সোমবার, ৮ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২৩শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেশে আরও বিনিয়োগে আগ্রহী সৌদি আরব : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৮:২৫ অপরাহ্ন, ৩রা জুলাই ২০২৪

#

ছবি: সংগৃহীত

'দুর্নীতি নিয়ে বিএনপি’র বক্তৃতাই সবচেয়ে বড় কৌতুক' বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

বাংলাদেশ-সৌদি আরব পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে 'পলিটিক্যাল কনসালটেশন' শেষে বুধবার (৩রা জুলাই) দুপুরে দেশে ফিরে বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ফরেন সার্ভিস একাডেমি জার্নাল প্রকাশনা ও ডিজিটাল লাইব্রেরি উদ্বোধন শেষে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। এসময় দুর্নীতির বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের অবস্থান নিয়ে বিএনপি'র মন্তব্য বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন। 

হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপিনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান উভয়েই দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত। বিএনপির শাসনামলে দেশ দুর্নীতিতে পাঁচ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। সুতরাং তাদের মুখে দুর্নীতি নিয়ে বক্তৃতা বা দুর্নীতির বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের অবস্থান নিয়ে কথা বলাই সবচেয়ে বড় কৌতুক। 

আরো পড়ুন: উন্নয়ন ইস্যু অগ্রাধিকার পাবে প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

সৌদি বিনিয়োগ ও শ্রমশক্তি রপ্তানি 

সৌদি আরবের সাথে সম্পর্ক ও বিনিয়োগ নিয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তাদের সাথে শ্রমশক্তি রপ্তানির সম্পর্ক বহু আগেই উন্নয়ন অংশীদারিত্ব, বিনিয়োগসহ বহুমাত্রিক রূপ নিয়েছে। দেশে সৌদি বিনিয়োগ আছে এবং তারা আরও বিনিয়োগ করতে চায়। সৌদি আরব বাংলাদেশে এক হাজার মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন করবে, চট্টগ্রাম বন্দরে তাদের বিনিয়োগ আছে, বে-টার্মিনালেও তারা বিনিয়োগ করতে চায়, পাশাপাশি অনাবাসী বাংলাদেশি ও বিদেশিদের জন্য উন্মুক্ত অফশোর ব্যাংকিংসহ আমাদের এখানে 'ফিন্যান্সিয়াল উইন্ডো' যেগুলো রয়েছে, সেসব ক্ষেত্রেও তাদের বিনিয়োগের বিষয়ে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। 

সৌদি সরকারকে আমাদের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে বিনিয়োগের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছি এবং তারা ইতোমধ্যে চট্টগ্রামের মিরেরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শনও করেছে, জানান হাছান মাহমুদ। 

মন্ত্রী এসময় শ্রমশক্তি রপ্তানির তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরেন। তিনি জানান, সৌদি আরবে এখন প্রায় ৩১ লাখ ৩৭ হাজার বাংলাদেশি প্রবাসী বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত। করোনার সময় লাখ লাখ কর্মী ফেরত এসেছিলেন। কিন্তু গত তিন বছরে আবার প্রায় ১৭ লাখ বাংলাদেশি সৌদিতে গেছেন। সৌদি আরব এক্ষেত্রে খুব সহায়ক ছিল। এই শ্রমজীবীদের সাথে দু'দেশের কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যাতে প্রতারণা না করতে পারে সেজন্য আমাদের উভয়পক্ষের প্রস্তাব ও সম্মতিতে যৌথ টাস্কফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। 

সেইসাথে সেখানে বাংলাদেশিদের নিজেদের নামে ব্যবসা রেজিস্ট্রেশন না থাকায় তারা রেমিটেন্স পাঠাতে পারে না। সেই অসুবিধা দূর করতে আমরা বাংলাদেশিদেরকে ব্যবসা রেজিস্ট্রেশনের অনুমতি দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছি, তারা এটা বিবেচনায় নিয়েছে, জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। 

এইচআ/  

পররাষ্ট্রমন্ত্রী সৌদি বিনিয়োগ

খবরটি শেয়ার করুন