সোমবার, ৮ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২৩শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দিল্লিতে বৌদ্ধ তীর্থস্থান ভ্রমণ বিষয়ক সম্মেলন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০১:৪৩ অপরাহ্ন, ৮ই আগস্ট ২০২৩

#

আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ কনফেডারেশন (আইবিসি) ভারতের দিল্লিতে দেশটির সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় বৌদ্ধ তীর্থযাত্রার তাৎপর্যের উপর গুরুত্বারোপ করে  একটি অনুপ্রেরণামূলক আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজন করেছে। তরুণ বৌদ্ধ পণ্ডিতদের জন্য আয়োজিত এ সম্মেলনে বৌদ্ধ তীর্থযাত্রার তাৎপর্যের উপর গুরুত্বারোপ করা হয়। সম্মেলনে উপস্থিত তরুণেরা বৌদ্ধ তীর্থযাত্রার গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করে।

এই সম্মেলনের প্রাথমিক উদ্দেশ্য ছিল উদীয়মান তরুণ বৌদ্ধদের অন্তর্দৃষ্টির বহি:প্রকাশ ঘটানো এবং সেইসাথে বৌদ্ধধর্মের অগ্রগতিতে অবদান রাখা। ভারতের আটটি বৌদ্ধ তীর্থস্থান এবং দেশ-বিদেশের আরো বৌদ্ধ তীর্থস্থানের প্রতি তরুণদের মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টিও এ সম্মেলনের অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল।

বৌদ্ধ প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিত্বকারী বিভিন্ন দেশের ৭০ জনেরও বেশি তরুণ বৌদ্ধ পণ্ডিত এ সম্মেলনে অংশ নেন। সারা বিশ্বের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ এবং গবেষকেরা বৌদ্ধ তীর্থযাত্রার বহুমাত্রিক দিকগুলো অন্বেষণ করতে এ সম্মেলনে একত্র হন এবং বিষয়টির প্রতি তাদের মূল্যবান দৃষ্টিভঙ্গি ব্যক্ত করেন।

সম্মেলনে এক গবেষক বৌদ্ধ তীর্থযাত্রার শারীরিক এবং মানসিক তুলে ধরেন। তিনি বলেন, তীর্থযাত্রার ফলে একজন তীর্থযাত্রীর মানসিক উন্নতি সাধিত হয়। এ মানসিক উন্নতি একজনের ভক্তি ও বিশ্বাসের সাথে সম্পর্কিত। শ্রদ্ধার সাথে তীর্থ ভ্রমণ করে একজন তার চিন্তাভাবনা ও কর্মকে শুদ্ধ করতে পারে।

দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিখ্যাত পণ্ডিত ও গবেষক, জিগমেট ওল্ডেন লাদাখের গুরু পদ্মসম্ভবের ঐতিহাসিক তীর্থ স্থানগুলোর কথা বলেন। তিনি বলেন যে, তীর্থযাত্রা বৌদ্ধধর্মে উল্লেখযোগ্য স্থান দখল করে আছে। তীর্থস্থান ভ্রমণ বৌদ্ধদের আধ্যাত্মিক অনুশীলনকে গভীর করতে, তাদের বিশ্বাসের সাথে সংযোগ স্থাপন করতে এবং তাদের মধ্যে মননশীলতা ও সহানুভূতি গড়ে তুলতে সাহায্য করে। 

এ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইন্ডিয়ান ট্রাস্ট ফর রুরাল হেরিটেজ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইটিআরএইচডি) এর চেয়ারম্যান এস কে মিশ্র। সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন হরিয়ানার সাহিত্য ও সংস্কৃতি একাডেমির ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর কূলদীপ চাঁদ অগ্নিহোত্রী। তিনি বৌদ্ধ তীর্থযাত্রার গুরুত্ব এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের উপর এর গভীর প্রভাব সম্পর্কে আলোকপাত করে তার মূল বক্তব্য প্রদান করেন।

এছাড়া দেশটির শ্রীলঙ্কান হাইকমিশনের নয়াদিল্লির মিনিস্টার কাউন্সিলর জেকেজে শরৎ গোদাকান্দা এ সম্মেলনে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলনে তিনি সারাবিশ্বের বৌদ্ধদের যে সমন্বয় হয়েছে সে বিষয়ে কথা বলেন। 

সম্মেলনটি তরুণ প্রজন্মকে বৌদ্ধ তীর্থস্থান ভ্রমণের প্রতি আকৃষ্ট করে। তাছাড়া সারাবিশ্বের বৌদ্ধদের সমবেত করার মাধ্যমে এ সম্মেলন বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের জন্য একটি উজ্জ্বল ও আলোকিত ভবিষ্যতের রাস্তা প্রসারিত করে দেয়। 

এম.এস.এইচ

ভারত

খবরটি শেয়ার করুন