ছবি: সংগৃহীত
কোরবানির ঈদ সামনে রেখে ব্যস্ত বরিশাল বিভাগের খামারিরা। গো-খাদ্যের দাম বাড়ায় এবার কোরবানির পশুর দামে প্রভাব পড়লেও ক্রেতাদের সাড়া মেলায় খুশি খামারিরা।
বরিশালের খামারগুলোতে বছরজুড়ে বিভিন্ন জাতের গরু লালনপালন হলেও বেশি দামে বিক্রির টার্গেট থাকে কোরবানির ঈদ ঘিরে। তাই কোরবানি সামনে রেখে এখন খামারগুলোয় প্রতিনিয়ত বিক্রিযোগ্য পশুগুলোর যত্ন নেয়া হচ্ছে।
দেশি গরুর পাশাপাশি এবার হাটে দেখা মিলবে সাইওয়াল, দেশাল, আরসিসি, নেপাল, ফিজিয়ান, অস্ট্রেলিয়ান ও পাকিস্তানি সাইয়াল জাতের গরুর। তবে গো-খাদ্যের দাম বাড়ার প্রভাব কোরবানির পশুর দামে পড়বে।
এ বিষয়ে খামারিরা জানান, কোরবানির পশুপ্রতি দাম বাড়ার পাশাপাশি খামারে লাইভ ওয়েট মেশিনে বিক্রি করা পশুর দামও কেজিপ্রতি বাড়ানো হয়েছে ১০০ টাকা। আর এ বাস্তবতা ক্রেতারাও মেনে নিয়েছেন।
এক খামারি বলেন, ‘গো-খাদ্যের দাম বেড়ে গেছে। সে হিসেবে গত বছরের তুলনায় এ বছর লাইভ ওয়েটে প্রতিকেজিতে দাম ১০০ টাকা বেড়েছে। আমাদের ৪০ শতাংশ গরু বিক্রি হয়ে গেছে। আমরা এখনও ভালো সাড়া পাচ্ছি।’
এদিকে ভারতীয় গরু না এলে কোরবানির হাট স্থানীয় গরুর দখলে থাকবে বলেও আশা করছেন খামারিরা। আরেক খামারি বলেন, ‘যদি সীমান্ত দিয়ে গরু না ঢোকে, তাহলে আমরা বরিশালের গরুর চাহিদা আমাদের ফার্ম থেকে পূরণ করতে পারব।’
প্রাণিসম্পদ অধিদফতর বলছে, এ বছর কোরবানির জন্য বিভাগের ৬টি জেলায় ২২ হাজার ৯৮৩ জন খামারির কাছে কোরবানিযোগ্য প্রায় ৪ লাখ ৫০ হাজার পশু আছে।
আরো পড়ুন: ঈদের ছুটি বাড়ল একদিন
গত বছরের মতো এ বছরও বরিশাল বিভাগের ৬টি জেলার ২৬২টি হাটে কোরবানির পশু বেচাবিক্রি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পাশাপাশি ১২৯ ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম হাটগুলোতে কোরবানিযোগ্য পশুর সুস্থতা পরীক্ষা করবে। সেই সঙ্গে হাটে নিয়োজিত থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও।
এম/