লিপস্টিক, চুড়ি, টিপ পরে মেয়েদের ছদ্মবেশ নিয়ে পরীক্ষা দিতে গিয়েছিলেন এক যুবক। ভুয়া পরিচয়কে সত্য প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টায় নকল আইডি কার্ডও তৈরি করেছিলেন এই যুবক। উদ্দেশ্য ছিলো পরীক্ষায় প্রেমিকার হয়ে প্রক্সি দেওয়া।
কিন্তু পরীক্ষকদের হাতে ধরা পড়ে যান তিনি। এ নিয়ে ব্যাপক হাস্যরস তৈরি হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়ও। সম্প্রতি ভারতের পাঞ্জাবে ঘটেছে এই ঘটনা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের বরাতে জানা যায়, গত ৭ই জানুয়ারি কোটকাপুরার ডিএভি পাবলিক স্কুলে স্বাস্থ্যকর্মীদের একটি পরীক্ষা নিয়েছিল বাবা ফরিদ ইউনিভার্সিটি অব হেলথ সায়েন্সেস। ওই লিখিত পরীক্ষায় প্রেমিকা পরমজিত কৌরের হয়ে অংশ নিতে গিয়েছিলেন প্রেমিক আংরেজ সিং।
এর জন্য ভুয়া ভোটার কার্ড, আধার কার্ড তৈরি করে নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। কপালে টিপ, হাতে লাল চুড়ি, পরনে মেয়েদের পোশাক- মেয়ে সাজার চেষ্টায় কোনো কমতি রাখেননি এই যুবক।
আপাতদৃষ্টিতে, তার পরিকল্পনা নিশ্ছিদ্রই মনে হচ্ছিল। কিন্তু এতে জটলা বাঁধে আঙুলের ছাপ নিয়ে। বায়োমেট্রিক ডিভাইসে আঙুলের ছাপ দিতেই ধরা পড়ে যায়, তিনি আসল পরীক্ষার্থী নন।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে এক ডিম ৩৪ রুপি, মুরগির কেজি ৬১৫
এমন পরিস্থিতিতে ব্যাপক হাস্যরস তৈরি হয় পরীক্ষার হলে। শেষ পর্যন্ত, অভিযুক্ত আংরেজ সিংকে পুলিশে হস্তান্তর করা হয়। আর তার প্রেমিকা পরমজিতের পরীক্ষার আবেদন বাতিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
সূত্র: এনডিটিভি
এসকে/
খবরটি শেয়ার করুন