ছবি : সংগৃহীত
আর মাত্র কয়েকদিন বাকি ঈদুল আযহা আসতে। এই ঈদের আগে কোরবানির আয়োজন নিয়ে সবাই যখন ব্যস্ত, সেই সময় রেফ্রিজারেটরের কম্প্রেসর যদি নষ্ট হয়ে যায় কি করবেন? নিশ্চয়ই খুবই চিন্তার বিষয়। তবে চলুন জেনে নিই ঈদের ছুটিতে ফ্রিজ নষ্ট হলে কী করবেন?
হুট করে ফ্রিজ নষ্ট হলে যা করবেন
বলে কয়ে তো আর ফ্রিজ নষ্ট হয় না। যখন বুঝবেন ফ্রিজ কাজ করছে না, তখনই ডিপ ফ্রিজের সবকিছু বের করবেন না। ফ্রিজ বন্ধ বা নষ্ট হয়ে যাওয়ার পরও ডিপ ফ্রিজ অনেকক্ষণ ঠান্ডা থাকে। ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ ছাড়া ডিপ ফ্রিজে তাপমাত্রা ঠিক থাকে। তাই দরজা না খুললে অনেকটা সময় ফ্রিজের মাছ-মাংস ঠিক থাকবে। কোরবানির ঈদে মাংস সংরক্ষণ একটা বড় বিষয়।
আরো পড়ুন : ছোলার শুধু উপকারিতা নয়, রয়েছে কিছু অপকারিতাও
ফ্রিজ নষ্ট হলে মাংস সংরক্ষণ করা কঠিন হতে পারে। মাংস ভুনা করে রেঁধে সংরক্ষণ করতে পারেন। আবার মাংসে শর্ষের তেলে মেখে আচারি মাংসের মতো করে সংরক্ষণ করতে পারেন।’ হলুদ মেখেও মাংস সংরক্ষণ করা যায়। মাংস রোদে শুকিয়েও সংরক্ষণ করতে পারেন। ফ্রিজ নষ্ট হলে রান্না করা খাবার দ্রুত বের করে আনুন। একটু ঠান্ডা কমলে তখন খাবার গরম করে রাখবেন। একবার গরম করলে ৭–৮ ঘণ্টা পর্যন্ত খাবার ভালো থাকে। এর মধ্যে খেয়ে ফেলতে হবে গরম করা খাবার।
ফ্রিজে রাখা সবজি বের করে এমনভাবে মুছে নিতে হবে যেন পানি না থাকে। তারপরে পুরোনো সংবাদপত্রে মুড়িয়ে পলিব্যাগে রাখুন। হাঁস বা মুরগির ডিম থাকলে পানিতে ডুবিয়ে রাখুন। ফ্রিজে রাখা ভাতে খাওয়ার পানি দিয়ে পান্তা বানিয়ে ফেলুন।
কাচ্চি, পোলাও কিংবা বিরিয়ানি থাকলে অধিক তাপে গরম করে দ্রুত খেয়ে ফেলতে হবে। ডিপ ফ্রিজে রাখা মাছ ও মাংস নির্ধারিত সময়ের পরে বের করে আনুন। বরফ গলে গেলে ধুয়ে ফেলুন। তারপর হলুদ মেখে রাখুন। ইচ্ছা করলে ডুবো তেলে কড়া করে ভেজে রাখতে পারেন মাছ। পরে ভাজা মাছ বাতাস ঢুকবে না এমন বাক্সে সংরক্ষণ করুন। আগের মাংস থাকলে ভুনা করে রান্না করুন। দিনে দুবার ভালো করে জ্বাল দিলে মাংস বেশ কয়েক দিন ভালো থাকবে। হলুদ, মরিচ, আদা ও রসুন দিয়ে মাংস জ্বাল দিয়ে রাখতে পারেন।
এস/ আই.কে.জে