ছবি: সংগৃহীত
গত ১২ বছরে ভারত সফরকারী প্রথম পাকিস্তানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার (এসসিও) একটি বৈঠকে বৃহস্পতিবার গোয়াতে যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি।
তার এ সফর এমন এক সময়ে যখন পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মির এবং পাকিস্তানের সংখ্যালঘুদের অবস্থা নিয়ে সারাবিশ্বে উদ্বেগ বিরাজমান।
সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া পাকিস্তানের চারটি ঘটনা বিশ্লেষণ করা যাক-
প্রথম ঘটনাটি ঘটে, তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) সমর্থকদের উপস্থিতিতে। সিন্ধুর মিরপুর খাসে সংখ্যালঘু আহমদিয়া সম্প্রদায়ের মসজিদ ধ্বংস করা হয়।
অপরদিকে সন্দেহজনকভাবে এক যুবককে হত্যার দায়ে গিলগিট-বাল্টিস্তানের আস্তোর জেলায় বিক্ষোভ করে স্থানীয়রা। জানা যায়, ডয়িয়ান গ্রামের দুই যুবক বেশ কিছুদিন ধরেই নিখোঁজ ছিলেন। তাদের মধ্যে একজনের লাশ ২ মে জোতিয়ালে পাওয়া যায় এবং অপরজন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। বিক্ষোভকারীরা আস্তোর উপত্যকা সড়ক অবরোধ করে কর্তৃপক্ষের কাছে এ ব্যাপারে যথাযথ তদন্তের দাবি করে।
আরো পড়ুন: ঘরে ডেকে কর্মীদের শারীরিক হেনস্থা! পুলিশে অভিযোগ দিতেই পলাতক সন্ন্যাসী
অন্যদিকে ২৬ এপ্রিল, ব্লাসফেমি আইনের ক্রমবর্ধমান অপব্যবহার এবং নাবালিকা মেয়েদের জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত করার প্রতিবাদে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিপুল সংখ্যক লোক লাহোর প্রেসক্লাবের বাইরে জড়ো হন। তারা জানান, পাকিস্তানে অসংখ্য মন্দির ও গির্জা পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে এবং ধর্ম অবমাননার মিথ্যা অভিযোগে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষদের হত্যা করা হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে এ ঘটনাগুলো আরো বৃদ্ধি পেয়েছে।
২৩ এপ্রিল, মুজাফফরাবাদের একজনকে ধর্মীয় অবমাননার দায়ে পাকিস্তানি জনগণ নির্দয়ভাবে পিটায়। জানা যায়, একটি চায়ের দোকানে চা খাওয়ার সময় রেহমান পাকিস্তানের অর্থনীতি নিয়ে আলোচনা করছিল। তখন চায়ের দোকানে উপস্থিত লোকেরা তাকে মারধর করে। পুলিশ তাকে উদ্ধার করে সিভিল হাসপাতালে নিয়ে যায়। তার বিরুদ্ধে ধর্মীয় অবমাননার দায়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
জম্মু-কাশ্মিরে পাকিস্তানের আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদসহ বিভিন্ন কারণে দুই দেশের সম্পর্ক তিক্ত হয়ে রয়েছে। এ অবস্থায় এসসিও এর বৈঠকে গোয়ায় এসে কোনো রকম অস্বস্তিতে ছিলেন না ভুট্টো জারদারি।
খবরটি শেয়ার করুন