ছবি-ফাইল
বিশ্ব সঙ্গীত মঞ্চের পুরস্কারের জন্য মনোনীত হল মোদীর লেখা গান। গ্র্যামি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছে মোদীর লেখা একটি গান। বাজরা নিয়ে গান লিখেছিলেন মোদী। সেই গানটি মনোনীত হয়েছে গ্র্য়ামি পুরস্কারের জন্য।
শুক্রবার ঘড়ির কাঁটা মধ্যরাত ছোঁয়ার আগেই বড় সারপ্রাইজ পেল গোটা দেশ। নরেন্দ্র মোদীর লেখা গান জায়গা করে নিল বিশ্ব সঙ্গীতের সবচেয়ে বড় পুরস্কারের মঞ্চে। পুরস্কারের বেস্ট গ্লোবাল মিউজিক পারফরম্যান্স বিভাগে মনোনীত হয়েছে তাঁর ‘অ্যাবানডেন্স অফ মিলেটস’ শীর্ষক গানটি।
২০২৩ সালকে মিলেট বর্ষ হিসাবে ঘোষণা করেছে ইউনাইটেড নেশনস। বছরের গোড়া থেকেই এই শস্যের উৎপাদন বৃদ্ধি ও উপকারিতার প্রচারে গুরুত্ব দিয়ে আসছেন প্রধানমন্ত্রী।
সেই লক্ষ্যে গ্র্যামি পুরস্কার জয়ী ফাল্গুনী শাহের সঙ্গে হাত মেলান নমো। লিখে ফেলেন, ‘হোয়াট ইফ উই কুড চেঞ্জ দ্য ওয়ার্ল্ড’। এই পরিবর্তের ডাক দিয়েই গ্র্যামির মঞ্চে মোদী। যা গোটা দেশের কাছের গর্বের বিষয়।
গানের মূল ভাষা ইংরাজি হলেও, হিন্দি শব্দের ব্যবহারও করা হয়েছে ‘অ্যাবানডেন্স অফ মিলেট্স’ গানে। গায়িকা ও গীতিকার ফাল্গুনী শাহের জন্ম মুম্বইতে। সঙ্গীত জগতে তিনি ফালু নামেই প্রসিদ্ধ।
গত জুন মাসে মুক্তি পেয়েছিল এই গান। সেই সময় ফালু জানিয়েছিলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং আমার স্বামী গৌরব এই গানের কথা লিখেছেন। ইংরেজি এবং হিন্দি— এই দুই ভাষাতেই গানের কথা লেখা হয়েছে।’
আরো পড়ুন: শামিকে বিয়ে করতে প্রস্তুত যে বলিউড অভিনেত্রী
গত বছর আ কালারফুল ওয়ার্ল্ড’ এর জন্য গ্র্যামি পুরস্কার জিতেছিলেন ফাল্গুনী। এরপরই গ্র্যামি হাতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি, সেইসময়ই মিলেট নিয়ে গান তৈরির ভাবনা মাথায় আসে তাঁর।
বেস্ট গ্লোবাল মিউজিক পারফরম্যান্স ক্যাটেগরিতে ফাল্গুনী, গৌরব ও মোদী ছাড়াও মনোনয়ন কুড়িয়েছে আরুজ আফতাব, বিজয় আইয়ার, শাহজাদ ইসমাইলির শ্যাডো ফোর্স, ব্রুনা বয়ের অ্যালোন, ডাভিডো-র ফিল-সহ আরও অজস্র নামীদামী শিল্পীর গান।
সিন্ধু সভ্যতার সময় থেকে বাজরা বা মিলেটজাতীয় শস্যের ফলন হচ্ছে এ দেশে। বর্তমানে ১৩০টিরও বেশি দেশে চাষ করা হয় এই শস্য, অনুন্নত দেশ কিংবা উন্নয়শীল দেশে ক্ষুধা দূর করতে বাজরার জুড়ি মেলা ভার।
এই মিউজিক ভিডিওতে একাধিক বক্তব্যের অংশ তুলে ধরা হয়েছে, যেখানে বাজরা চাষ দেশের কৃষকদের কেমনভাবে লাভজনক হবে সেকথা তুলে ধরেছেন।
এসি/ আই.কে.জে/