ছবি: অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে চীনের ভাবমূর্তি ক্ষতির সম্মুখীন
পিউ রিসার্চ সেন্টারের সমীক্ষা মতে, উচ্চ ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে চীনের আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এই সমীক্ষায় চীন সম্পর্কিত মানুষের বিভিন্ন নেতিবাচক ধারণার উল্লেখ দেখা যায়। সমীক্ষায় ৬৭ শতাংশ উত্তরদাতাই চীন সম্পর্কে নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, ইসরায়েল, নাইজেরিয়া, জাপান এবং ভারতসহ ২৪ টি দেশে পরিচালিত পিউ সমীক্ষায় ৩০ হাজারেরও বেশি প্রাপ্তবয়স্করা অংশগ্রহণ করেন। সেখানে দেখা যায়, অস্ট্রেলিয়া, সুইডেন, দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপানের মতো উচ্চ আয়ের দেশগুলোর নাগরিকেরা চীন সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা পোষণ করেন।
তবে মার্কিন নাগরিকদের ৫০%ই চীনকে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য হুমকি হিসেবে দেখেন। অন্যদিকে ১৭% মার্কিন নাগরিক রাশিয়াকে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য হুমকিস্বরূপ দেখেন।
মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে ৫জি ইন্টারনেট সরবরাহ করার ভূমিকা থেকে শুরু করে বেল্ট এবং রোড অবকাঠামো উদ্যোগের মতো প্রকল্পগুলোর মাধ্যমে বিনিয়োগের জন্য ইন্দোনেশিয়া, নাইজেরিয়া এবং মেক্সিকোর মতো দেশগুলোর নাগরিকেরা চীন সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণা পোষণ করেন।
ভারতের ৬৭% নাগরিকেরা চীন সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা পোষণ করেন। ৩৩ শতাংশ উত্তরদাতা চীনকে বিশ্বের শীর্ষ অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে উল্লেখ করেছেন। অন্যদিকে ৪২ শতাংশ উত্তরদাতা এক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বেছে নিয়েছেন।
এদিকে, সৌদি আরব এবং ইরানের মধ্যে সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ভূমিকা পালনের পরেও বিশ্বব্যাপী শান্তিপ্রতিষ্ঠাকারী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে ব্যর্থ হয়েছে চীন।
৭১ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন যে তারা মনে করেন চীন বিশ্ব শান্তি ও স্থিতিশীলতায় অবদান রাখে না। মাত্র ২৩ শতাংশ উত্তরদাতা চীনের কূটনীতিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন। অন্যদিকে ৫৭ শতাংশ উত্তরদাতারা চীনকে বৈশ্বিক বিষয়ে হস্তক্ষেপকারী বলে অভিহিত করেছেন।
গত সোমবার, ২৪ জনের পলিটব্যুরো বৈঠকে নেতারা জানান, চীনা অর্থনীতি নতুন সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে। প্রতি বছর জুলাই মাসের শেষে গ্রীষ্মকালীন ছুটির আগে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে জড়ো হন চীনের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা।
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে দেশীয় ব্যবহার সম্প্রসারণ এবং সময়োপযোগী পদ্ধতিতে রিয়েল এস্টেট নীতিগুলো সামঞ্জস্য করার প্রচেষ্টাকে আহ্বান জানানো হয়েছে।
এম এইচ ডি/ আই. কে. জে/