সোমবার, ৮ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২৩শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চীনের অবৈধ কারাগারে উইঘুর বন্দীদের অস্বাভাবিক মৃত্যু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৯:৫৯ অপরাহ্ন, ১০ই জুন ২০২৩

#

ছবি: সংগৃহীত

২০১৭ সালে চীন সরকারের আদেশে জিনজিয়াং প্রদেশের অন্যান্য মুসলিমদের মতো নির্বিচারে কারাগারে বন্দি হওয়া একজন উইঘুর টুপিবিক্রেতা এবং তার স্ত্রী কারাগারেই মৃত্যুবরণ করেছেন বলে জানা যায়।

কাশগর প্রদেশের মারালবেশি গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা হাজী আহুন এবং তার স্ত্রী মেহপিরেমহানকে অবৈধ ধর্মীয় কার্যকলাপের অভিযোগে ২০১৯ সালে তুমশুক কারাগারে ১০ বছরের জন্য কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।

২০১৭ সালে এভাবেই অনেক উইঘুর নাগরিকদেরকে বিনা বিচারে কারাগারে প্রেরণ করা হয় এবং তাদের বিরুদ্ধে বিচারকার্য পরিচালনা করা হয়।

প্রাথমিকভাবে মুসলিম উইঘুরদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য চীন ব্যাপক আন্তর্জাতিক সমালোচনার সম্মুখীন হয়।

জার্মান বুন্ডেস্ট্যাগ সহ মার্কিন সরকার এবং অন্যান্য পশ্চিমা পার্লামেন্ট, এই ধরনের কার্যক্রমকে গণহত্যা বা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ বলে অভিহিত করে।

মারালবেশি এলাকার একজন বাসিন্দা জানান, তুমশুক কারাগারে মৃত এমন অনেক কয়েদিদের মৃতদেহ ঈদুল ফিতরের কয়েকদিন আগে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

উইঘুর মোটরবাইক মেকানিক মেমেতুরসুন মেতনিয়াজ তাদের মধ্যে একজন ছিলেন। তার মৃতদেহও তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে কারা কর্তৃপক্ষ। 

২০১৭ সালের শুরুর দিকে, মারালবেশির একজন বাসিন্দাকে সৌদি আরবে হজ পালনের জন্য কারাবন্দী করা হয়।

আরো পড়ুন: 'অখণ্ড ভারতে'র পাল্টায় 'অখণ্ড নেপালে'র মানচিত্র টানালেন কাঠমান্ডুর মেয়র

কারা কর্তৃপক্ষ লাশ হস্তান্তরের বিষয় স্বীকার করলেও লাশের সঠিক পরিমাণ জানাতে পারে নি। তবে কারাবন্দীরা দূষিত খাবার খেয়ে অস্বাভাবিকভাবে মৃত্যুবরণ করেছে বলে একটি গুজব ছড়ায়।

২০১৯ সালে সাজা হওয়ার পর থেকে হাজী আহুন এবং তার স্ত্রী একই কারাগারে ছিলেন। সেখানেই তারা মারা যান।

এম এইচ ডি/

মুসলিম চীন কারাগার উইঘুর বন্দী মৃত্যু

খবরটি শেয়ার করুন