দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে অংশগ্রহণে ইচ্ছুক রাজনৈতিক দলগুলো তাদের স্ব-স্ব নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করবে, যেখানে অন্যান্য অনেক কিছুর সাথে বাংলাদেশকে প্রকৃতপক্ষে একটি ‘কল্যাণরাষ্ট্রে’ পরিণত করার জন্য প্রয়োজনীয় ‘রূপরেখা’ থাকবে। অতীত নির্বাচনগুলোর মত এবারেও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দেশকে প্রকৃতপক্ষে একটি কল্যাণরাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়ন করছে। আর ঠিক এর বিপরীতে কল্যাণরাষ্ট্রের রূপরেখা ঘোষণার পরিবর্তে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা দেশব্যাপী অগ্নিসন্ত্রাসের তাণ্ডব চালাচ্ছে। এ ধরনের রাজনীতিকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা ‘পলিটিক্স অব এনিহিলেশন’ বা ‘বিনাশের রাজনীতি’ হিসাবে আখ্যায়িত করছেন। যা শুরু হয়েছিল ১৯৭১-এর গণহত্যা দিয়ে। আর এখন বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীন বাংলাদেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে স্বাধীনতাবিরোধী গোষ্ঠী সুযোগ মত ‘গণ সন্ত্রাস’ তথা ‘অগ্নিসন্ত্রাস’ সৃষ্টি করছে।
স্বল্পোন্নত দেশ থেকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত মধ্যম আয়ের দেশ, এবং সেখান থেকে উন্নত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণ তথা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশকে একটি প্রকৃত কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার ব্যাপক-বিস্তৃত কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করছে। এরই মধ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ-এর নির্বাচন আসন্ন। এই নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার তৈরি হচ্ছে, যাতে অতীতের নির্বাচনী ইশতেহারগুলোর মত কল্যাণ রাষ্ট্রের জন্য প্রয়োজনীয় কর্মসূচী সংযোজিত হবে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন রাজনৈতিক দল স্ব-স্ব নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করে জনসমর্থন আদায়ের লক্ষ্যে প্রচার-প্রচারণায় লিপ্ত থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এটি না করে বিএনপি ‘অবরোধ’ ও ‘হরতাল’ দিয়ে সমগ্র দেশব্যাপী অগ্নিসন্ত্রাসে লিপ্ত হয়েছে। এরই মধ্যে, ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর থেকে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত বিএনপির হরতাল-অবরোধে ঢাকায় ৬৪টি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে এবং ১৫০টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। এছাড়া ঢাকার বাইরে অগ্নিসংযোগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২০টি বাস এবং ৪টি ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ এ তথ্য জানিয়েছেন। ২৮ অক্টোবর থেকে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত হরতাল-অবরোধে পরিবহন খাতে মোট ক্ষতির পরিমাণ ২১ কোটি ৪০ লাখ টাকা। বিএনপি-র ডাকা অবরোধ যেহেতু চলমান আছে সেহেতু এটি আশঙ্কা করা হচ্ছে যে এরপর ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে।
বিএনপি-জামায়াতের এইসব ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড ২০১৪ এবং ২০১৮’র যথাক্রমে দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়েও লক্ষ্য করা গিয়েছে। এছাড়াও ১৯৯৯ সালের ৬ মার্চ যশোর উদীচীর সম্মেলনে গ্রেনেড হামলা, ২০০১ সালে রমনা বটমূলে ১লা বৈশাখে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে হামলা, ২০০৩ সালের ২৫ আগস্ট খুলনায় আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট মঞ্জুরুল ইমামকে গুলি করে হত্যা, ২০০৪ সালের ৭ মে গাজীপুর-২ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য আহসানউল্লাহ মাস্টার হত্যা, ২০০৪ সালের ২১শে আগস্ট আওয়ামী লীগের জনসভায় গ্রেনেড হামলায় ২২ জন আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী