ছবি: সংগৃহীত
গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডসে ভূষিত হলেন আমেরিকার ৩৯তম প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার। তিনি গত বছরের ২৯শে ডিসেম্বর প্রয়াত হয়েছেন। তিনি বেঁচে ছিলেন ১০০ বছর। সোমবার (৩রা ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ সময় সকালে আমেরিকার লস অ্যাঞ্জেলেসে অনুষ্ঠিত হয়েছে ৬৭তম গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডস। ভ্যারাইটির এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
কণ্ঠস্বরের জন্য মরণোত্তর গ্র্যামি দেওয়া হলো জিমি কার্টারকে। বেঁচে থাকলে জিমি কার্টারই হতেন প্রবীণতম গ্র্যামিজয়ী।
অডিও বুক, ন্যারেশন অ্যান্ড স্টোরিটেলিং রেকর্ডিং বিভাগে গ্র্যামি জিতেছেন জিমি কার্টার। নিজের কণ্ঠে নিজের জীবনকাহিনি বর্ণনা সহজ কাজ তো নয়ই। কিন্তু সেই কাজই অসাধারণ দক্ষতার সঙ্গে সুসম্পন্ন করেছিলেন তিনি।
‘লাস্ট সানডেস ইন প্লেনস: আ সেন্টিনিয়াল সেলিব্রেশন’ রেকর্ড করা হয়ে গিয়েছিল গত বছরের আগস্টে। অসাধারণ কণ্ঠস্বর আর কাজের জন্য তা মনোনীত হয় ২০২৫ সালে গ্র্যামি পুরস্কারের তালিকায়। কিন্তু তার আগে ডিসেম্বরেই ১০০ বছর ছুঁয়ে প্রয়াত হন জিমি কার্টার।
সোমবার সেই কাজের জন্যই মরণোত্তর পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন তিনি। জিমি কার্টারের হয়ে পুরস্কার গ্রহণ করতে মঞ্চে উঠে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন তার নাতি জ্যাসন কার্টার।
‘লাস্ট সানডেস ইন প্লেনস: আ সেন্টিনিয়াল সেলিব্রেশন’ বস্তুত কার্টারের নিজেরই গল্প। অনবদ্য বাগ্মিতার কারণে এর আগেও একাধিক বিষয়ে তার কথন রেকর্ড করা হয়েছে। সেভাবেই ২০২৪ সালের আগস্টে রেকর্ড করা হয়েছিল এই কাহিনি। ১০০ বছর বয়সী কার্টারের সেই কর্মযজ্ঞকে শ্রদ্ধা জানানো হলো গ্র্যামির মঞ্চে।
আজকের অনুষ্ঠানে দাদার হয়ে পুরস্কার নিতে মঞ্চে ওঠেন নাতি জ্যাসন কার্টার। দাদুকে নিয়ে তার আবেগঘন বার্তায় মুহূর্তের জন্য বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন দর্শকেরা।
হা.শা./কেবি
খবরটি শেয়ার করুন