বুধবার, ২রা এপ্রিল ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৮ই চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে নতুন বাংলাদেশে উগ্রবাদ উত্থানের প্রসঙ্গে যা বলা হয়েছে *** নিউইয়র্ক টাইমসের আলোচিত নিবন্ধ নিয়ে যা বলছে সরকার *** সবাই মিলে ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে: খালেদা জিয়া *** শুল্ক নিয়ে কাল কী ঘোষণা দিতে যাচ্ছেন ট্রাম্প *** চীন সফরে সেভেন সিস্টার্স নিয়ে ড. ইউনূসের বক্তব্যে যা হচ্ছে ভারতে *** তাপপ্রবাহের মধ্যে দেশজুড়ে বৃষ্টির কথা জানাল আবহাওয়া অধিদপ্তর *** প্রধান উপদেষ্টাকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে শাহবাজ শরিফের ফোন *** অধ্যাপক ইউনূসকে নরেন্দ্র মোদির ঈদের শুভেচ্ছা *** দেশে এখন শান্তি ফিরিয়ে আনা জরুরি: প্রধান উপদেষ্টা *** এনসিপির সঙ্গে কাজ করার ইঙ্গিত বিএনপির!

বাণিজ্যিকভাবে গোলাপ চাষে পরিবর্তিত হচ্ছে অর্থনীতি

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৯:০০ অপরাহ্ন, ৯ই ফেব্রুয়ারি ২০২৫

#

ছবি: সংগৃহীত

নেত্রকোনা জেলায় ধান চাষের পাশাপাশি জনপ্রিয়তা পাচ্ছে ফুলের চাষ। এখন বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে গোলাপ ফুল। স্থানীয়ভাবে ফুলের দোকানিরাও বাড়তি খরচ ছাড়াই এখন নিজ এলাকা থেকে সংগ্রহ করতে পারছেন গোলাপ ফুল। ফেব্রুয়ারি মাসে ফুলের চাহিদা ব্যাপক। ১৪ই ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবস ও ২১শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসকে ঘিরে ব্যবসা হবে লাখ টাকার, এমনটা আশা করছেন গোলাপ ফুলচাষী জামাল।

একদিকে ধানের শীষ দোল খাচ্ছে, অন্যদিকে নানা রঙের ফুলের বাগান।কোনটা হলুদ কোনটা লাল আবার মেজেন্ডাও। প্রতিটি গাছে যেন দোল খাচ্ছে গোলাপের কুড়ি। বাণিজ্যিকভাবে ফুলের চাষ হওয়ায় এ অঞ্চলে অর্থনীতির নতুন সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। চট্টগ্রাম থেকে ফিরে এসে নিজ এলাকা নেত্রকোনায় করছেন গোলাপ চাষ। কৃষক জামাল উদ্দিন দীর্ঘদিন চট্টগ্রামে অন্যের বাগানে হাতে-কলমে কাজ করেছেন। এরপর চলে আসেন নিজ গ্রামে।

নেত্রকোনা জেলার সদর উপজেলার ঠাকুরাকোনা ইউনিয়নের পাঁচপাই গ্রামে প্রায় ৪৫ শতাংশ জমিতে গড়ে তুলেছেন গোলাপের বাগান। গত ছয় বছরে গাছ লাগিয়েছেন প্রায় নয় হাজার। এখন প্রতিদিনই বাগান থেকে সরাসরি বিক্রি করছেন এক হাজারের বেশি ফুল। জেলার শহর কিংবা বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসে ফুলের অর্ডার। এতে দোকানিদেরও প্রচুর লাভ হয়।

চলতি ফেব্রুয়ারি মাসেই শুধু ফুল বিক্রির আশা তার দেড় লাখ টাকার। বাগান পরিচালনা কাজে কর্মসংস্থান হয়েছে দুজনের। প্রতিদিন জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে গোলাপের সৌন্দর্য  দেখতে আসছেন দর্শনার্থীরা।স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত এ ফুল জেলার সদর ছাড়াও যাচ্ছে মোহনগঞ্জ, দুর্গাপুরসহ পার্শ্ববর্তী কয়েকটি উপজেলায়।

আরও পড়ুন: পাবনায় তিন ভাইয়ের ফুল বাগান থেকে লাখ টাকার গোলাপ বিক্রি

কৃষক জামাল উদ্দিন জানান, বছরে চারমাস ফুল ফুটে। এটিকে গোলাপের মৌসুম বলা হয়। তিনি গত ছয় বছর ধরে এ ব্যবসায় সাফল্য পেয়ে এবার বাণিজ্যকভাবে চাষ করছেন। তার বাগান থেকেই দোকানিরা তুলে নিয়ে যায়। তিনি বলেন, চলতি মাসের ১৪ই ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবসসহ নানা উৎসব থাকায় বেড়েছে ফুলের চাহিদাও। বাজারে প্রতি গোলাপ ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হলেও বাগান থেকে বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে সর্বোচ্চ ১৫ টাকায়।

নেত্রকোনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ নুরুজ্জামান গণমাধ্যমকে জানান, "জেলায় ফুলের আবাদ একেবারেই কম, তবে এটি লাভজনক একটি পেশা। দু’একজন ফুল চাষাবাদে এগিয়ে আসছে। ধান চাষের পাশাপাশি ফুলসহ অন্যান্য ফসলে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। দেয়া হচ্ছে নানা পরামর্শ। 

এসি/কেবি

গোলাপ ফুল চাষ

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন