অনেকেই চুল পাকার সমস্যায় ভুগেন। এর থেকে রেহাই পেতে দ্রুত রঙ করিয়ে নেন চুলে। অনেকেই ভাবেন, চুলের কালচেভাব ধরে রাখার একমাত্র উপায় হলো হেয়ার কালার। তবে এতে সাময়িক সমাধান মেলে। এরপর ফের দেখা দেয় ধূসরতা। তাই কয়েক মাস পর পরই কাজটি করতে হয়।এছাড়া রাসায়নিকযুক্ত রঙ ব্যবহারে চুলের অবস্থা হয়ে যায় বেহাল। নষ্ট হয় প্রাকৃতিক জেল্লা। পাশাপাশি চুল হতে থাকে পাতলা। এসব বাদ দিয়ে তাই চুলের রঙ ফেরাতে ভরসা রাখুন ১০০ বছরের পুরনো টোটকায়।
১০০ বছর পুরনো এই টোটকা চুলের স্বাস্থ্য বজায় রাখে। মেথি দানা, তেঁতুল, জায়ফল আর কারি পাতার মতো প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি করা হয় বিশেষ এই মাস্ক। এটি চুল কালো রাখে বয়স বৃদ্ধির পরও।
আরো পড়ুন : কাঁঠাল খাবেন যে কারণে
তেঁতুলের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি, যা চুলে কোলাজেন গঠনে সহায়ক করে। এই প্রোটিন চুলকে অকাল বার্ধক্যের হাত থেকে রক্ষা করে। মেথি দানায় থাকে প্রোটিন ও নাইকোটিনিক অ্যাসিড যা চুল পড়া ও খুশকির সমস্যা দূর করে। পাশাপাশি মজবুত চুল গঠনে সহায়তা করে।
কারি পাতায় আছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা চুল ও স্ক্যাল্পের আর্দ্রতা ধরে রাখে। এই পাতা চুলকে কালো করতেও সাহায্য করে। আর জায়ফলে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট চুলের ফলিকলে পুষ্টি জোগায় এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।
তেঁতুল ও জায়ফলের হেয়ার মাস্ক কীভাবে তৈরি করবেন?
একটি বড় বাটিতে মেথি দানা, তেঁতুল আর জায়ফল ভিজিয়ে রাখুন। সারারাত এই উপকরণগুলো পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। পরদিন সকালে হাত দিয়ে চটকে মেখে নিন তেঁতুল, জায়ফল আর মেথির দানা। মিশ্রণটি মসৃণ হওয়া চাই।
প্রয়োজনে ব্লেন্ডারেও মিশ্রণটি পেস্ট করে নিতে পারেন। এরপর এতে কারি পাতা বেটে মিশিয়ে নিন কিংবা ব্লেন্ড করে নিন।
প্রতিদিন গোসল করতে যাওয়ার আগে মাথায় মাখুন এই হেয়ার মাস্ক। তেঁতুল ও জায়ফল হেয়ার মাস্ক মেখে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর চুল ধুয়ে নিন। নিয়মিত ব্যবহারে পাকা চুল হবে কালো।
এস/ আই.কে.জে/