সোমবার, ৮ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২৩শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

একাত্তরের এই দিনে : মোংলা ও সুন্দরবন উপকূল মুক্ত দিবস আজ

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১০:৪০ পূর্বাহ্ন, ৭ই ডিসেম্বর ২০২৩

#

ছবি: সংগৃহীত

আজ ৭ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) মোংলা ও সুন্দরবন উপকূল মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে বীর মুক্তিযোদ্ধারা পাক হানাদার বাহিনীকে হটিয়ে এই এলাকা শত্রুমুক্ত করেন। দীর্ঘকাল পরে হলেও মোংলা পোর্ট পৌরসভার পক্ষ থেকে পৌর পার্ক এলাকায় নির্মিত হয়েছে একটি যুদ্ধজাহাজ সংবলিত মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভ ও আরেকটি বিজয়স্তম্ভ। ওই সময়ে পাক হানাদাররা নৃশংস গণহত্যা চালায় এই এলাকার নিরীহ মানুষের ওপর। এখনো সেই গণহত্যার স্মৃতি বহন করছে মোংলার দামেরখণ্ড ও রামপালের ডাকরার বধ্যভূমি।

মোংলা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার ও বর্তমান পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আব্দুর রহমান জানান, মুক্তিযুদ্ধের ৯ নম্বর সেক্টর কমান্ডার মেজর এমএ জলিল, সাব সেক্টর কমান্ডার মেজর জিয়া উদ্দিন আহমেদ ও কবির আহমেদ মধুর নেতৃত্বে ৭ ডিসেম্বর মোংলা বন্দর ও সুন্দরবন উপকূলীয় এলাকা সম্পূর্ণভাবে শত্রুমুক্ত হয়।

তিনি বলেন, তখন সুন্দরবনে স্থাপিত পাঁচটি ক্যাম্পে সেনা কর্মকর্তাদের তত্ত্বাবধায়নে যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের দেওয়া হতো প্রশিক্ষণ। প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা সেখান থেকে সুবিধামতোই আক্রমণ চালাতেন মোংলা, মোড়েলগঞ্জ, রামপাল, শরণখোলা ও পিরোজপুরসহ বিভিন্ন এলাকার পাকবাহিনীর ক্যাম্পগুলোতে। এছাড়া ওই সময়ে মোংলা বন্দরের পশুর নদীতে থাকা পাক হানাদার বাহিনীর যুদ্ধজাহাজ এমভি মাকরনও ধ্বংস করা হয়।

বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আব্দুর রহমান আরও বলেন, আমরা যারা নবম সেক্টরের অধীনে ছিলাম তাদের নেতৃত্বে ছিলেন সুন্দরবন অঞ্চলের সাব সেক্টর কমান্ডার মেজর জিয়া উদ্দিন আহমেদ। মেজর জিয়া, মুক্তিবাহিনী ও নৌ কমান্ডের ত্রিমাত্রিক আক্রমণে পিছু হটতে বাধ্য হয় পাকসেনারা। পশুর নদীতে পাকবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ মাকরনে মাইন বসিয়ে তা ডুবিয়ে দেয় মুক্তি নৌ কমান্ডের সদস্যরা। এরমধ্য দিয়েই ৭ ডিসেম্বর পুরোপুরি হানাদারমুক্ত হয় মোংলা ও সুন্দরবন এলাকা। তখন সারাদেশ পাকবাহিনী মুক্ত না হলেও ১৬ ডিসেম্বরের আগেই আমরা এ এলাকা শক্রমুক্ত করতে সক্ষম হয়েছিলাম।

আই.কে.জে/

মোংলা ও সুন্দরবন উপকূল মুক্ত দিবস আজ

খবরটি শেয়ার করুন