ছবি: সংগৃহীত
বিধবার জ্বালা
-শুভাশীষ কুমার চ্যাটার্জী
হিন্দু মেয়ে বিধবা যখন সাথে কেউ নেই তার
নিজের জীবন নিজের কাছেই বহন পাষাণ ভার
পাশে কেউ নেই রাত জেগে ভয় কখন কুকুর ডাকে
প্রতি দমে তাই বিষন্নতার বিমূর্ত ছবি আঁকে।
বাবা মার কাছে বাড়তি বোঝা তিথি নক্ষত্র খোঁজা
বউদির কাছে দেখিয়া না দেখা আনমনে চোখ বুজা।
শাশুড়ি শুধায় ডাইনি কোথার আমার ছেলেকে খেলি
দূর হয়ে থাক সামনের থেকে শান্তির শ্বাস ফেলি।
বিধবার বালিশ নোনা কান্নায় হতাশার জল ধরে
আকাশের দিকে শূন্যে তাকায় কি দাম ধরনী পরে।
সমাজের চোখে অপয়া অধম স্বামীকে রাখেনি ধরে
বিধবা বলে গতকাল রাতে ছিল সে প্রণয় ক'রে
দুই হাত ধরে শক্ত বাঁধনে রেখেছি বুকের পাছে
তারপর যদি বিধাতা সরায় আমার কি দায় আছে?
নানা বাপু বিধবার দায় স্বামীগুলো সবখায়
স্ত্রী যখন স্বামীদের আগে পরপারে চলে যায়
তখন তাদের কোষ্টীর বাণী গোপনে কি কথা কয়?
বিধবা বোনের শূন্য আকাশ পা'র নিচে নেই মাটি
পিতা ও স্বামীর জমিতে তাদের বসাও পরিপাটি
নিজেরাই খাব, কোনো ত্যাগ নেই মল মুত্র ছাড়া
নরাধম এরা যুগে যুগে তাই বোন করে ভিটে ছাড়া।
দেখানো আচার সাজায় বৃথাই বোনদের দিয়ে থালা।
অধিকার দিয়েই আচার সাজাও মেটাও তাদের জ্বালা।
আরো পড়ুন: কবিতা: লুকোচুরি–খোকন কুমার রায়
খবরটি শেয়ার করুন