ছবি: সংগৃহীত
শৈশবেই লিওনেল মেসির প্রতিভার কথা আলোচিত হচ্ছিল। কিশোর মেসির ফুটবল ইউরোপের অনেক ক্লাবকে আকৃষ্ট করলেও অনেকে পিছিয়ে যেত। কারণ মেসি শৈশবে গ্রোথ হরমোন সমস্যায় ভুগছিলেন। এর চিকিৎসা ছিল ব্যয়বহুল। কিন্তু ১৩ বছর বয়সে মেসিকে বার্সেলোনা তাদের যুব একাডেমিতে নিয়ে আসে। যুব একাডেমির তখনকার পরিচালক মেসিকে ট্রায়ালে দেখে এতটাই মুগ্ধ হয়েছিলেন, হাতের কাছে কোনো কাগজ না পেয়ে নিজের রুমালে চুক্তিপত্র লিখে ফেলেছিলেন বলে একটা কথা প্রচলিত আছে।
২০০৪ সালের অক্টোবরে ১৭ বছর বয়সে মেসি বার্সেলোনার মূল দলের হয়ে অভিষিক্ত হন। বিশ্বসেরা হয়ে উঠতে খুব বেশি সময় নেননি। ২০০৬ বিশ্বকাপের আগেই মোটামুটি তারকাখ্যাতি পেয়ে গিয়েছিলেন। যদিও মেসির আসল উত্থান ২০০৭ সাল থেকে। সেবার ব্যালন ডি'অর ও ফিফা বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের তালিকায় মেসি ছিলেন সেরা তিনে। এরপর শুধুই সামনে এগিয়েছেন মেসি।
মেসির গোলের প্রসঙ্গ উঠলে অবধারিতভাবেই উঠে আসে আরেকটি নাম ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। গোলের প্রতিযোগিতায় বর্তমান খেলোয়াড়দের কেউ এই দুজনের ধারে-কাছেও নেই।
ফুটবল ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলদাতার দৌড়টা দুই কিংবদন্তি মেসি রোনালদোর মধ্যে সীমাবদ্ধ। তাঁদের কাছাকাছি থাকা পেলে, রোমারিও, জোসেফ বাইকানরা এখন অতীত। বর্তমান ফুটবলারদের মধ্যে পেশাদার ফুটবলে গোলসংখ্যায় মেসি ও রোনালদোর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শুধু রবার্ট লেভানডফস্কি। অবশ্য লেভাকে তাঁদের ‘নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী’ বলাটা কারও কারও বাড়াবাড়ি মনে হতে পারে।
৬০০ গোল করা লেভা মেসির সঙ্গে ২১৫ গোল ও রোনালদোর সঙ্গে ২৪২ ব্যবধানে পিছিয়ে। নাহ, ‘নিকটতম’ বলাটা আসলেই বাড়াবাড়ি হয়ে যায়।
আপাতত ফুটবলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ডটা রোনালদোর। প্রীতি ম্যাচ বাদে পেশাদার ফুটবলে গতকাল রাতের ম্যাচটির আগ পর্যন্ত ১১৭৩ ম্যাচে ৮৪২ গোল করেছেন রোনালদো। প্রতি ১১৩ মিনিটে একটি করে গোল করেছেন সৌদি আরবের ক্লাব আল নাসরের এই পর্তুগিজ কিংবদন্তি।
মেসি ১০৩৩ ম্যাচে ৮১৫ গোল করার পথে প্রতি ১০৪ মিনিটে একটি করে গোল করেছেন। গোলের এই দৌড়ে রোনালদোর চেয়ে মেসি এখনো ২৭ গোলে পিছিয়ে। ব্যবধানটা বেশ বড় মনে হলেও মেসির বর্তমান ফর্ম দেখে উল্টোটাও মনে হতে পারে কারও কারও। রোনালদোকে ধরতে আর বুঝি বেশি দেরি নেই!
আর.এইচ
খবরটি শেয়ার করুন