শুক্রবার, ৫ই ডিসেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২১শে অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** কলকাতায় পাঁচ জেএমবি সদস্যের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড *** নির্বাচনে সহায়তা নিয়ে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোকে ব্রিফ করল জাতিসংঘ *** কাফু–ক্যানিজিয়ার সঙ্গে ঢাকায় নৈশভোজের সুযোগ *** নতুন গণমাধ্যম নীতি নিয়ে আপত্তি, পেন্টাগনের বিরুদ্ধে নিউইয়র্ক টাইমসের মামলা *** প্রধান উপদেষ্টাকে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর ফোন, বন্যায় সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা *** খালেদা জিয়াকে নিয়ে নির্মিত সরকারি ডকুমেন্টারি প্রকাশ *** একটি মানবশিশুকে যেভাবে পাহারা দিলো চারটি কুকুর *** অনিবার্য কারণ ছাড়া বিএনপি নির্বাচনি মাঠে থাকবে: নজরুল ইসলাম খান *** নিবন্ধন পাচ্ছে ‘আমজনতার দল’, প্রতীকের বিষয়ে যা জানা গেল *** এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আসতে দেরি হতে পারে, জুবাইদা রহমান ঢাকায় আসছেন

অল্প বয়সে হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধে যা করবেন

লাইফস্টাইল ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০১:৫০ অপরাহ্ন, ১৭ই ফেব্রুয়ারি ২০২৪

#

ছবি : সংগৃহীত

বর্তমান বিশ্বে হার্টের অসুখ কেবল বয়স্কদের সমস্যা নয়, বরং অনেক অল্প বয়সীর ভেতরেও এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। হার্ট অ্যাটাকের কারণে অনেকে কম বয়সেই মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়ছেন। তাই মানসিক চাপ, পরিশ্রমহীনতা এবং অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন থেকে দূরে থাকতে হবে। একটি কর্মঠ দিন ও সুস্থ জীবনযাপন আপনাকে শুধু হার্টের অসুখই নয়, আরও অনেক অসুখ থেকে দূরে রাখবে। কম বয়সীরা হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধে কী করবেন, চলুন জেনে নেওয়া যাক-

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ

উচ্চ রক্তচাপ লুকিয়ে থাকা একটি নীরব ঘাতক। এর থেকে বাঁচতে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ এবং চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলা জরুরি। রক্তচাপ স্বাস্থ্যকর সীমার মধ্যে রাখতে পারলে তা হৃদরোগ এবং সম্ভাব্য কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের ঝুঁকি কমিয়ে দেবে। তাই এদিকে খেয়াল রাখুন। এতে সুস্থ থাকা সহজ হবে।

কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ

খারাপ কোলেস্টেরলের (LDL) বিরুদ্ধে লড়াই হার্ট ভালো রাখার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত ব্যায়ামের সাথে হার্ট-ফ্রেন্ডলি ডায়েট গ্রহণ করুন। কখনও কখনও ওষুধের প্রয়োজন হতে পারে, সেক্ষেত্রে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মেনে চলুন। তবে জীবনযাপনের ধরন পরিবর্তন করে আপনি এক্ষেত্রে বেশি লাভবান হবেন।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ

ডায়াবেটিস এবং হৃদরোগ একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কিত। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, নিয়মিত পর্যবেক্ষণ এবং চিকিৎসা নির্দেশনার মাধ্যমে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। এটি কার্ডিয়াক জটিলতার ঝুঁকি অনেকাংশে কমিয়ে দিতে পারে। যে কারণে হার্ট অ্যাটাক থেকে দূরে থাকা সহজ হয়।

আরো পড়ুন : হার্টবিট গুণেই বুঝে নিন শরীরের সুস্থতা

সক্রিয় থাকুন

ব্যায়াম শুধু দেখতে সুন্দর নয়; এটি সুস্থ থাকা এবং হৃদযন্ত্রকে শক্তিশালী রাখার ক্ষেত্রেও কার্যকরী। আপনার রুটিনে অ্যারোবিক ক্রিয়াকলাপ এবং শক্তি প্রশিক্ষণ উভয়ই যুক্ত করার অভ্যাস করুন। এটি কেবল আপনার হৃদযন্ত্রকে উপকৃত করবে না, সেইসঙ্গে সামগ্রিক স্বাস্থ্যও ভালো রাখবে।

স্বাস্থ্যকর খাবার খান

আমরা আমাদের শরীরকে যে জ্বালানি সরবরাহ করি তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রক্রিয়াজাত এবং চর্বিযুক্ত খাবারের বদলে পুষ্টিকর খাবার বাছাই করুন। আপনি যা খাচ্ছেন সে সম্পর্কে সচেতন হোন। দীর্ঘ পথ চলার জন্য আপনার হৃদয় এবং শরীরকে পুষ্ট করুন। তাই আজ থেকে খাবারের তালিকায় নিয়ে আসুন পরিবর্তন। সুস্থ রাখতে সহায়ক সব খাবার যুক্ত করুন আপনার খাবারের তালিকায়।

স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখুন

অতিরিক্ত ওজন হৃদপিন্ডে অযথা চাপ সৃষ্টি করে এবং কার্ডিয়াক সমস্যার ঝুঁকি বাড়ায়। সুষম খাদ্য এবং নিয়মিত ব্যায়ামের মাধ্যমে ওজন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করুন। এতে আপনার হার্ট ভালো থাকবে। তাই এদিকে নজর দিন। আপনার জন্য উপযুক্ত ওজন কত তা বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে জেনে নিন।

মানসিক চাপ দূর করুন

দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপ হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যের জন্য একটি নীরব ঘাতক। আপনার দৈনন্দিন রুটিনে মেডিটেশন, যোগব্যায়াম বা শখের কাজের মতো মানসিক চাপ-হ্রাসকারী চর্চাগুলো যোগ করুন। অ্যালকোহল গ্রহণের অভ্যাস থাকলে তা বাদ দিন। কারণ এটি আপনার কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেমকে ধ্বংস করতে পারে।

এস/ আই. কে. জে/ 

হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধ

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250