সোমবার, ২৪শে ফেব্রুয়ারি ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১১ই ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টকশো তারকাদের আংশিক দাবি পূরণ, অতঃপর ...

বিশেষ প্রতিবেদক

🕒 প্রকাশ: ০৪:১৩ অপরাহ্ন, ২৩শে ফেব্রুয়ারি ২০২৫

#

ছবি: সংগৃহীত

দর্শক ও শ্রোতাদের জন্য স্বস্তির খবর। সম্মানজনক সম্মানী নিশ্চিত না হলে জনপ্রিয় টকশো তারকারা কোনো অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন না বলে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, তা থেকে কয়েকটি টিভি চ্যানেলের বেলায় তারা সরে এসেছেন। দেশের ‘সঙ্কটময় মূহুর্তে সত্য তথ্য ও গভীর বিশ্লেষণ’ জাতির কাছে তুলে ধরতে তারা সিদ্ধান্ত বদলিয়েছেন।

দেশের যে কয়েকটি বেসরকারি টিভি চ্যানেল কর্তৃপক্ষ টকশো অতিথিদের দাবি ‘আংশিক’ মেনে নিয়েছে, তাদের প্রচারিত টকশোতে তারা এখন থেকে অংশ নেবেন। তবে এখনই তারা দেশের সব টিভি চ্যানেলের টকশোতে অংশ নেবেন না। কয়েকজন টকশো তারকা এ তথ্য সুখবর ডটকমকে রোববার (২৩শে ফেব্রুয়ারি) নিশ্চিত করেছেন।

অতীতের অভিজ্ঞতা দিয়ে বর্তমানের পরিস্থিতির বিচার-বিশ্লেষণ করে যে কয়েকজন বুদ্ধিজীবী নানা বিষয়ে ভবিষ্যৎ ইঙ্গিত করতে পারেন, তাদের মধ্যে সাংবাদিক মাহবুব কামাল নিঃসন্দেহে অন্যতম। তিনি প্রজ্ঞাবান ও সুতীক্ষ্ণ পণ্ডিতপ্রবর আলোচক। দর্শকনন্দিত এই টকশো আলোচকের সঙ্গে যোগাযোগ করলে সুখবর ডটকমকে বলেন, ‘দর্শক-শ্রোতাদের অনুরোধে আমরা টকশোতে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে সব চ্যানেলের অনুষ্ঠানে নয়, যে কয়েকটি টিভি স্টেশন কর্তৃপক্ষ আমাদের দাবি মেনে নিয়েছে, আমরা তাদের অনুষ্ঠানে অতিথি হবো।’ 

রোববার রাত আটটায় মাহবুব কামালের ডিবিসি চ্যানেলের টকশোতে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ রয়েছে বলেও তিনি জানান।

টকশো অতিথিদের সম্মানীর বিষয়টি সম্প্রতি সামনে আনেন আলোচকরা। জনপ্রিয় টকশোর আলোচকদের অন্তত বিশজনের বেশি অতিথি তাদের সম্মানী বাড়ানোর দাবিতে কোনো টকশোতে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

তাদের লেখা এক চিঠিতে বলা হয়, গত ২০ বছরে টকশোর অতিথিদের সম্মানী বাড়েনি। একই জায়গায় আটকে আছে। অথচ এর মধ্যে জীবনযাত্রার ব্যয় কয়েক গুণ বেড়েছে। বর্তমান বাস্তবতায় সম্মানীর পরিমাণ বাড়ানো জরুরি হয়ে পড়েছে। এরপর থেকে তারা আর কোনো টকশোতে অংশ নিচ্ছিলেন না।

তাদের বক্তব্য, টেলিভিশনে অংশ নেওয়া যে কোনো আলোচকের বক্তব্য কর্তৃপক্ষ চারটি মাধ্যমে ব্যবহার করেন। টেলিভিশনের বাইরে তাদের ফেসবুক, ইউটিউব ও রিলে নানাভাবে আলোচিত অংশ প্রচার করে বাড়তি আয় করে থাকে টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ। অথচ অতিথিরা খুব সামান্যই সম্মানী পেয়ে থাকেন। 

এমন পরিস্থিতিতে সমমনা কয়েকজন টকশো অতিথি সিদ্ধান্ত নেন যে, পাঁচ হাজার টাকার কম সম্মানীতে কোনো টকশোতে তারা অংশ নেবেন না। আর তা কার্যকর হয় ১০ই ফেব্রুয়ারি থেকে। এরপর ১৩ দিন তারা টকশোতে অংশ নেওয়া থেকে বিরত থাকেন। 

যারা টকশোতে এতোদিন অংশ নেননি, তারা হলেন- মাহমুদুর রহমান মান্না, মাহবুব কামাল, আবু আলম শহীদ খান, জোনায়েদ সাকি, রুমিন ফারহানা, এম এ আজিজ, মাসুদ কামাল, গোলাম মোর্তোজা, ডা. জাহেদ উর রহমান, আশরাফ কায়সার, ডা. শাখাওয়াত হোসেন সায়ন্থ,  আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, নূরুল হক নুর, রাশেদ খান, এমরান সালেহ প্রিন্স, শহিদুল ইসলাম বাবুল, আসাদুজ্জামান রিপন, নিলোফার চৌধুরী মনি ও   সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, গত প্রায় দুই দশকের টেলিভিশন অনুষ্ঠানের টিআরপি লক্ষ্য করলে দেখা যায়, ঘুরেফিরে জনপ্রিয়তার শীর্ষে প্রায়ই থাকছে টকশো। রাজনীতি সচেতন ও রাজনীতি মনস্ক মানুষের কাছে হালের জনপ্রিয় বিষয় হচ্ছে টেলিভিশন ও ইউটিউবে প্রচারিত টকশো।

হা.শা./কেবি


টকশো

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন