নতুন সমস্যার সম্মুখীন চীনের অর্থনীতি
পলিটব্যুরোর বৈঠকে গত সোমবার চীনের শীর্ষ নেতারা চীনা অর্থনীতির নতুন অসুবিধা ও চ্যালেঞ্জসমূহ নিয়ে আলোচনা করেন।
দেশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা প্রতিবছর আগস্টে গ্রীষ্মকালীন ছুটি উপভোগ করেন। এর আগে দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য জুলাইয়ের শেষ দিকে তারা একত্রিত হন।
মূলত কোভিড পরবর্তী সময়েও চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এখনও মন্থর। অপর্যাপ্ত চাহিদা, কিছু কোম্পানির কার্যক্ষম অসুবিধা, বিভিন্ন ক্ষেত্রে ঝুঁকি এবং জটিল পরিবেশ- সব মিলিয়ে চীনের বর্তমান অর্থনৈতিক কার্যক্রম নতুন অসুবিধা ও চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে।
চীনকে সুনির্দিষ্ট ও কার্যকর সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রবিধান বাস্তবায়ন করতে হবে বলে সম্মত হন পলিটব্যুরোর সদস্যরা।
প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের নেতৃত্বে আয়োজিত বৈঠকে সময়োপযোগীভাবে রিয়েল এস্টেট নীতিগুলো বাস্তবায়ন করার জন্য আহ্বান জানানো হয়।
বছরের দ্বিতীয় ভাগে এসে চীনের অর্থনীতি ৬.৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে বিশ্লেষকরা ধারণা করেছিলেন এ পরিমাণ হবে ৭.১ শতাংশ। অর্থাৎ চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বিশ্লেষকদের আশা থেকে অনেক কমে গিয়েছে।গত বছরের তুলনায় এ বছরও চীনের অর্থনৈতিক অগ্রগতি হতাশাজনক।
মে মাসে যেখানে বেকারত্বের পরিমাণ ছিল ২০.৮ শতাংশ, জুন মাসে তা বৃদ্ধি পেয়ে ২১.৩ শতাংশ হয়েছে।
আবাসন প্রকল্পগুলো সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে এ কয়েক মাসে। গত মাসে পিপলস ব্যাংক অব চায়না সুদের হার কমায় এবং সম্পত্তি খাতে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিলেও এ ব্যাপারে দৃঢ় কোনও পদক্ষেপ নেয়নি।
আরো পড়ুন: অনাস্থা ভোটের মুখে নরেন্দ্র মোদি
শুক্রবার অটোমোবাইল ক্রয়কে উৎসাহিত করতে বেশ কয়েকটি ব্যবস্থা গ্রহণ করে চীন। অন্যদিকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং ইলেকট্রনিকস ব্যবহারকেও উৎসাহিত করতে আরো পদক্ষেপ গ্রহণের চিন্তাভাবনা করছে চীন সরকার।
কয়েক দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন প্রবৃদ্ধির আশা রাখছে এবার চীন। এই বছর প্রায় ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির আশা করছে চীন সরকার।
এম এইচ ডি/ আই. কে. জে/