ছবি: সংগৃহীত
ডিমে কোলিন এবং লুটেইনের মতো অনেক পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা আপনাকে অনেক রোগ থেকে রক্ষা করে। সেই সঙ্গে মনকেও সুস্থ রাখে। ডিমের কুসুম অর্থাৎ এর হলুদ অংশে রয়েছে বায়োটিন, যা স্বাস্থ্যকর ত্বক, চুল এবং নখের পাশাপাশি ইনসুলিন উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয়। ডিম ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ, যা ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য উপকারী চর্বি হিসেবে পরিচিত।
আগে ডিম খাওয়া ডায়াবেটিস ও হৃদরোগীদের জন্য ভালো মনে করা হতো না কারণ এতে অতিরিক্ত পরিমাণে কোলেস্টেরল থাকে। কিন্তু এটি রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়ায় না কারণ ডিমে ভালো কোলেস্টেরল পাওয়া যায়। তারপরও হৃদরোগীদের চিকিৎসকের পরামর্শেই ডিম খাওয়া উচিত।
ডায়াবেটিস রোগীরা সীমিত পরিমাণে ডিম খেলে তা কোনোভাবেই ক্ষতিকর নয়। গবেষণায় দেখা গেছে, ডিমের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম থাকে, যার ফলে এটি খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। ডায়াবেটিসে ডিম খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা অনেকাংশে কমানো যায়। যদি কারও রক্তে উচ্চ পরিমাণে শর্করা থাকে তাহলে তার ওজনের দিকে বিশেষ নজর দেওয়া উচিত। এছাড়াও ডিম খাওয়া ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য আরও অনেক কারণে উপকারী। যেমন-
আরো পড়ুন : ঝটপট তৈরি করে ফেলুন ডিমের কোরমা
১. ডিমে ভিটামিন এ, বি ৬, বি ১২ এবং সেলেনিয়ামের মতো প্রয়োজনীয় ভিটামিন থাকে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
২. ডিমে লুটেইন এবং জেক্সানথিন নামক পুষ্টিকর উপাদান রয়েছে যা চোখ সুস্থ রাখতে প্রয়োজনীয়।
৩. একজন ডায়াবেটিস রোগী দ্রুত ক্লান্ত হয়ে যায়। এই সমস্যা মোকাবিলায় ডিম খাওয়া উপকারী হতে পারে। ডিম প্রোটিন, থায়ামিন, রিবোফ্লাভিন, ফোলেট এবং ভিটামিন বি ৬, বি ১২ সমৃদ্ধ, যা শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
একজন ডায়াবেটিস রোগী কয়টি ডিম খেতে পারেন?
ডায়াবেটিস থাকলে সপ্তাহে তিনবার ডিম খাওয়াই যথেষ্ট। এছাড়াও ডিমের সাদা অংশ খেলে বেশি উপকার পাওয়া যাবে। এর সাথে ডিম খাওয়ার পদ্ধতিগুলোও জানা জরুরি। রান্নার তেল বা মাখনে ডিম সিদ্ধ করলে তা খাওয়া ক্ষতিকর । এতে উপকারের পরিবর্তে ক্ষতি হতে পারে। সেক্ষেত্রে সিদ্ধ ডিম খাওয়া স্বাস্থ্যকর । কারও যদি ডায়াবেটিসের পাশাপাশি কোলেস্টেরলও বেশি থাকে, তাহলে দিনে মাত্র একটি ডিম খান।
সূত্র: ইন্ডিয়া টিভি
এস/ আই. কে. জে/