ছবিঃ সংগৃহীত
এখন পেয়ারারই মৌসুম। বাজার ভর্তি পেয়ারা। গাছে, বাজারে ভরে রয়েছে ডাসা-পাকা পেয়ারা। ভিটামিন সি এর এতবড় উৎস যখন হাতের কাছেই তাও এড়িয়ে যাচ্ছেন?
পেয়ারাতে কি গুণ রয়েছে?
নুন, তেল, কাচা লঙ্কা দিয়ে মাখা ডাসা পেয়ারার স্বাদই আলাদা। স্বাদের পাশাপাশি পুষ্টিগুণেও মাত দেয় পেয়ারা। তাই তো উপকারী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইবারে ঠাসা এই মৌসুমি ফল দিয়েই নিন শরীরের যত্ন।
হজমের সমস্যা দূর হবে-
ফাইবারে পরিপূর্ণ পেয়ারা। তাই নিয়মিত এই ফল খেলে হজমের সমস্যা দূর হবে। পাশাপাশি আর চিন্তা বাড়াবে না কোষ্ঠকাঠিন্যও। এছাড়াও ডায়রিয়া ও আমাশা দূর করতে বহুকাল ধরে এই গাছের পাতা আর ছালের ব্যবহার হয়ে আসছে।
হার্টের বন্ধু পেয়ারা-
পটাশিয়ামে ভরপুর এই মৌসুমি ফল। এটি খনিজ রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণ রাখে। ফলে পেয়ারা পাতে থাকলে হার্ট থাকবে সুস্থসবল।
ওজন কমাতে সিদ্ধহস্ত-
পেয়ারা ক্যালরির পরিমাণ খুবই কম। আর ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় পেয়ারা খেলে তা অনেক্ষণ পেটে থাকে। ফলে বেশিরভাগ খেতে হয় না। তাই ওয়েট লস জার্নিতে এর কোনও জুড়ি নাই।
ত্বকের স্বাস্থ্য ফেরায়-
ভিটামিন সি এবংঅ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে পেয়ারাতে। এসব উপাদান কোলাজেন উৎপাদনকে ত্বরান্বিত করে ইউভি রশ্মির ক্ষতির হাত থেকে ত্বককে বাঁচায়। ভিটামিন সি এর কারণে ত্বকের প্রদাহ আর ব্রণও দূর হয়।
চোখ ভালো রাখতে সাহায্য করে-
চোখের স্বাস্থ্যেও এই ফলের জুড়ি মেলা ভার। বর্ষায় কনজাংটিভাইটিসের প্রকোপ বাড়ছে। তাই এই সময় পেয়ারা খেলে মিলবে সুফল।
নিয়ন্ত্রণে থাকবে ব্লাড সুগার-
পেয়ারার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম। ফলে এই মৌসুমি ফলেই বাগে থাকবে ব্লাড সুগার।
বর্ষায় কেন পেয়ারা খাবেন?
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে এই সময় সর্দি-কাশি-জ্বর অবধারিত। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ পেয়ারা আমাদের ইউনিটি বাড়িয়ে রোগভোগ থেকে আড়াল করে।
সূত্রঃ এইসময়
এসকে/