সোমবার, ৮ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২৩শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এলএসি দ্বন্দ্ব নিরসনে বৈঠকে বসেছে ভারত-চীন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৬:৪৮ অপরাহ্ন, ১৭ই আগস্ট ২০২৩

#

ছবি: সংগৃহীত

ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত কে ডোভাল এবং চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই ব্রিকস এবং জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনকে সামনে রেখে লাইন অব একচুয়াল কন্ট্রোলে (এলএসি) সৈন্যদের অবস্থান এবং রাজনৈতিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনায় বসেন।

গত মাসে দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্রিকস সম্মেলনের এক ফাঁকে তারা এলএসি বরাবর অমীমাংসিত সমস্যাগুলো নিয়ে বৈঠকে বসেন।

গত মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) ভারত ও চীন উভয়েই সীমান্তে শান্তি বজায় রাখার কথা জানিয়ে এবং সমস্যাগুলোর দ্রুত সমাধানের লক্ষ্য নিয়ে যৌথ প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে।

যৌথ প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উভয় পক্ষ পশ্চিম সেক্টরে এলএসি বরাবর অবশিষ্ট সমস্যাগুলোর সমাধানের বিষয়ে একটি ইতিবাচক ও গঠনমূলক আলোচনা করেছে।

তবে তাদের এ বৈঠক সম্পর্কে এতকিছু না জানা গেলেও ধারণা করা হচ্ছে উভয়েই এ অমীমাংসিত সমস্যাগুলো নিয়ে চিন্তিত এবং সমাধানে আগ্রহী।

আগামী সপ্তাহে দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে চলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং। ধারণা করা হচ্ছে, এ সম্মেলনের এক ফাঁকে তারা দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হতে পারেন। যদি এ ধারণা সত্যি হয় তবে ২০১৯ এর দীর্ঘদিন পর এ দুইনেতা আবারও সংলাপে বসতে চলেছেন। অন্যদিকে আগামী ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জি-২০ সম্মেলন।

মূলত ২০২০ সালের গালওয়ান দ্বন্দ্বের কারণে ভারত ও চীনের সম্পর্কে দূরত্ব তৈরি হয়। এমনকি গত মাসের বৈঠকের সময়েও অজিত ডোভাল বলেছেন যে, এ দ্বন্দ্বের কারণে চীনের প্রতি ভারতীয়দের আস্থা নষ্ট হয়ে গিয়েছে।

ডেপসাং এবং ডেমচোকের সীমান্ত এলাকা নিয়ে ভারত ও চীনের বিরোধ বহুদিনের। চীন চাচ্ছে ভারত এ বিষয় নিয়ে একটি সমাধানে আসুক। অন্যদিকে ভারতের মন্তব্য হলো এ দুই জায়গায় সেনাবাহিনী মোতায়েন না করা পর্যন্ত এবং টহলের অংশগুলো পুনরুদ্ধার না করা পর্যন্ত এ সমস্যার কোন সমাধান হবে না

দুইটি দেশই বাকী সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধান করতে এবং সামরিক ও কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে সংলাপ ও আলোচনার গতি বজায় রাখতে সম্মত হয়েছে।

১৩ ও ১৪ আগস্ট চুশুল-মোল্ডো মিটিং পয়েন্টে ভারতীয় এবং চীনা কর্পস কমান্ডার-পর্যায়ের বৈঠকের ১৯ তম রাউন্ড অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এপ্রিলে শেষ দফা সামরিক আলোচনার পর থেকে কোনো যৌথ বিবৃতি জারি করা হয়নি।

জুলাইয়ের বৈঠকে অজিত ডোভাল বলেন, ২০২০ সাল থেকে ভারত-চীন সীমান্তের পশ্চিম সেক্টরে এলএসি বরাবর পরিস্থিতি একেবারে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। আস্থা এবং সম্পর্কের স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনতে সমস্যা সমাধানের গুরুত্বের উপর তিনি জোর দেন।

জুলাই মাসে জাকার্তায় ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও ওয়াংকে একই রকম বার্তা প্রদান করেছিলেন। ভারত-চীন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক পুরো বিশ্বের জন্যেই গুরুত্বপূর্ণ বলে একমত হন ডোভাল এবং ওয়াং।

আর.এইচ 

চীন ভারত

খবরটি শেয়ার করুন