ছবি: সংগৃহীত
চেতনার মহীসোপানে
–শুভাশীষ কুমার চ্যাটার্জী
বিশ বছর বয়সী যে মেয়েটি বিধবা হল গত রাতে
নিঝুম দ্বীপে ফেলে আসা
বস্তাবন্দী বিড়ালের মত
বুকের মাঝখানে তার
আখমাড়াই এর গুড়
জ্বালানো চুলার মত টগবগে আগুন
মনে তার যুদ্ধবন্দী অনিশ্চিত যন্ত্রণা
শীতের মাঝ রাতে পুরনো দাঁত ব্যথা যেন।
এখনো দেনাপাওনার কাঠের বাক্স
খুলে চোখের পর্দা নামিয়ে
বউ খোঁজে কাঠুরে চোখ
মানব নিরপেক্ষ দাঁড়িপাল্লার মত।
মেয়েদের জমি এখনো দেয়নি
ওকথা শুনাও পাপ
কিন্তু তাদের হাতে দ্বিতীয় মেহেদী
দ্বিতীয় আল্পনা আর চোখের দ্বিতীয়
স্বপ্ন কাজল অনেক আগেই
বিদ্যাসাগর যা এঁকেছিলেন
আমরা তা কি ধরে রেখেছি?
নব বিধবার বুঁজে যাওয়া
কুমড়ো ফুলের মুখে
কিভাবে তাকাও তোমরা?
বিবেকানন্দের সমালোচনা কর
বিদ্যাসাগর কে গালি দাও
রাম মোহন কে দালাল বল
বুকে হাত দিয়ে।
সূর্যের দিকে তাকিয়ে দেখ
বাতাস এর দিকে কান পেতে শোন
কত বড় কর্ম যোগী তাঁরা
সম্পত্তি হীন বিধবা বোনের
মনব্যথা নিরামিষ আহারেই সারাতে চাও?
বিদ্যাসাগর এর জুতা কোন এক
বর্ষণ মন্দ্রিত সন্ধ্যায় যদি
মাথায় নিয়ে বলতে পারি
মানুষ হওয়ার পথে হাঁটছি
গন্তব্য সমতার নিরক্ষ রেখায়
চেতনার মহীসোপানে।
আরো পড়ুন: কবিতা: আমি একেলা -খোকন কুমার রায়