হত্যা ও প্রায় পাঁচ শতাধিক আহত করা, ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জের বৈদ্যেরবাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শাহ এ এম এস কিবরিয়া এবং তার ভাইপোসহ তিন সহযোগীকে গ্রেনেড হামলা করে হত্যা করা, ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট দেশব্যাপী বোমা হামলা—প্রভৃতি ধ্বংসাত্মক কাজ বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা ঘটিয়েছে। এছাড়া প্রতিবেশী বন্ধুরাষ্ট্র ভারতের মধ্যে অরাজকতা ও বিদ্রোহ সৃষ্টির লক্ষ্যে দুষ্কৃতিকারীদের অস্ত্র, ট্রেনিং প্রভৃতি দিয়েছে বিএনপি-জামায়াত জোট। এর মধ্যে দশ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালান ধরা পড়েছিল। এইসব ধ্বংসাত্মক কাজের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন রাজনৈতিক দল হচ্ছে বিএনপি-জামায়াত। এই দেশবিরোধী দল দুটি এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে নিয়ে অগ্নিসন্ত্রাস বা ধ্বংসাত্মক কাজে লিপ্ত হয়েছে। যা অন্যান্য অনেক কিছুর পাশাপাশি বাংলাদেশকে প্রকৃত কল্যাণ রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার পথে বিশাল প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করছে। এহেন পরিস্থিতিতে প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন হলো কল্যাণরাষ্ট্রের রূপরেখায় অগ্নিসন্ত্রাসীদের ছোবল কেন? দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রশ্নটি বাংলাদেশের জনগণের জীবন, স্বাধীনতা ও সম্পত্তির নিরাপত্তা রক্ষার ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
সাংবিধানিকভাবে এবং বাস্তবে বাংলাদেশ একটি কল্যাণ রাষ্ট্র। কল্যাণ রাষ্ট্রের ধারণা বা রূপরেখার মধ্যে বিনাশ বা ধ্বংসের কোনও স্থান নেই। অগ্নিসন্ত্রাস ভিত্তিক রাজনীতি প্রকৃতপক্ষে বিনাশ বা ধ্বংস বয়ে আনে। আর তাই বিশেষত: অতীতের মত আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে বিএনপি-জামায়াত যেভাবে অগ্নি সন্ত্রাস চালাচ্ছে তার পরিপ্রেক্ষিতে এই প্রশ্ন স্বাভাবিকভাবেই আসে যে তারা এই অগ্নি সন্ত্রাস বা বিনাশ তথা ধ্বংসের পথ কেন পছন্দ করছে? এই প্রশ্নটি আলোচনার জন্য বিবেচনার জন্য প্রাসঙ্গিক কিছু ধারণা আলোচনা করা সমীচীন। ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও সমাজবিজ্ঞানের অধ্যাপক মার্গারেট উইয়ার-এর মতে ‘কল্যাণ রাষ্ট্র এমন একটি রাষ্ট্র যা তার নাগরিকদের বার্ধক্য, বেকারত্ব, দুর্ঘটনা এবং অসুস্থতার সাথে সম্পর্কিত বাজারের ঝুঁকি থেকে রক্ষা করে, তাদের জন্য মৌলিক অর্থনৈতিক নিরাপত্তা প্রদানের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ‘কল্যাণ রাষ্ট্র’ শব্দটি প্রথম যুক্তরাজ্যে উদ্ভূত হয়েছিল। স্বাধীন বাংলাদেশের রূপকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, ‘আমার জীবনের একমাত্র কামনা, বাংলাদেশের মানুষ যেন তাদের খাদ্য পায়, আশ্রয় পায় এবং উন্নত জীবনের অধিকারী হয়’। জাতির পিতার চিন্তার প্রতিফলন আমরা দেখতে পাই ১৯৭২ সালের সংবিধানে।
১৯৭২ সালের সংবিধানের ১৫ (ঘ) অনুচ্ছেদে সামাজিক নিরাপত্তার অধিকার, অর্থাৎ বেকারত্ব, ব্যধি বা পঙ্গুত্বজনিত কিংবা বিধবা, মাতা-পিতৃহীনতা বা বার্ধক্যজনিত কিংবা অনুরূপ অন্যান্য পরিস্থিতিজনিত কারণে অভাবগ্রস্ততার ক্ষেত্রে সরকারি সাহায্য লাভের অধিকার সংযুক্ত করে সামাজিক নিরাপত্তাকে রাষ্ট্রীয় কাঠামোর অন্তর্ভুক্ত করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সংবিধানের ১৫ (ঘ) অনুচ্ছেদের উপর ভিত্তি করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সদ্য স্বাধীন দেশে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি চালু করেন কেননা জাতির পিতার সামগ্রিক চিন্তা-চেতনায় সদাজাগ্রত ছিল সমাজের ঝুঁকিপূর্ণ, অবহেলিত, প্রান্তিক ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর সামাজিক সুরক্ষা, জীবনমান উন্নয়ন। তাইতো স্বাধীনতার পরপর সরকারি কর্মচারীদের পেনশন ও রিলিফভিত্তিক খাদ্য কর্মসূচির মাধ্যমে কল্যাণ রাষ্ট্রের যাত্রার শুভ সূচনা হয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর সামরিক স্বৈরাচার সরকারগুলোর শাসনামলে এইসব কর্মসূচী বাস্তবায়নে বিঘ্ন ঘটে।
