মঙ্গলবার, ৩রা জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২০শে জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** আগামী ৩০শে জুন ৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ *** কালোটাকা সাদা করার ক্ষেত্রে প্রশ্ন করতে পারবে রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলো *** হার্ভার্ডের সমাবর্তনে দেওয়া চীনা শিক্ষার্থীর বক্তব্যে তোলপাড় *** নির্বাচন সম্পন্ন করা আলাদা বিষয়, বিচার স্বাধীনভাবে চলবে: সালাহউদ্দিন *** সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ পর্যালোচনায় উচ্চপর্যায়ের কমিটি *** প্রেসিডেন্ট নির্বাচন স্টেডিয়াম-রেস্তোরাঁতেও ভোটকেন্দ্র! *** সরকারি চাকরিজীবীদের বিশেষ সুবিধা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি *** ঈদে পরিবহনে সবার ছবি তোলা হবে... *** ঈদ উপলক্ষে ট্রাক–কাভার্ড ভ্যান–লরি ৬ দিন বন্ধ *** সবার সম্মতি থাকা প্রস্তাবগুলোই জাতীয় সনদে অন্তর্ভুক্ত হবে: আলী রীয়াজ

পাবনায় তিন ভাইয়ের ফুল বাগান থেকে লাখ টাকার গোলাপ বিক্রি

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১১:৫৯ পূর্বাহ্ন, ৭ই ফেব্রুয়ারি ২০২৫

#

ছবি: সংগৃহীত

পাবনা জেলায় কয়েক হেক্টর জমিতে বাণিজ্যিকভাবে করা হয়েছে ফুল বাগান। এতে লাভের মুখ দেখেছেন টেবুনিয়ার ভজেন্দ্রপুরের তিন ভাই। ভালোবাসা দিবসকে ঘিরে এ মাসে ৫ লাখ টাকার গোলাপ বিক্রির আশা তাদের।

তিন ভাই খন্দকার শরিফুল আলম রানা, খন্দকার আশরাফুল হক শাহিন ও জাফরুল্লাহ। ভজেন্দ্রপুরে তাদের পৈতৃক জমিতে ছিল বাঁশঝাড়।  বড় ভাই শরিফুল আলম রানা গোলাপ বাগান করার পরামর্শ দেন। তিনি ঢাকায় দীর্ঘদিন নার্সারির সঙ্গে জড়িত। এ বিষয়ে তার অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান থাকায় বাঁশঝাড় তুলে দিয়ে দেড় বিঘা জমিতে গোলাপ বাগান করার প্রস্তুতি নেওয়া হয়। ভারত এবং দেশের যশোর ও সাভারসহ কয়েকটি অঞ্চল থেকে ১০ হাজার চারা এনে রোপণ করা হয়।

শুরুতেই ভালো উৎপাদন ও দামের কারণে আগ্রহ বাড়ে তিন ভাইয়ের। প্রয়োজনীয় পরিচর্যায় ব্যাপক লাভ ও সফলতায় বেড়েছে বাগানের পরিসর। দেড় বিঘা জমি থেকে ৪ বিঘার তিনটি বাগানে রূপ নেয়। শুরুতে নিজেরা পরিচর্যা করলেও এখন সারা বছর কমপক্ষে ৫ জন করে শ্রমিক কাজ করেন। বাগানে জুমুলিয়া, বিউটি, ভার্গো ও বমবমসহ ৭ প্রজাতির গোলাপ আছে। 

বাগান দেখভাল ও বিপণনের দায়িত্বে থাকা ইউনুফ জানান, সারাবছরই গোলাপের কম-বেশি চাহিদা থাকে। বছরের সাধারণ সময়ে প্রতি মাসে গড়ে দেড় থেকে ২ লাখ টাকার গোলাপ বিক্রি হয়। মাসে খরচ হয় ৭০-৮০ হাজার টাকা। নভেম্বরের শেষদিক থেকে গোলাপের চাহিদা বাড়তে থাকে। দামও বাড়ে। ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত গোলাপের চাহিদা ব্যাপক। ফেব্রুয়ারি মাসে অসম্ভব চাহিদা। এজন্য এ মাসকে সামনে রেখে বাগানকে অতিরিক্ত যত্ন ও পরিচর্যাও করতে হয়।

পোকামাকড় বা রোগবালাইয়ের আক্রমণ না হওয়ায় ব্যাপকভাবে লাভবান হচ্ছেন বাগান মালিকরা। এতে আগ্রহ বাড়ায় সম্প্রসারণ ঘটছে বাগানের। সৃষ্টি হচ্ছে নতুন নতুন কর্মসংস্থান। বাগান যেন শ্রমজীবীদের জন্যও আশীর্বাদ হয়ে এসেছে।

এ ব্যাপারে বাগান শ্রমিক মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘সবকিছুই এখন মেশিনের মাধ্যমে করা হচ্ছে। এ জন্য লেবারের প্রয়োজন কমে যাচ্ছে। এরপরও এসব বাগান হওয়ায় আমাদের কাজের সুযোগ বেড়েছে। মাসে ১৫ হাজার টাকা বেতন পাই। বাগানে একদিন পর পর গোলাপ কাটি। মাঝে মাঝে মাটি আলগা করা, সার ও কীটনাশক প্রয়োগ, সেচ দেওয়া ও কুড়ি কাটাসহ পরিচর্যামূলক সব কাজ করি।

আরও পড়ুন: হাওরে ধান চাষের পাশাপাশি হাঁসের খামার, লাভবান কৃষকরা

জেলা কৃষি বিভাগ জানায়, বছর পাঁচেক আগেও জেলায় বাণিজ্যিক ফুল বাগান ছিল না। গত কয়েক বছরে বাগান বেড়েছে। পাবনা সদর, সুজানগর, চাটমোহর ও আটঘরিয়াসহ কয়েকটি উপজেলায় গোলাপ বাগান বেশি হচ্ছে। তাদের সাফল্যে আগ্রহী হয়ে অন্য উপজেলায়ও বাগান করতে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন উদ্যোক্তারা। বর্তমানে জেলায় ১২ হেক্টর জমিতে ফুল বাগান হয়েছে। এর মধ্যে ৩ হেক্টরে গোলাপ বাগান আছে। 

এসি/ আই.কে.জে/          


গোলাপ চাষ

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন