ফাইল ছবি (সংগৃহীত)
দেশে যত অবৈধ ও অনিবন্ধিত হাসপাতাল-ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টার আছে সেগুলোর বিরুদ্ধে শীঘ্রই অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর।
তিনি বলেন, বর্তমানেও অধিদপ্তরের সর্ভিলেন্স চালু রয়েছে, সেটাকে আরও গতিশীল করা হবে।
মঙ্গলবার (১৬ই জানুয়ারি) সচিবালয়ে ইউনাইটেড মেডিকলে কলেজ হাসপাতাল বন্ধ ও অনিবন্ধিত হাসপাতাল প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের জবাবে এই তথ্য দেন তিনি।
আহমেদুল কবীর বলেন, দেশে সবমিলিয়ে নয় হাজার ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও আট হাজার হাসপাতাল রয়েছে। আমি যখন অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ছিলাম, এটি তখনকার হিসাব। এক বছর হলো আমি পরিকল্পনা শাখায় চলে এসেছি। ফলে একদম সঠিক তথ্যটা এই মূহুর্তে বলা আমার জন্য কঠিন। যদিও বর্তমানে আমি দুইটি দায়িত্বই পালন করছি। ফলে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে মহাপরিচালকের সঙ্গে বসে এক বছর আগে যে কাজ করছিলাম তা আরও গতিশীল করার উদ্যোগ নেব।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই অতিরিক্ত মহাপরিচালক বলেন, অতীতে আমরা সারাদেশেই একটা ক্রাশ অভিযান চালিয়েছি। এতে যারা নিবন্ধিত ছিল না, তারা নিবন্ধিত হয়েছে। তাদের তথ্য আমাদের কাছে আছে। নিবন্ধনটা একটি চালমান প্রক্রিয়া। কোথায় অনিবন্ধিত হাসপাতাল আছে তা আমাদের লোকজন দেখে। যখনই আমরা তথ্য পাই, আমরা চেষ্টা করি তা বন্ধ করে দেওয়ার জন্য।
আরও পড়ুন: লাইসেন্সবিহীন হাসপাতাল বন্ধের নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
আহমেদুল কবীর আরও বলেন, সারা বাংলাদেশ বিরাট একটা জায়গা। সারাদেশে কত ধরনের ঘটনা ঘটে যা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও জানে না। কোনো একটা নাশকতা ঘটার পর তা জানা যায়। অর্থাৎ সার্বক্ষণিক সার্ভিলেন্স করা তো সম্ভব হয় না। তেমনই হাসপাতালগুলোর ক্ষেত্রে সার্বক্ষণিক মনিটরিংয়ের বাইরে কিছু হচ্ছে না, তা বলা মুশকিল। তবে আমরা সারাদেশে পুনরায় সার্ভিলেন্স চালাতে বলেছি। আমাদের চলমান অভিযান আরও সক্রিয় করা হবে।
ইউনাইটেড মেডিকেল হাসপাতাল বন্ধের বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই অতিরিক্ত মহাপরিচালক বলেন, তারা ইউনাইটেড হেলথ সার্ভিস নামে এটা চালাচ্ছিল। তাদের বক্তব্য, এটা মিসআন্ডারস্ট্যান্ডিং। কিন্তু বিষয়টা আসলে সে রকম না। যেকোনো হাসপাতাল চালাতে হলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিবন্ধন প্রয়োজন হবে। হেলথ সার্ভিসের নামে চালানোর কোনো সুযোগ নেই। আমরা সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি।
ছাড় দেওয়া হচ্ছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে আহমেদুল কবীর বলেন, বড় প্রতিষ্ঠানকে সুযোগ বা ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। বড়-ছোট কোনো বিষয় নয়। এটি হলো নৈতিকতার প্রশ্ন।
এসকে/
খবরটি শেয়ার করুন