সামরিক শাসক জিয়াউর রহমানের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দল বিএনপি এখন দেশব্যাপী জ্বালাও-পোড়াও এর কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। অগ্নিসন্ত্রাস বা জ্বালাও পোড়াও ভিত্তিক রাজনীতিকে ‘পলিটিক্স অব এনিহিলেশন’ নামে আখ্যায়িত করা যেতে পারে। এ ব্যাপারে প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন হলো, বিএনপি কী ‘পলিটিক্স অব এনিহিলেশন’ এর অনুসারী? ওয়াশিংটন-টাকোমা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা এবং সংঘাত নিরসন বিভাগের অধ্যাপক বেঞ্জামিন মিচেস (২০১৯) ‘পলিটিক্স অব এনিহিলেশন : অ্যা জিনিয়ালজি অব জেনোসাইড’ শিরোনামে একটি গবেষণা গ্রন্থ লিখেছেন। এই গ্রন্থের বাস্তবসম্মত যুক্তির আলোকে বর্তমানে চলমান বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতিকে ‘পলিটিক্স অব এনিহিলেশন’ বা ‘বিনাশ সাধনের রাজনীতি’ হিসাবে আখ্যায়িত করা যেতে পারে। বর্তমানে বিএনপির দোসর জামায়াতে ইসলামী ১৯৭১ সালে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর আদর্শিক দোসর হিসেবে বাংলাদেশে ‘গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে’ সম্পৃক্ত হয়েছিল।
জামায়াতে ইসলামীর এই রাজনীতিকে ‘পলিটিক্স অব এনিহিলেশন’ হিসেবে আখ্যায়িত করা সমীচীন। পাকিস্তানী সেনাবাহিনী ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা পূর্ণাঙ্গরূপ লাভ করেছে। তখন থেকে পাকিস্তানীদের স্থানীয় দোসর এবং পাকিস্তানী আদর্শে বিশ্বাসী জামায়াতে ইসলামী স্বাধীন বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর দেশের প্রথম সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান প্রতিষ্ঠা করেন বিএনপি। একই সাথে নিষিদ্ধ জামায়াতকে প্রকাশ্যে রাজনীতি করার সুযোগ করে দেন। পাকিস্তানী নাগরিক গোলাম আযমকে বাংলাদেশের নাগরিক হওয়ার সুযোগ করে দেন। বঙ্গবন্ধুর খুনীদের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় বিদেশে দূতাবাসে চাকুরির ব্যবস্থা করেন। ইনডেমনিটি আইন পাস করে খুনীদের বিচার বন্ধের স্থায়ী ব্যবস্থা করেন। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এভাবেই ‘পলিটিক্স অব এনিহিলেশন’ এর সূত্রপাত ঘটে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ২০০৮ সালে নির্বাচনের আগে ‘দিন বদলের সনদ’ নামে নির্বাচনি ইশতেহার ঘোষণা করেছিল। ২০১৪ সালের নির্বাচনি ইশতেহারে ‘ভিশন ২০৪১’ ঘোষণা করা হয়। যার মূল লক্ষ্য হচ্ছে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। আর ২০১৮ সালে তৈরি করা হয়েছে দীর্ঘ-মেয়াদি উন্নয়ন পরিকল্পনা ‘ডেল্টা প্লান ২১০০’। ২১০০ সালের বাংলাদেশ কেমন হবে তা এই পরিকল্পনায় তুলে ধরা হয়েছে। আর এবার দেশকে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার প্রত্যয় ঘোষণা করা হয়েছে। তবে, এসব পরিকল্পনা পুরোপুরি বাস্তবায়নের অনেক আগে দেশ থেকে নিরক্ষতার অন্ধকার দূর হচ্ছে, মা ও শিশুমৃত্যুর হার উন্নত দেশগুলোর সমপর্যায়ে আসছে, কোনও মানুষ বিনা চিকিৎসায় মারা না যাবার ব্যবস্থা সরকার করছে, বেকারত্ব হ্রাস পাচ্ছে, দারিদ্র্যের হার ১০ শতাংশের নীচে নামিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এভাবে বাংলাদেশের মানুষ পাবে এক উন্নত ও সমৃদ্ধ জীবনের স্বাদ। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভের মাধ্যমে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এসব কাজ অব্যাহত থাকবে বলেই জনগণ আশা করে।
* অধ্যাপক ড. অরুণ কুমার গোস্বামী, পরিচালক, সেন্টার ফর সাউথ এশিয়ান স্টাডিজ। সাবেক ডিন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, সাবেক চেয়ারম্যান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।