শুক্রবার, ১৩ই সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২৯শে ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বন্যা মোকাবেলায় সমন্বিত উদ্যোগের তাগিদ প্রধান উপদেষ্টার

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৭:৪৩ অপরাহ্ন, ২৪শে আগস্ট ২০২৪

#

ছবি: সংগৃহীত

ফেনী-নোয়াখালীসহ দেশের কয়েকটি জেলায় আকস্মিক যে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে এর ফলে সৃষ্ট পরিস্থিতি মোকাবেলায় সবাইকে সমন্বিতভাবে কাজ করার তাগিদ দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

শনিবার (২৪শে আগস্ট) বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এনজিও প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এই তাগিদ দেন। পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। 

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বন্যার পানি নামতে শুরু করেছে। এখনই সমন্বিতভাবে স্বাস্থ্য ও খাদ্য ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হবে। প্রয়োজন অনুযায়ী সমন্বয় করে ত্রাণসামগ্রী পাঠাতে হবে।

বন্যা কবলিত এলাকায় বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সংযোগ দ্রুত পুনঃস্থাপনে সরকার গুরুত্ব দিচ্ছে বলে জানান প্রধান উপদেষ্টা।

বন্যা মোকাবেলায় দেশের মানুষ যেভাবে এগিয়ে এসেছে তাতে অভিভূত জানিয়ে দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি জানান, সমন্বিতভাবে স্বাস্থ্য ও খাদ্য ঝুঁকি নিয়ে কাজ করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক ফান্ড মোভিলাইজ করতে হবে।

বৈঠকে এনজিওর প্রতিনিধিরা ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য জোন হিসেবে ভাগ করে কাজ করার পরামর্শ দেন। তাছাড়া বন্যার ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের পর দাতা সংস্থা ও প্রবাসীদের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করে সমন্বিতভাবে কাজ করার বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল ইসলাম জানান, বন্যা মোকাবিলা ও বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসনে ছোট-বড় ও স্থানীয় ৪৪টি এনজিওর সঙ্গে বৈঠক করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা। বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, এনজিওরা বাংলাদেশে শক্তি। তরুণরা আমাদের যে স্বপ্ন দেখিয়েছে, সেটাকে কাজে লাগাতে হবে। ইউ ক্যান ডু ইট।

প্রেস সচিব বলেন, প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে যেভাবে কাজ করেছিল, ঠিক একইভাবে তারা বন্যা মোকাবিলায় কাজ করছে। পাড়া-মহল্লায়, গ্রাম-গঞ্জে ত্রাণসামগ্রী তুলে বানভাসি মানুষের সহায়তায় কাজ করছে। তিনি বলেছেন, তরুণদের যে উদ্যোগ, তরুণদের প্রেরণা নিয়ে বাংলাদেশের সব মানুষ যেন একত্রিত হয়ে বন্যা মোকাবিলার কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ে।

ড. ইউনূস বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পর থেকে বাংলাদেশে এনজিওদের বিশাল ভূমিকা রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে কাজ করে থাকে। আমরা তাদের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে চাই। শিক্ষার্থীরা যদি ত্রাণসামগ্রী নিয়ে পরশুরামে গিয়ে দেখে যে, সেখানে স্থানীয় এনজিও কাজ করছে, তখন শিক্ষার্থীদের তাদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করতে সহজ হবে।

ওআ/কেবি

বন্যা

খবরটি শেয়ার করুন