ছবি: সংগৃহীত
নাটোরের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সঙ্গে মিশে আছে কাঁচাগোল্লার নাম। তাই কাঁচাগোল্লার নাম শুনলেই নাটোর এবং নাটোর নামটি শুনলে সবার আগে চলে আসে কাঁচাগোল্লার নামটি। নাটোর ও কাঁচাগোল্লা যেন একই সূত্রে গাঁথা। এখন সেই বিখ্যাত কাঁচাগোল্লা ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য (জিআই) হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। কাঁচাগোল্লা দেশের ১৭তম নিজস্ব জিআই পণ্য। গত মঙ্গলবার (০৮ আগস্ট) শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত জিআই সনদপত্র নাটোরের জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কাছে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) দুপুরে জেলা প্রশাসক আবু নাছের ভূঁঞা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আবু নাছের ভূঁঞা বলেন, নাটোরের ঐতিহ্যবহনকারী জনপ্রিয় এ কাঁচাগোল্লা এখন জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এতে আমরা ও নাটোরবাসী গর্বিত। ভবিষ্যতে কীভাবে বিশ্বব্যাপী কাঁচাগোল্লার প্রসার ঘটানো যায়, সে ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেউ যাতে এ পণ্যকে বিকৃত করতে না পারে, সে ব্যাপারেও সজাগ দৃষ্টি রাখা হবে।
তিনি বলেন, নাটোরের সাবেক ও রাজশাহীর বর্তমান জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ কাঁচাগোল্লার জিআই নিবন্ধনের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। গত ৩০ মার্চ অ্যাফিডেভিটের মাধ্যমে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরের (ডিপিডিটি) মাধ্যমে নাটোরের কাঁচাগোল্লার জিআই আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। নাটোরের ই-কমার্স ডেভেলপমেন্ট সেন্টার এ প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে। আর শিল্প মন্ত্রণালয় গত ৮ আগস্ট সনদ দেয়।
তিনি আরও বলেন, জিআই তালিকাভুক্তির মধ্য দিয়ে নাটোরের ইতিহাস ও ঐতিহ্য সংরক্ষণের পাশাপাশি দেশবিদেশে কাঁচাগোল্লার ব্র্যান্ডিং ও চাহিদা আরও বাড়বে।
স্থানীয়রা জানান, কাঁচাগোল্লা বানানোর পেছনে রয়েছে এক মজাদার ইতিহাস। অর্ধ বঙ্গেশ্বরী খ্যাত নাটোরের রানি ভবানীর প্রিয় খাদ্যের তালিকায় ছিল এ মিষ্টি। তার রাজপ্রাসাদে নিয়মিত মিষ্টি সরবরাহ করতেন শহরের লালবাজারের মধুসূদন পাল নামে এক মিষ্টি বিক্রেতা।
নাটোর পৌরসভার মেয়র উমা চৌধুরী বলেন, কাঁচাগোল্লা জিআই তালিকাভুক্ত হলো। এর মধ্য দিয়ে নাটোরের ইতিহাস ও ঐতিহ্য সংরক্ষণের পাশাপাশি দেশবিদেশে কাঁচাগোল্লার ব্র্যান্ডিং ও চাহিদা বাড়বে। এ সংক্রান্ত যে কোনো উদ্যোগে পৌর কর্তৃপক্ষ পাশে থাকবে। জেলা প্রশাসনের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানাই।
আইকেজে /
খবরটি শেয়ার করুন