আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের । ফাইল ছবি
অনুমতি ছাড়া সমাবেশ করলে বিএনপি পালাবার পথ পাবে না মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সরকারের অনুমতি নিতে হবে, না নিলে খবর আছে।
দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে সরকারকে বিএনপির দেওয়া ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটামের সমালোচনা করে তিনি বলেন, বিএনপি বলেছিল আওয়ামী লীগকে কবরস্থানে পাঠাবে। এখন বিএনপির রাজনীতি কবরস্থানে যাওয়ার সময় এসেছে। বিএনপির ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম এবং এক দফার আন্দোলনসহ সবকিছুই ভুয়া।
শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে আয়োজিত কৃষক লীগের মহাসমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির আলটিমেটাম তো শেষ। ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম কই? বিএনপি ভুয়া, ৩২ দল ভুয়া।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, সরকারকে যে অবৈধ বলছেন, তাহলে অবৈধ সরকারের কাছে খালেদা জিয়ার মুক্তির আবেদন কেন করেন?
কর্মসূচি পালনে আর সরকারের অনুমতি নেওয়া হবে না- বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ওবায়দুল কাদের বলেন, আসলে তারা মুখে সরকারকে যতই ভুয়া বলেন, সরকারের অনুমতি ছাড়া সভা-সমাবেশ কিছুই করতে পারবেন না। সরকারের অনুমতি নিতে হবে, না নিলে খবর আছে। তখন পালাবারও পথ পাবে না।
তিনি বলেন, এ দেশ কারও বাপ-দাদার দান করা নয়। যাদের হাতে রক্তের দাগ, ১৫ আগস্টের রক্ত, ২১ আগস্টের রক্ত, বাংলার কৃষকের রক্ত তারা হত্যাকারী, তারা দুর্নীতিবাজ, তারা দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। সেই বিএনপির হাতে বাংলাদেশ নিরাপদ নয়, গণতন্ত্র, ভোট, জননিরাপত্তা, মুক্তিযুদ্ধ কিছুই নিরাপদ নয়। এরা একাত্তরের বাংলাদেশ চায় না। এরা খুন আর সন্ত্রাস চায়। এরা দুর্নীতি আর স্বৈরতান্ত্রিকতা চায়।
বিএনপির বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, যারা ভাঙচুর করতে আসবে তাদের হাত গুঁড়িয়ে দেব।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে শেখ হাসিনা ছাড়া গণতন্ত্র নিরাপদ নয়, ভাত-কাপড়ের ব্যবস্থা নিরাপদ নয়। শেখ হাসিনা আছে বলেই বাংলাদেশ অনেক শান্তিতে আছে। তার মত একজন সৎ মানুষ রাজনীতিতে বিরল।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক দলীয় নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, শপথ নিন। প্রস্তুতি নিন। নেত্রী ডাক দিলে চলে আসবেন। বিএনপির হাতে ক্ষমতা গেলে বাংলাদেশ আবার অন্ধকারে চলে যাবে।
কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম স্মৃতির সঞ্চালনায় মহাসমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন- আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতারা।
এসকে/
খবরটি শেয়ার করুন