প্রতীকী ছবি
‘কুঁড়িতে বুড়ি আর চল্লিশে চালশে’ এই প্রবাদগুলোই এখন চিরাচারিত সত্য। বয়স বেড়ে যাওয়ার সাথে সাথে শরীর ও মনে পরিবর্তন আসে। আর এই পরিবর্তনগুলো মেনে নেওয়াই ভালো থাকার মূলমন্ত্র।
বয়স চল্লিশ হলে বেশিরভাগ মানুষের মধ্যে একটা হতাশা কাজ করে। আর এসময় শারীরিক ক্ষেত্রেও দেখা দেয় বিভিন্ন সমস্যা। এই বয়স থেকেই শুরু হয়ে যায় জয়েন্টে ও হাতে ব্যথা, পেট খারাপ, ওজন বৃদ্ধি-সহ আরও অনেক সমস্যা। অথচ সংসার, কর্মজীবন, সামাজিক জীবন, দায়িত্ব-কর্তব্যের এসবের চাপে নিজেদের যত্ন নেওয়ার বিশেষ সময় পান না অনেকে।
এতে আরও বেশি মানসিক এবং শারীরিকভাবে সম্পূর্ণভাবে ক্লান্ত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা যায়। এক্ষেত্রে মধ্যবয়সীদের সুস্থ থাকতে কিছু পরামর্শ চলুন জেনে নেই-
>> বয়স ৪০ পেরোতেই নিয়মিত হাঁটাচলা করা প্রয়োজন। সুস্থ থাকতে প্রতি দিন অন্তত ৪৫ মিনিট হাঁটুন। এতে হজম-ক্ষমতা বাড়বে। ফলে শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমার আশঙ্কাও থাকবে না।
>> বংশগত অসুস্থতার ইতিহাস সম্পর্কে জেনে নিন। কারণ অনেক সময় প্রজন্মগত কারণে রোগ বাসা বাঁধে শরীরে। এই বিষয়টি জেনে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন। তা হলে অন্তত চিকিৎসকের পরামর্শে ডায়াবেটিস বা হার্টের অসুখের মতো বংশগত রোগ সম্পর্কে আগাম ব্যবস্থা নিতে পারবেন।
>> বয়স ৪০-এর কোঠা পেরোলে ডায়েটে পরিবর্তন আনা খুবই জরুরি। এ সময় প্রতি দিনের ডায়েটে রাখতে পারেন পালং শাক, ব্রকোলি, ফুলকপি, টমেটো, অঙ্কুরিত ছোলার মতো ফাইবারযুক্ত খাবার। এতে কোলেস্টরল, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
আরো পড়ুন: সাবান যখন মশার কামড়ের কারণ
>> সময় মতো খাওয়াটাও কিন্তু জরুরি। দিনের যে কোনও সময়ে খেলে হজমজনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে। দীর্ঘস্থায়ী হজমের গোলমালও কিন্তু হতে পারে এর ফলে। তাই প্রতিবেলার খাবার সময়মত খাওয়ার চেষ্টা করুন।
>> চল্লিশ এর কোটায় এলেই খাবারে অতিরিক্ত লবণ খাওয়া বন্ধ করে দেওয়া উচিত। লবণ এমনিতে শরীরের জন্য ভাল নয়। বয়স একটু বাড়লে লবণ এড়িয়ে চলাই ভাল। বেশি লবণ খেলে উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ হানা দিতে পারে।
এম/