শুক্রবার, ৫ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২১শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ধীরে ধীরে মিলিয়ে যাচ্ছে শনিগ্রহের বলয়

ডেস্ক নিউজ

🕒 প্রকাশ: ০৮:৫০ অপরাহ্ন, ২৬শে মে ২০২৩

#

ছবি: সংগৃহীত

টেলিস্কোপের মাধ্যমে মহাকাশের সুন্দর, সুবিশাল শনিগ্রহের বলয় হয়ত ভবিষ্যৎ জ্যোতির্বিদরা আর দেখতে পারবেন না। কারণ বরফের তৈরি এ বলয় ধীরে ধীরে মিলিয়ে যাচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার কাসিনি মিশনের তথ্য নতুন করে আবারও বিশ্লেষণ করা হয়েছে। ২০০৪ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত কাসিনি শনিগ্রহ প্রদক্ষিণ করেছিল। আর নতুন করে তথ্য বিশ্লেষণের পর একটি ধারণা পাওয়া গেছে, শনিগ্রহের পাশে কখন এ বলয়ের সৃষ্টি হয়েছিল এবং কখন এটি মিলিয়ে যাবে। চলতি মে মাসে তিনটি গবেষণাপত্রে এসব তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

শনিগ্রহের বলয় কখন তৈরি হয়েছিল?

আমাদের সৌরজগতের সৃষ্টি হয়েছিল ৪৬০ কোটি বছর আগে। বিজ্ঞানীরা দীর্ঘদিন ধরেই বলছেন, শনিগ্রহের পাশে থাকা বলয়টি ওই সময়ই হয়ত সৃষ্টি হয়নি এবং কিছু জ্যোতির্বিজ্ঞানী বলেছেন, আগে যে ধারণা করা হয়েছে, এরচেয়েও তরুণ শনির বলয়। কারণ এই বলয়টি এখনো কালো হয়ে যায়নি বা ক্ষয়প্রাপ্ত হয়নি।

গত ১৫ মে ইকারাস নামের একটি জার্নালে কাসিনির তথ্য প্রকাশ করা হয়। এতে শনিগ্রহ সৃষ্টির অনেক পর বলয়টি সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিমত দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ১২ মে সাইন্স অ্যাডভান্স জার্নালে প্রকাশিত প্রতিবেদনেও একই কথা বলা হয়েছে।

ইকারাসের প্রধান উদ্ভাবক ও ইন্ডিয়ানা ব্লুমিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরাটস প্রফেসর রিচার্ড ডুরিসন বলেছেন, ‘আমাদের মতামত হলো শনিগ্রহের বলয় জ্যোতির্বিদ্যার মান অনুযায়ী অবশ্যই তরুণ, মাত্র কয়েক লাখ বছর পুরোনো।’

আরো পড়ুন: সবচেয়ে গভীর জলের মাছের খোঁজ পেলেন বিজ্ঞানীরা

তিনি আরও বলেছেন, ‘যদি আপনি শনির স্যাটেলাইট ব্যবস্থার দিকে তাকান, সেখানে ইঙ্গিত পাওয়া যায় গত কয়েক লাখ বছরে এখানে নাটকীয় কিছু ঘটেছিল। যদি শনির বলয় পৃথিবীর সমান পুরোনো না হয়, তার মানে এটি তৈরি হতে অসাধারণ কিছু ঘটেছিল। আর এটি নিয়ে গবেষণা করার বিষয়টি রোমাঞ্চকর হবে।’

কখন বলয়টি মিলিয়ে যাবে?

কাসিনি যে তথ্য সংগ্রহ করেছে সেটি বিশ্লেষণ করে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বলছেন আগামী কয়েক লাখ বছরের মধ্যেই হয়ত এটি মিলিয়ে যাবে। কিন্তু এর আগে বলা হয়েছিল, শনির বলয়টি হয়ত আরও ১ কোটি বছর থাকবে।

সূত্র: সিএনএন

এম এইচ ডি/

শনিগ্রহের বলয় ভিন্ন স্বাদের খবর বিশ্ব সংবাদ টেলিস্কোপ মহাকাশ জ্যোতির্বিজ্ঞানী সৌরজগত

খবরটি শেয়ার করুন