ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশি গবেষকদের উদ্ভাবিত নতুন জাতের মুরগী ‘বাউ চিকেন’ বড় সম্ভাবনা দেখাচ্ছে। খেতে দেশি মুরগির মতোই স্বাদ হওয়ায় বাড়ছে বাউ চিকেনের চাহিদা। গড়ে উঠছে বাণিজ্যিক খামারও। নতুন জাতের এই মুরগী পালন করে বাজিমাত করেছেন কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার প্রান্তিক খামারী হাসান আলী। তার সাফল্যে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন এলাকার আরও অনেকে।
দেশি মুরগীর দাম খুবই চড়া। অনেকেটা সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে। এমন বাস্তবতায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক কয়েক বছর আগে ‘বাউ চিকেন’ নামে নতুন একটি মুরগীর জাত উদ্ভাবন করেন।
এ মুরগীর মাংসের স্বাদ অনেকটা দেশি মুরগীর মতোই। দেশীয় জলবায়ুর সাথে মানানসই বাউ চিকেন পালন করে সাড়া ফেলেছেন মিরপুর উপজেলার নওয়াপাড়ার খামারী হাসান আলী। চাহিদা বেশি থাকায় মুনাফাও হচ্ছে ভালো।
বাউ চিকেন খামারী হাসান আলী বলেন, “৪৫ দিনে এই মুরগী ৯শ’ থেকে ১ কেজি ওজন হয়। লাভও বেশি, দেশি মুরগীর স্বাদ আর এই বাউ মুরগীরও স্বাদ একই রকম।”
হাসান আলীর স্ত্রী জানান, বয়লার, সোনালী কিংবা পাকিস্তানী জাতের চেয়ে এই মুরগীতে রোগবালাই কম। ওষুধ লাগে না, দেশি মুরগীর মতনই।হাসান আলীর সাফল্যে উদ্বুদ্ধ হয়ে এলাকার অন্য খামারীরা আগ্রহী হয়ে উঠছেন বাউ চিকেন পালনে।
এলাকাবাসীরা জানান, হাসান ভাই থেকে মুরগী কিনেছি, এর ৬ মাস পর থেকেই মুরগী ডিম দিচ্ছে। এই জাতের মুরগী পুষে লাভবান হয়েছি।
আরো পড়ুন: সাইপ্রাসে ফসল রক্ষা করছে বিরল প্রজাতির পেঁচা
দিশা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ইলমী মীম আহমেদ বলেন, “এই জাতটা খামারিদের দিচ্ছি, তাদের আগ্রহও অনেক বেশি। কারণ এটাতে দেশী মুরগীর স্বাদ এবং দেশীয় আবহাওয়ার সাথে মানানসই।
মিরপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এস এম মাহমুদুল হক বলেন, “বাউ চিকেন অনেক জনপ্রিয় হয়েছে। প্রাণিসম্পদ ও এনজিওর পক্ষ থেকে সমন্বিতভাবে চেষ্টা করছি বাউ চিকেনকে মানুষের মধ্যে আরও জনপ্রিয় করে তোলা যায়।”
দেশি মুরগীর চেয়ে বাউ চিকেনের দাম কিছুটা কম। নতুন জাতের এ মুরগি দেশের মাংসের চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলছেন সংশ্লিষ্টরা।
এসি/এম