ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশে ‘রাজনৈতিক পরিস্থিতি’ বা ‘রাজনৈতিক পরিমণ্ডল’ শক্তিশালী করার জন্য আমেরিকার ২৯ মিলিয়ন বা প্রায় তিন কোটি ডলারের মতো বরাদ্দ দেওয়ার বিষয়টি এখন আলোচনায়। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্কের নেতৃত্বাধীন আমেরিকার নতুন পরামর্শক সংস্থা ‘ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি’ (ডিওজিই) গত ১৬ই ফেব্রুয়ারি জানায়, ‘বাংলাদেশের জন্য ইউএসএইডের এই সহায়তা বাতিল করা হয়েছে।’ তবে বাংলাদেশের কারা বা কে, কখন এই সহায়তা পেয়েছেন, সেটি ডিওজিই’র বার্তায় স্পষ্ট করা হয়নি।
বাংলাদেশকে ২৯ মিলিয়ন ডলার দেওয়া নিয়ে এবার মুখ খুলেছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ‘রাজনৈতিক পরিমণ্ডল’ বলতে কী বোঝায়, টাকা কারা পেয়েছেন, এসব প্রশ্ন তুলেছেন ট্রাম্প। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘টাইমস অব ইন্ডিয়ার’ ২২শে ফেব্রুয়ারি প্রচারিত এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
আমেরিকার স্থানীয় সময় শুক্রবার (২১শে ফেব্রুয়ারি) দেশটির গভর্নরদের নিয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ট্রাম্প বলেন, ‘বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিমণ্ডল শক্তিশালীকরণে একটি সংস্থার কাছে ২৯ মিলিয়ন ডলার গেছে। যেটির নাম কেউ কোনোদিন শোনেননি। তারা চেক পেয়েছে।’
ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘আপনারা ভাবতে পারেন? আপনার ছোট সংস্থা আছে। আপনি এখানে ১০ হাজার ডলার পান, ওইখানে এক লাখ পান। আমরা আমেরিকার সরকার থেকে ২৯ মিলিয়ন ডলার পেয়েছি (বাংলাদেশকে দেওয়ার জন্য)। ওই সংস্থায় মাত্র দুইজন কাজ করেন। আমি মনে করি, তারা খুব খুশি, তারা খুবই ধনী। কয়েকদিন পর মহান ব্যক্তি হওয়ার জন্য বড় কোনো ম্যাগাজিনে তাদের ছবি প্রকাশ হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘রাজনৈতিক পরিমণ্ডল শক্তিশালী করতে বাংলাদেশকে ২৯ মিলিয়ন ডলার দেওয়া হয়েছে। কেউ জানেন না, এই রাজনৈতিক পরিমণ্ডল কী। এটির মানে কী?’
এছাড়া ভারতে ভোটদানে উৎসাহী করতে ২১ মিলিয়ন ডলার দেওয়া হয়েছে বলেও দাবি করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘২১ মিলিয়ন ডলার যাচ্ছে (গেছে) আমার বন্ধু প্রধানমন্ত্রী মোদির কাছে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আনার জন্য। আমরা ভারতকে এজন্য ২১ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছি। আমাদের ব্যাপারে কী বলবেন? আমিও ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি চাই।’
বাংলাদেশের কোন সংস্থা আমেরিকার কাছ থেকে ২৯ মিলিয়ন ডলার পেয়েছে, সেটি এখনো স্পষ্ট নয়। তবে বৃহস্পতিবার (২০শে ফেব্রুয়ারি) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’ এক প্রতিবেদনে জানায়, ভারত আমেরিকার কাছ থেকে নির্বাচনের জন্য কোনো টাকা পায়নি। তারা বলেছে, ২০২২ সালে বাংলাদেশকে ২১ মিলিয়ন ডলার দেওয়া হয়। প্রথমে ২০২২ সালের জুলাইয়ে বাংলাদেশের ‘আমার ভোট আমার প্রকল্প’ এবং পরে ‘নাগরিক প্রকল্পের’ আওতায় ইউএসএইড এই সহায়তা দেয় বলে দাবি করে সংবাদমাধ্যমটি।
হা.শা./কেবি
খবরটি শেয়ার করুন