শুক্রবার, ১৮ই এপ্রিল ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৪ঠা বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** কবি রফিক আজাদের স্মৃতিবিজড়িত বাড়িটির প্রসঙ্গে যা বললেন সুলতানা কামাল *** 'মঙ্গল শোভাযাত্রা' নতুন নামে স্বীকৃতি পেতে অনুমোদনের প্রয়োজন হবে: ইউনেস্কো *** পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার *** পাকিস্তানের ক্ষমা চাওয়াসহ তিন বিষয়ে সুরাহা চেয়েছে বাংলাদেশ *** ভারতের সংখ্যালঘু মুসলিমদের ‘পূর্ণ নিরাপত্তা’ নিশ্চিত করার আহ্বান বাংলাদেশের *** ছয় মাসে কী সংস্কার করা হয়েছে, প্রশ্ন দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের *** ইইউর ‘নিরাপদ’ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ *** কিস্তি ছাড়ের বিষয়ে আলোচনা চলবে: আইএমএফ *** সংশোধিত ওয়াক্ফ আইন স্থগিত করলেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট *** হিন্দু নারীর বিয়ে, বিচ্ছেদ, সম্পত্তিতে উত্তরাধিকার বিষয়ে পারিবারিক আইনে সংস্কার প্রযোজন

বলিউডে বর্ণপ্রথা বিরোধী ‘ফুলে’ সিনেমা নিয়ে যা ঘটেছে

বিনোদন ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৫:৫১ অপরাহ্ন, ১৫ই এপ্রিল ২০২৫

#

ছবি: সংগৃহীত

ভারতে ব্রাহ্মণদের আপত্তির মুখে আটকে দেওয়া হলো সমাজসংস্কারক দম্পতি জ্যোতিরাও ফুলে ও সাবিত্রী বাই ফুলের জীবন নিয়ে নির্মিত বলিউড সিনেমা ‘ফুলে’।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিপেনডেন্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রাথমিকভাবে সিনেমাটিকে ইউ সার্টিফিকেট (সবার জন্য উপযুক্ত) দিয়ে ছাড়পত্র দিয়েছিল ভারতের সেন্সর বোর্ড ‘সেন্ট্রাল বোর্ড অব ফিল্ম সার্টিফিকেশন’ (সিবিএফসি)।

তবে মহারাষ্ট্র রাজ্যের কিছু সংগঠনের অভিযোগ—ছবিতে ব্রাহ্মণদের ‘অপমান’ করা হয়েছে। অখিল ভারতীয় ব্রাহ্মণ সমাজ ও পরশুরাম আর্থিক বিকাশ মহামণ্ডলের মতো সংগঠনের মুখে পিছিয়ে দেওয়া হয় সিনেমাটির মুক্তির তারিখ।

হিন্দু ধর্মের শাস্ত্রে উল্লেখিত বর্ণ সম্পর্কিত কিছু সংলাপ ও দৃশ্যে কাটছাঁটের নির্দেশ দিয়েছে সেন্সর বোর্ড।

হিন্দু সমাজে চার বর্ণের (ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য ও শূদ্র) মধ্যে ব্রাহ্মণদের মর্যাদা সবার ওপরে। বংশ পরম্পরায় তাদের শাস্ত্র জ্ঞানের ধারক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

সর্বশেষ আদমশুমারি অনুযায়ী, ভারতের প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ হিন্দু ধর্মের অনুসারী এবং অধিকাংশই এখনো জাতপাত-ভিত্তিক সমাজব্যবস্থা অনুসরণ করেন। ফুলে দম্পতি এ ব্যবস্থার বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। 

বিশেষ করে, দলিতদের শিক্ষার অধিকার ও সামাজিক সমতার পক্ষে লড়েছেন তারা। যাদের হিন্দু বর্ণ প্রথায় ‘অস্পৃশ্য’ (যাদের স্পর্শ অপবিত্র বলে মনে করে উচ্চ বর্ণের মানুষেরা) হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সেই গল্পই তুলে ধরা হয়েছে চলচ্চিত্রটিতে।

সাবিত্রীবাই ফুলে ভারতের নারী অধিকার আন্দোলনের অগ্রদূত। ১৮৪৮ সালে স্বামী জ্যোতিরাও ফুলের সঙ্গে ভারতে প্রথম কন্যাশিশুদের জন্য স্কুল স্থাপন করেন তিনি। প্রতীক গান্ধী ও পত্রলেখা অভিনীত ‘ফুলে’ সিনেমাটি গত ১১ই এপ্রিল মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল।

পরিচালক মহাদেবন অবশ্য দাবি করেছেন, সিনেমাটি কোনো সম্প্রদায়কে আঘাত করার উদ্দেশ্যে নয়, বরং ইতিহাসনির্ভর। তিনি বলেন, ‘ট্রেলার দেখার পর কিছু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। আমরা শুধু ঐতিহাসিক তথ্যই দেখিয়েছি।’

এইচ.এস/


বলিউড

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন