শুক্রবার, ৫ই ডিসেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২১শে অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** আড়াই ঘন্টা বাইরে থেকে খাঁচায় ফিরল সিংহী ডেইজি *** ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন না হওয়ার কোনো কারণ দেখছেন না তিনি *** খালেদা জিয়ার জন্য জার্মানি থেকে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স পাঠাচ্ছে কাতার *** প্রধান উপদেষ্টা ও আইন উপদেষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞতা মাহফুজ আনামের *** প্রসাধনী শিল্পে ব্যবহৃত তেলের জন্য হাঙর শিকার, বিলুপ্তি ঠেকাতে বৈশ্বিক উদ্যোগ *** শেখ হাসিনাকে ফেরতের ব্যাপারে এখনো ইতিবাচক সাড়া দেয়নি ভারত: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা *** ‘তারেক রহমান যাকে ইচ্ছা তাকে প্রধান উপদেষ্টা বানাতে পারতেন’ *** শারীরিক অবস্থা ঠিক থাকলে রোববার খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নেওয়া হবে *** চিকিৎসকেরা নিশ্চিত করলেই খালেদা জিয়াকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তোলা হবে: মির্জা ফখরুল *** লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধারে সরকারের ব্যর্থতা নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ঢাকার বিভিন্ন এলাকার নামকরণের মজার ইতিহাস

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১২:০১ অপরাহ্ন, ৭ই জুন ২০২৪

#

ছবি : সংগৃহীত

স্বাধীন বাংলাদেশের রাজধানী হওয়ার পূর্বে ঢাকা ১৬১০, ১৬৬০, ১৯০৫ ও ১৯৪৭ সালে মোট চারবার বাংলার রাজধানীর মর্যাদা পায়। এই অপূর্ব ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানের রয়েছে লুকিয়ে থাকা রূপ, রয়েছে নামকরণের মজার ইতিহাস। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক ঢাকার বিভিন্ন এলাকার নামকরণের সেই ইতিহাস।

ভুতের গলি

এখানে বৃটিশ একজন লোক থাকতেন নাম ছিল Mr. boot, তার নাম থেকে বুটের গলি, পরবর্তীকালে ভুতের গলি নাম হয়েছে। 

এলিফ্যান্ট রোড

পিলখানা হতে হাতিগুলোকে নিয়ে যাওয়া হতো "হাতির ঝিল" এ গোসল করাতে, তারপর "রমনা পার্ক" এ রোদ পোহাতো। সন্ধ্যের আগেই হাতির দল পিলখানায় চলে আসতো। যাতায়াতের রাস্তাটির নামকরণ সেই কারণে এলিফ্যান্ট রোড। পথের মাঝে ছোট্ট একটি কাঠের পুল ছিলো, যার নামকরণ হলো "হাতির পুল"

ধানমন্ডি

এখানে এককালে বড় একটি হাট বসতো। হাটটি ধান ও অন্যান্য শস্য বিক্রির জন্য বিখ্যাত ছিল।

গেন্ডারিয়া 

ইংরেজি শব্দ Grand Area থেকে এসেছে। এখানে আগের দিনের অভিজাত ধনী ব্যক্তিরা থাকত। 

মহাখালি

মহা কালী নামের এক মন্দিরের নাম থেকে হয়েছে বর্তমানের মহাখালী।

ইন্দিরা রোড

এককালে এ এলাকায় "দ্বিজদাস বাবু" নামে  এক বিত্তশালী ব্যক্তির বাসস্থান ছিল। অট্টালিকার পাশের সড়কটি নিজেই নির্মাণ করে বড় কন্যা "ইন্দিরা"র নামেই নামকরণ করেন।

পিলখানা

ইংরেজ শাসনামলে প্রচুর হাতি ব্যবহার করা হতো। বন্য হাতিকে পোষ মানানো হতো যেসব জায়গায়, তাকে বলা হতো পিলখানা। বর্তমান "পিলখানা" ছিলো সর্ববৃহৎ।

কাকরাইল

ঊনিশ শতকের শেষ দশকে ঢাকার কমিশনার ছিলেন মি. ককরেল। নতুন শহর তৈরি করে নামকরণ হলো "কাকরাইল"।

রমনা পার্ক

অত্র এলাকায় বিশাল ধনী রম নাথ বাবু তৈরি করেছিলেন "রমনা কালী মন্দির"। মন্দির সংলগ্ন ছিল ফুলের বাগান আর খেলাধুলার পার্ক। পরবর্তীতে সৃষ্টি হয় "রমনা পার্ক"।

আরো পড়ুন : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঐতিহ্যবাহী পুতুল নাচের ইতিবৃত্ত

গোপীবাগ

গোপীনাগ নামক এক ধনী ব্যবসায়ী ছিলেন। নিজ খরচে "গোপীনাথ জিউর মন্দির" তৈরি করেন। পাশেই ছিল হাজারো ফুলের বাগান "গোপীবাগ"।

টিকাটুলি

হুক্কার প্রচলন ছিল। হুক্কার টিকার কারখানা ছিল যেথায় সেটাই "টিকাটুলি"।

তোপখানা

ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির গোলন্দাজ বাহিনীর অবস্থান ছিল এখানে।

পুরানা পল্টন, নয়া পল্টন

ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ঢাকাস্থ সেনানিবাসে এক প্ল্যাটুন সেনাবাহিনী ছিল, প্ল্যাটুন থেকে নামকরণ হয় পল্টন। পরবর্তীতে আগাখানিরা এই পল্টনকে দুইভাগে ভাগ করেন। নয়া পল্টন ছিল আবাসিক এলাকা আর পুরানো পল্টন ছিল বাণিজ্যিক এলাকা।

পরীবাগ

পরীবানু নামে নবাব আহসানউল্লাহর এক মেয়ে ছিল। সম্ভবত পরীবানুর নামে এখানে একটি বড় বাগান করেছিলেন আহসানউল্লাহ।

পাগলাপুল

১৭ শতকে এখানে একটি নদী ছিল, নাম-পাগলা। মীর জুমলা নদীর উপর সুন্দর একটি পুল তৈরি করেছিলেন। অনেকেই সেই দৃষ্টিনন্দন পুল দেখতে আসত। সেখান থেকেই জায়গার নাম "পাগলাপুল"।

ফার্মগেট

কৃষি উন্নয়ন, কৃষি ও পশুপালন গবেষণার জন্য বৃটিশ সরকার এখানে একটি ফার্ম বা খামার তৈরি করেছিল। সেই ফার্মের প্রধান ফটক বা গেট থেকে এলাকার নাম হলো ফার্মগেট।

শ্যামলী

১৯৫৭ সালে সমাজকর্মী আব্দুল গণি হায়দারসহ বেশ কিছু ব্যক্তি এ এলাকায় বাড়ি করেন। এখানে যেহেতু প্রচুর গাছপালা ছিল তাই সবাই মিলে আলোচনা করে এলাকার নাম রাখেন শ্যামলী।

সূত্রাপুর

কাঠের কাজ যারা করতেন তাদের বলা হতো সূত্রধর। এ এলাকায় এককালে অনেক সূত্রধর পরিবারের বসবাস ছিল। সেই থেকেই জায়গার নাম হলো সূত্রাপুর।

সূত্র : সংগৃহীত

এস/ আই.কে.জে/

ঢাকা ইতিহাস

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250