রবিবার, ৯ই নভেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৪শে কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** ১৫ জেলায় নতুন ডিসি *** জাহানারার যৌন হয়রানির অভিযোগ: তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন *** খালেদ মুহিউদ্দীনের ইংরেজি জ্ঞান নিয়ে উদ্বেগ কেন? *** প্রধান উপদেষ্টা আহ্বান জানালে আমরা যাব, অন্য দলকে দিয়ে আহ্বান কেন: সালাহউদ্দিন *** দেশের ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে ভারতের অবস্থান কী *** কারও দলীয় স্বার্থ বাস্তবায়ন করা এই সরকারের কাজ নয়: তারেক রহমান *** রাজশাহীর প্রশংসা উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের, এড়িয়ে গেলেন নির্বাচন প্রসঙ্গ *** আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান নিতে হবে: শফিকুল আলম *** দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক অবস্থা স্থিতিশীল: বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর *** আওয়ামী লীগের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাচ্ছে আমেরিকা, ইউরোপ!

গার্মেন্টস শ্রমিকদের স্বস্তি দেবে টিসিবি পণ্য

সম্পাদকীয়

🕒 প্রকাশ: ০৪:২৭ অপরাহ্ন, ৪ঠা অক্টোবর ২০২৪

#

ছবি- সংগৃহীত

গত ১লা অক্টোবর থেকে দেশের ৪০ লাখ পোশাক শ্রমিককে সরকারি বাজার নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা টিসিবির (ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ) ভর্তুকি মূল্যের পণ্যসামগ্রী প্রদানের কার্যক্রম চালু হয়েছে। টিসিবির আওতায় শ্রমিকরা পাচ্ছেন ভোজ্যতেল, ডাল, চিনি ও চালসহ নিত্যপণ্য।

দেশের প্রধান রপ্তানি খাতের বিপুল সংখ্যক পোশাক শ্রমিকদেরকে ন্যায্যমূল্যে পণ্য সরবরাহের সিদ্ধান্ত  নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। গুরুত্বপূর্ণ রপ্তানি খাতে যে সকল শ্রমিক কাজ করেন তাদের অধিকাংশই নারী। পোশাক খাতের শ্রমিকদের ১৮ দফা দাবির অন্যতম দাবি ছিল ন্যায্যমূল্যে পণ্য পাওয়ার অধিকার। সরকার দাবি পূরণের অংশ হিসেবে এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন করেছে। বলাবাহুল্য, এতে করে অন্য প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিকদের প্রত্যাশাও বেড়ে যাবে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও মুদ্রাস্ফীতির সংকটকালে শ্রমজীবী মানুষরাই সবচেয়ে বেশি অস্বস্তিতে আছেন। পর্যায়ক্রমে সকল শ্রমিকদেরকে টিসিবির পণ্যের আওতায় আনতে হবে।

আগেও শ্রমিকদের ক্ষুদ্র একটি অংশ টিসিবির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হলেও অধিকাংশ শ্রমিকরা তালিকার বাইরে ছিল। শ্রমিক ও মালিকপক্ষের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল টিসিবির ভর্তুকি মূল্যের পণ্যসামগ্রী যেন শ্রমিকদের দেয়া হয়।অবশেষে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সেই দাবি পূরণ করেছে।

বাজার মূল্যের চেয়ে প্রায় অর্ধেক মূল্যে নিত্য ও ভোগ্যপণ্য কেনার সুযোগ পাওয়া এই চরম দুর্দিনে খুবই ভাগ্যের ব্যাপার।ইতোমধ্যে শ্রম মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আপাতত শ্রমঘন এলাকায় (সাভার, আশুলিয়া, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ) টিসিবির মাধ্যমে সাশ্রয়ী মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ করা হবে। এ ছাড়াও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিকেও শ্রমঘন এলাকায় সম্প্রসারিত করা হবে। শ্রমিকদের জন্য স্থায়ী রেশন ব্যবস্থার জন্যও ভবিষ্যতে নতুন কর্মসূচি গ্রহণ করার পরিকল্পনার কথাও বলা হয়েছে।


শ্রম মানুষদের স্বস্তি দিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এ ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ প্রশংসার দাবি রাখে। বর্তমান দ্রব্যমূল্যের ক্রমবর্ধমান ঊর্ধ্বগতির সময়ে শুধু  হতদরিদ্র নয়, নিম্নবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত শ্রেণির  মানুষ যারা সীমিত টাকা উপার্জন করেন তাদের পক্ষে সংসার চালানো কঠিন থেকে কঠিনতর হচ্ছে। তাদের কাছে ন্যায্যমূল্যে ওএমএস, টিসিবির পণ্যই ভরসা। তাই যত সংখ্যক মানুষকে ন্যায্যমূল্যে পণ্য সরবরাহ করা যাবে তত জনগণ স্বস্তি পাবে।

আই.কে.জে/



 

টিসিবি

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250