পুরো দেশজুড়ে শীতের প্রকোপ বেড়েছে। প্রচণ্ড ঠান্ডায় অনেকেই গোসল করা থেকে বিরত থাকছেন। কিন্তু ঘরের কাজ তো বাদ দেওয়া যায় না। বাড়ির গৃহিনীদের বাসন ধোয়া, কাপড় কাচা সব কাজই করতে হচ্ছে।
ঠান্ডা পানিতে বাসন মাজা, ঘর মোছা, কাপড় কাচার মতো কাজগুলো ভীষণ কষ্টকর। ঠান্ডায় যেমন কষ্ট হয়, তেমনই হাতের চামড়াও কুঁচকে যায়। হাতের অবস্থা খারাপ হয়ে পড়ে। এই পরিস্থিতিতে ঠান্ডা পানির ব্যবহার যত কম করবেন ততই ভালো। এর পাশপাশি হাতের যত্ন কীভাবে নেবেন তার জন্য কিছু টিপস অনুসরণ করতে পারেন। যেমন-
১. একা হাতে যখন সমস্ত কাজ সামলাতে হয়, তখন হাতে গ্লাভস পরে নিন। গ্লাভস পরে বাসন মাজা, জামাকাপড় কাচার কাজ সারুন। এতে একটু হলেও আপনার হাতের চামড়া সুরক্ষিত থাকবে। পাশাপাশি ঠান্ডা পানিও কম ঘাঁটতে হবে।
২. শীতকালে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। এতে শরীর ও ত্বক হাইড্রেট থাকবে। পাশাপাশি পানির কাজ শেষ করে হাতে ময়েশ্চারাইজার মাখুন। শুষ্ক ত্বকের সঙ্গে লড়াই করতে গেলে ভিতর ও বাইরে উভয় দিক থেকে হাইড্রেট থাকা জরুরি।
আরো পড়ুন : পায়ের তলায় তেল মালিশ!
৩. কাপড়-জামা কাচা কিংবা বাসন মাজার জন্য যে সব ডিটারজেন্ট ব্যবহার হয়, তাতে ক্ষারের পরিমাণ বেশি থাকে। এতে হাতের অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যায়। তাই হাত ধোয়ার সময় হালকা সাবান ব্যবহার করুন। এতে ত্বকের প্রাকৃতিক তেল বজায় থাকবে এবং হাতের চামড়া শুষ্ক হবে না।
৪. হাতের উপরও মরা চামড়ার আস্তরণ জমে। এটা দূর করতে মধু, নারকেল তেল বা অলিভ অয়েলের সঙ্গে চিনি মিশিয়ে হাতের উপর ঘষুন। তারপর হালকা গরম পানি দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলুন। এতে হাত নরম ও কোমল থাকবে।
৫. আজকাল অনেকেই হ্যান্ড ক্রিম ব্যবহার করেন। হ্যান্ড ক্রিম ব্যবহারের সময় দেখে নিন এতে শিয়া বাটার, গ্লিসারিন বা হাইলিউরনিক অ্যাসিড রয়েছে কি না। এগুলো আপনার ত্বকে অতিরিক্ত আর্দ্রতা প্রদান করতে সাহায্য করে।
৬. রাতে ঘুমাতে যাওয়ার সময় হাতে হ্যান্ড ক্রিম মেখে নিন। এরপর সুতির গ্লাভস পরে নিন। পরদিন সকালে আপনার হাত নরম হয়ে উঠবে। হাত ভালো রাখতে এই পদ্ধতি বেশ ভালো কাজ করে।
এস/ এসি
খবরটি শেয়ার করুন