ছবিঃ সংগৃহীত
তিব্বত সংসদ ইন এক্সাইল (টিপিআইই) এর তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ভারতের উড়িষ্যার ভুবনেশ্বরে নাগরিক সমাজের সদস্যদের সাথে দেখা করেন। সেখানে তারা অভিযোগ করেন যে, চীন তিব্বতে সাংস্কৃতিক আগ্রাসন চালাচ্ছে। এ পরিস্থিতি প্রতিরোধে তারা সুশীল সমাজের সহযোগিতার কামনা করেন।
রবিবার (২১ আগস্ট) সন্ধ্যায় সেন্টার ফর ইয়ুথ অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট (সিওয়াইএসডি) এর নাগরিক সমাজের সদস্যদের সম্বোধন করে, তিব্বতের নির্বাসিত সরকারের কেন্দ্রীয় তিব্বত প্রশাসনের সর্বোচ্চ আইন প্রণয়নের এক কক্ষের সদস্য ইউডন অকাটসাং তিব্বতের বর্তমান পরিস্থিতির বর্ণনা করেন।
তিনি জানান, ”চীনের সাথে সীমান্ত বিরোধে জড়িয়ে থাকা ভারতের জন্যেও তিব্বত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
তিব্বত কখনোই চীনের অংশ ছিল না বলে প্রকাশ করে তিনি জানান, “চীনারা অরুণাচল প্রদেশ, লাদাখ এবং ভারতের অন্যান্য সীমান্ত আক্রমণ করে ভারতকে চাপের মুখে রাখতে চাইছে, যেন ভারত তিব্বতকে সমর্থন না করে। তিনি তিব্বতের পরিস্থিতি তুলে ধরার চেষ্টা করেন।”
১৯৩০ থেকে ১৯৫০ সাল পর্যন্ত তিব্বতে স্বাধীন সরকারব্যবস্থা ছিল৷ কিন্তু চীনা আগ্রাসনের পর থেকে তিব্বতিরা তাদের স্বাধীনতা হারায়। বর্তমানে চীন তাদের উপর সাংস্কৃতিক আগ্রাসন চালাচ্ছে। তিব্বতি শিশুদের জোরপূর্বক চীনে ধরে নিয়ে যাচ্ছে এবং তাদেরকে তিব্বতি সংস্কৃতি থেকে দূরে ঠেলে দিচ্ছে বলে জানান ইউডন অকাটসাং।
তিনি রাজ্যসভার সদস্য এবং তিব্বতের সংসদীয় ফোরামের আহ্বায়ক সুজিত কুমারকে বিষয়টি সংসদে তোলার জন্য বলেন। তিব্বতকে সহযোগিতা করার জন্য তিনি ভারত ও জাপানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
রাজ্যসভার সদস্য সুজিত কুমার বলেন, “তিব্বত কখনোই চীনের অংশ ছিল না, এ কথা আজ সবাই জানে। কিন্তু অতীতের কিছু ভুলের কারণে আজ তিব্বত চীনের তথাকথিত অংশ হয়ে উঠেছে। চীনের আগ্রাসন চলাকালীন সময়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ বাকি বিশ্ব নীরব ছিল।”
উড়িষ্যার গজপতি জেলার চন্দ্রগিরিতে একটি তিব্বতি জনবসতি রয়েছে উল্লেখ করে সুজিত কুমার বলেন, ”এখানে ৩২০০ লোক বাস করে এবং স্থানীয়দের সাথে তিব্বতিদের কোন প্রকার বিরোধ নেই।
উল্লেখ্য, ১৯৫১ সালে চীন জোরপূর্বক তিব্বত দখল করে নেয় এবং এখন পর্যন্ত তিব্বত চীনের দখলেই রয়েছে। চীনাদের অত্যাচারে ১৯৫৯ সালে বর্তমান ১৪ তম দালাইলামার নেতৃত্বাধীন সরকার ভারতে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়। প্রতিনিধি দল তিব্বতের জন্য প্রকৃত স্বায়ত্তশাসনের দাবি জানান।
এসকে/
খবরটি শেয়ার করুন