ছবি: সংগৃহীত
গুলশান থানার মানি লন্ডারিং আইনের মামলায় কথিত যুবলীগ নেতা এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমসহ আট জনের মামলায় আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের তারিখ পিছিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ মে) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালতে এ মামলায় আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের দিন ছিল৷ তবে আসামিক্ষের আইনজীবীরা সময় আবেদন করেন।
আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ৩০ মে ধার্য করেন।
এর আগে গত ৬ মার্চ রাষ্ট্রপক্ষ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মাহমুদুল হাসান। আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ সাজা ১২ বছর কারাদণ্ড চায় রাষ্ট্রপক্ষ।
জিকে শামীম ছাড়া এ মামলার অন্য আসামি হলেন, মো. দেলোয়ার হোসেন, মো. মোরাদ হোসেন, মো. জাহিদুল ইসলাম, মো. শহীদুল ইসলাম, মো. কামাল হোসেন, মো. সামসাদ হোসেন ও মো. আনিছুল ইসলাম।
গত ২১ ডিসেম্বর মামলাটির সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়। মামলাটিতে চার্জশিটভুক্ত ২৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত। এরপর চলতি বছর ১৭ জানুয়ারি আসামিরা আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য রাখেন।
২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর দুপুরে নিকেতনের নিজ বাসা থেকে শামীমকে আটক করা হয়। এ সময় জিকে শামীমের কাছ থেকে প্রায় ২০০ কোটি টাকার এফডিআর চেকসহ বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশি টাকা জব্দ করা হয়। তার কাছ থেকে একটি অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়।
আরো পড়ুন: রিট খারিজের আদেশ বহাল, আইনজীবীকে লাখ টাকা জরিমানা
এ ঘটনার পর র্যাব-১ এর নায়েব সুবেদার মিজানুর রহমান ২১ সেপ্টেম্বর গুলশান থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবু সাঈদ তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ৪ আগস্ট আদালতে জিকে শামীম ও তার সাত দেহ রক্ষীর বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।
২০২০ সালের ১০ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
প্রসঙ্গত, জি কে শামীম ও তার ৭ দেহরক্ষীকে ২০২২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর অস্ত্র আইনের মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শেখ ছামিদুল ইসলাম। এরপর দ্বিতীয় কোনো মামলায় তাদের বিচার শেষ হতে যাচ্ছে।
এসি/আইকেজে
খবরটি শেয়ার করুন