বুধবার, ২৩শে জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৮ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্য’ সংহত করতে ৪ দলের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার জরুরি বৈঠক *** লিটন দাস জয় উৎসর্গ করলেন নিহতদের স্মরণে *** সহজ ম্যাচ কঠিন করে জিতে সিরিজ বাংলাদেশের *** বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় শিক্ষার্থীদের সব দাবি যৌক্তিক বলে মনে করে সরকার *** বিএনপি-জামায়াতসহ চার দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা *** প্রধানমন্ত্রী দলীয় প্রধান হতে পারবেন না—এই দাবির যৌক্তিকতা নেই: সালাহউদ্দিন *** আখের চিনি দিয়ে ‘ট্রাম্প ভার্সন’ বাজারে আনছে কোকা-কোলা *** বিমান বিধ্বস্তে হতাহতদের সব ধরনের সহায়তা দিচ্ছে সরকার: প্রেস উইং *** ফরিদা পারভীনের শারীরিক অবস্থার উন্নতি, ফিরেছেন বাসায় *** জাকেরের ফিফটিতে পাকিস্তানকে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ

অবহেলিত এই ফুলের রয়েছে নানান উপকারিতা

লাইফস্টাইল ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৬:৪৮ অপরাহ্ন, ২রা মে ২০২৪

#

ছবি : সংগৃহীত

পথের ধারে অবহেলায় বড় হওয়া একটি উদ্ভিস আকন্দ। কেউ এর দিকে বিশেষ নজর দেয় না। অনুর্বর জমি কিংবা হাইওয়ের পাশে এর সরব উপস্থিতি দেখা যায়। অবহেলায় বড় হওয়া এই আকন্দের কিন্তু রয়েছে অসংখ্য ঔষধি গুণ। এছাড়া রয়েছে নানান উপকারিতা।

আকন্দের পাতা ও শিকড়ের প্রতিটি অংশই ঔষধি গুণে ভরপুর। শরীরের নানা রোগের জন্য উপকারি এটি। আকন্দ সেবনে যে কোনো ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। 

মাথাব্যথা, কানের ব্যথা থেকে মুক্তি মেলায় এটি। পাশাপাশি আকন্দ সেবনে পাইলস থেকে দ্রুত মুক্তি মেলে। পেট সংক্রান্ত সমস্যা দ্রুত নিরাময়েও সহায়ক এটি। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতেও আকন্দ ব্যবহৃত হয়। আকন্দ গাছের পাতা, ফুল ও শিকড় খুবই কার্যকরী। এটি ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্যেও খুব উপকারী।

আকন্দতে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিসেপটিক, অ্যান্টি-ফাঙ্গাল, অ্যান্টি-ডিসেনট্রিক, অ্যান্টি-সিফিলিটিক এবং অ্যান্টি-রিউমাটিক উপাদান পাওয়া যায়।

আরো পড়ুন : বাজে কোলেস্টেরল কমায় ঢেঁড়স

গ্রামাঞ্চলে হাঁপানি ও শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় আকন্দ পাতা ব্যবহার করা হয়। আয়ুর্বেদ চিকিৎসা অনুযায়ী, ১৪টি আকন্দ ফুলের মাঝের চৌকো অংশ নিতে হবে। এর সঙ্গে ২১টি গোলমরিচ দিয়ে একসঙ্গে বেটে ২১টি বড়ি বানাতে হবে। প্রতিদিন সকালে পানি দিয়ে একটি করে বড়ি খেলে হাঁপানি রোগের উপশম হয়। এই ওষুধ খাওয়ার সময় পথ্য হিসেবে শুধু দুধ ভাত খেতে হয়। তাহলে শ্বাসকষ্ট দূর হয়।

হাঁপানির সমস্যা কমায় আকন্দ। এই গাছের মূলের ছাল শুকিয়ে চূর্ণ করে, আকন্দের আঠা দিয়ে মুড়িয়ে বিড়ির মতো বানিয়ে, এর ধোয়া গ্রহণ করলে হাঁপানি সমস্যা লাঘব হয়।

ফোঁড়া ফাটানোর কাজে আকন্দের পাতা ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। বলা হয়, আকন্দ পাতা দিয়ে ফোঁড়া চেপে বেঁধে রাখলে ফোঁড়া ফেটে যায়।

দেহের কোনো স্থানে দূষিত ক্ষত হলে সেটি সারাতেও আকন্দ ব্যবহার করতে পারে। ক্ষতস্থানটি আকন্দ পাতা সেদ্ধ পানি দিয়ে ধুয়ে দিন। এতে সেখানে আর পুঁজ জমবে না। 

বুকে সর্দি জমে গেলে বলা হয় পুরনো ঘি বুকে ডলতে। ঘি মাখার পর বুকে আকন্দ পাতা গরম করে সেঁক দিলে দ্রুত সর্দি ভালো হয়।

আকন্দের পাতা তেলের সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করলে ফোলাভাব কমানো যায়। কিন্তু এটি ব্যবহার করার আগে অবশ্যই একজন ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে। কারণ আকন্দ গাছ আসলে বিষাক্ত। তাই এটি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

এই গাছের কোনো অংশ কখনওই কাঁচা খাওয়া উচিত নয়। কারণ আকন্দের পাতা থেকে যে দুধ বের হয়, তাও খুব বিষাক্ত। এটি চোখের সংস্পর্শে এলে চোখ নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

এই ফুলের বিষাক্ত আঠা লাগলে ত্বকে ঘা হতে পারে। এই আঠা চোখে গেলে দৃষ্টিশক্তি হারানোরও আশঙ্কা থাকে। তাই এই ফুল তোলার কাজ করার সময় হাতে গ্লাভস আর মুখে কাপড় জড়িয়ে, রোদচশমা পরে তারপরই ফুল তুলতে হবে।

এস/ আই.কে.জে/


ঔষধি গুণ উপকারিতা আকন্দ

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন