তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান। ছবি: সংগৃহীত
ইসরাইল ও হামাসের সংঘাত নিয়ে পুরো বিশ্ব সরব হলেও, অনেকটা নীরবই ছিলেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান। তবে অবশেষে মুখ খুলেছেন তিনি, আহ্বান জানিয়েছেন গাজায় হামলা বন্ধের।
সংবাদমাধ্যম আল-আরাবিয়া জানিয়েছে, গাজায় হামাসের সঙ্গে যুদ্ধে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর ‘নির্বিচারে’ হামলা না চালানোর জন্য ইসরাইলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন এরদোয়ান।
সোমবার (৯ অক্টোবর) ইসরাইলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হার্জগের সঙ্গে ফোনালাপে এরদোয়ান বলেন,
সম্মিলিতভাবে এবং নির্বিচারে গাজার জনগণকে ক্ষতিগ্রস্ত করা এই অঞ্চলে দুর্ভোগ এবং সহিংসতার মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেবে।
আল-আরাবিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, ফিলিস্তিনিদের দুর্ভোগের কথা উল্লেখ করে ইসরাইল-ফিলিস্তিন বিরোধের জন্য দ্বি-রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানকে সমর্থন জানিয়েছেন এরদোয়ান।
আরো পড়ুন: ফিলিস্তিনের পাশে থাকবে সৌদি আরব, যুবরাজের ঘোষণা
চলমান সংকট সমাধানের লক্ষ্যে সোমবার মন্ত্রিসভার এক বৈঠকের পর জরুরি ফোনালাপ শুরু করেন এরদোয়ান। এদিন ইসরাইলের প্রেসিডেন্ট ছাড়াও ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ও প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতির সঙ্গেও কথা বলেছেন এরদোগান।
তুরস্কের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, আব্বাসের সঙ্গে কথা বলার পর, তুরস্ক সংঘাত অবসানের জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন এরদোয়ান।
এদিকে আন্তর্জাতিক কিছু গণমাধ্যমের খবর বলছে, হামাস-ইসরাইল সংঘাতের বিষয়ে সরাসরি কোনো পক্ষ নেননি এরদোয়ান। তিনি মূলত মধ্যপন্থা অবলম্বন করেছেন বলেই দাবি অনেকের।
এমন দাবির কিছুটা সত্যতাও মিলেছে আল-আরাবিয়ার আলাদা এক প্রতিবেদনে। সেখানে বলা হয়েছে, তুর্কি প্রেসিডেন্ট গাজায় ‘নির্বিচারে’ হামলা বন্ধের আহ্বান জানালেও; স্পষ্ট করে হামাসের সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধ করতে বলেননি।
এছাড়া টেলিভিশনে দেয়া এক ভাষণে তিনি ফিলিস্তিনিদের উদ্দেশে বলেছেন, তারা যেন ইসরাইলিদের ‘হয়রানি’ না করেন।
এসকে/
খবরটি শেয়ার করুন