুলো চুলচেরা বিশ্লেষণ করা হবে। তাদের কূটনৈতিক চ্যানেলগুলো তাদের সরকারি যারা কর্তৃপক্ষ রয়েছে তারা এবং একই সঙ্গে ভারতীয় মিডিয়া আর আওয়ামী লীগের যারা লোকজন আছেন, তারা তো মোটামুটি প্রচার করার জন্য একেবারে উন্মুখ হয়ে বসে আছেন। তো দেখা যাক, কত ধানে কত চাল হয়, কোথাকার চাঁদ কোথায় উঠে আর কোথাকার সূর্য কোথায় গিয়ে অস্ত যায়।’
খবরটি শেয়ার করুন