শুক্রবার, ১৮ই এপ্রিল ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৫ই বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** কবি রফিক আজাদের স্মৃতিবিজড়িত বাড়িটির প্রসঙ্গে যা বললেন সুলতানা কামাল *** 'মঙ্গল শোভাযাত্রা' নতুন নামে স্বীকৃতি পেতে অনুমোদনের প্রয়োজন হবে: ইউনেস্কো *** পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার *** পাকিস্তানের ক্ষমা চাওয়াসহ তিন বিষয়ে সুরাহা চেয়েছে বাংলাদেশ *** ভারতের সংখ্যালঘু মুসলিমদের ‘পূর্ণ নিরাপত্তা’ নিশ্চিত করার আহ্বান বাংলাদেশের *** ছয় মাসে কী সংস্কার করা হয়েছে, প্রশ্ন দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের *** ইইউর ‘নিরাপদ’ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ *** কিস্তি ছাড়ের বিষয়ে আলোচনা চলবে: আইএমএফ *** সংশোধিত ওয়াক্ফ আইন স্থগিত করলেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট *** হিন্দু নারীর বিয়ে, বিচ্ছেদ, সম্পত্তিতে উত্তরাধিকার বিষয়ে পারিবারিক আইনে সংস্কার প্রযোজন

ঘড়ির কাঁটা উল্টো ঘোরে যে মসজিদে

ডেস্ক নিউজ

🕒 প্রকাশ: ১২:১৭ অপরাহ্ন, ১০ই মে ২০২৩

#

ছবি: সংগৃহীত

বছরের পর বছর ধরে, প্রচলিত নিয়মে বাঁ থেকে ডানে না গিয়ে ঘড়ির কাঁটা ছুটছে উল্টো দিকে। এমনই এক ব্যতিক্রমী ঘড়ির দেখা মিলবে তিউনিসিয়ার দ্য গ্রেট মস্ক অব তিস্তুরের মিনারে। অদ্ভুত নিয়মে চলা এ ঘড়ি বানানো হয়েছে অন্তত ৪০০ বছর আগে। খবর ইয়াহু নিউজের।

১৭ শতকের প্রথম দিকে, স্পেন থেকে আন্দালুসিয়া সম্প্রদায়ের অনেকেই পালিয়ে তিস্তুরে আশ্রয় নেন। তাদেরই একজন নির্মাণ করেছিলেন মসজিদটি। সেই নির্মাণশৈলী এত বছর পরও ছড়াচ্ছে মুগ্ধতা।

সব কিছু ছাপিয়ে অবশ্য মসজিদের রহস্যময় ঘড়িটিই রয়েছে মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রে। এর কাঁটা কেন উল্টো দিকে ঘুরছে তা নিয়ে রয়েছে নানা মত।

অনেকের বিশ্বাস, কাবাঘর তাওয়াফের সময় ডান থেকে বাঁ দিকে ঘোরেন মুসল্লিরা। আর তাই ঘড়িটিও সেভাবেই বানানো হয়েছে। স্থানীয় অনেকের মত, পালিয়ে আসলেও, অতীতে ফিরে যাওয়ার স্বপ্ন দেখতেন আন্দুলিসানরা। তাদের সেই স্বপ্নকেই ঘড়ির মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে।

তিস্তুরের শহর সুরক্ষা সংস্থার সভাপতি রাচিদ সোসি বলেন, কেউ কেউ বলেন— কাবার চারপাশে মুসল্লিরা ডান থেকে বাঁয়ে ঘোরে, আরবি লেখা হয় ডান থেকে বাঁদিকে সে অনুযায়ী ঘড়িটি বানানো হয়েছে। এ ছাড়া অনেকের মতো, তারা আন্দালুসিয়ার স্মরণে ঘড়িটি এভাবে বানিয়েছিল। আন্দালুসিয়া অঞ্চলের অবস্থান মানচিত্রের বাঁ দিকে।

মসজিদের মিনারের গায়ে থাকা আরেক রহস্য ‘দ্য স্টার অব ডেভিড’কে স্থানীয়রা বলছেন একতার প্রতীক। তাদের দাবি, যুগের পর যুগ ধরে তিউনিসিয়ার এই শহরটিতে বিভিন্ন ধর্মের সহাবস্থানকে তুলে ধরছে এই চিহ্ন।

আরো পড়ুন: সৌদি আরবে ১৩ শ বছর আগের মসজিদ সংস্কারের উদ্যোগ

রাচিদ সোসি আরও বলেন, দ্য গ্রেট মস্ক অব তিস্তুরের মিনার তিনটি ধর্মের প্রতিনিধিত্ব করে। ইসলাম তো অবশ্যই; এ ছাড়া মিনারটিতে রয়েছে দ্য স্টার অব ডেভিড যা ইহুদি ও খ্রিস্টান দুই ধর্মেই গুরুত্বপূর্ণ। নিঃসন্দেহে এই শহরের বিভিন্ন ধর্মের বাসিন্দাদের সহাবস্থানকে তুলে ধরেছে।

বিশ্বে উল্টো ঘড়ি এটিই একমাত্র নয়। ইতালি, চেক রিপাবলিক ও জার্মানিতেও রয়েছে এমন অদ্ভুত ঘড়ি।

এম এইচ ডি/ আই. কে. জে/

ঘড়ির কাঁটা মসজিদ

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন