চাহিদার তুলনায় খরিপ মৌসুমে ২৭ শতাংশ পানির ঘাটতির সম্মুখীন পাকিস্তানের পাঞ্জাব সরকার। এ ঘাটতির মাঝেই তুলা ও অন্যান্য ফসলের চাহিদা মেটানোর চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার।
কৃষি সচিব ইফতেখার আলী সাহু এবং পাঞ্জাবের সেচ সচিব ওয়াসিফ খুরশিদের সভাপতিত্বে দক্ষিণ পাঞ্জাবের খালগুলোতে পানি সরবরাহের বিষয়ে একটি পর্যালোচনা সভা ডাকা হয়। সভাতে এ তথ্য জানান বক্তারা।
কৃষি সচিব ইফতিখার আলী সাহু বলেন, তুলা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য দক্ষিণ পাঞ্জাবের খালে পানি সরবরাহ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দক্ষিণ পাঞ্জাব, বাহাওয়ালপুর, মুলতান এবং ডেরা গাজি খানের তিনটি বিভাগে, ৪০ লাখ একরেরও বেশি জমি তুলা চাষের আওতায় আনা হয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে জমিগুলোতে পানি সরবরাহ করা এখন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তুলা মৌসুমে খালের পানি সরবরাহের প্রতিশ্রুতি পূরণ করার ব্যাপারে কৃষি ও সেচ বিভাগ একসঙ্গে কাজ করছে।
তাছাড়া কৃষি বিভাগের মাঠ পর্যায়ের দলগুলো দক্ষিণ পাঞ্জাবের ৫২ টি কিষান সাহুলত কেন্দ্রে তুলার ভাল ব্যবস্থাপনার জন্য কৃষকদেরকে প্রযুক্তিগত দিকনির্দেশনা প্রদান করছে।
এই বছর সেচ বিভাগের ব্যবস্থায় ২৭ শতাংশ পানির ঘাটতি রয়েছে, তবে আরও ভাল পরিকল্পনার সাথে দক্ষিণ পাঞ্জাবের কৃষকদের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে পানি সরবরাহ করা অব্যাহত থাকবে যাতে তুলা উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা সহজেই অর্জন করা যায়। সমস্ত পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রাদেশিক সচিবরা।
আই. কে. জে/
খরিপ মৌসুমে ২৭ শতাংশ পানির ঘাটতির সম্মুখীন পাকিস্তানের পাঞ্জাব
খবরটি শেয়ার করুন