সোমবার, ৮ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২৪শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নিম্নমানের কারণে চীনা অস্ত্র রপ্তানিতে ধ্বস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৪:৪৫ অপরাহ্ন, ১৩ই সেপ্টেম্বর ২০২৩

#

ছবি: সংগৃহীত

নিম্নমানের কারণে চীনের অস্ত্র রপ্তানির পরিমাণ হ্রাস পেয়েছে। চীনের অতি নিম্নমানের অস্ত্রসমূহ যুদ্ধের সময় ক্রেতা দেশগুলোকে ক্রমাগত অনিশ্চিত পরিস্থিতিতে ফেলছে। 

গত এক দশকে চীনের অস্ত্র রপ্তানির পরিমাণ এক চতুর্থাংশ হ্রাস পেয়েছে। এ সমস্যা চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) জন্যেও বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত পাঁচ বছরে চীনের অস্ত্র রপ্তানির পরিমাণ কমেছে ৭.৮ শতাংশ। 

বিশ্ববাজারে এর শেয়ার ৫.৬ শতাংশ থেকে কমে ৫.২ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে। প্রথমদিকে সস্তামূল্যের কারণে চীনা অস্ত্রের চাহিদা বাড়লেও পরবর্তীতে এ অস্ত্রসমূহ ক্রেতাদেশগুলোর চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হয়। 

বিশ্বের ৫৩ টি দেশে অস্ত্র রপ্তানির সাথে যুক্ত আছে চীন। পাকিস্তান, মিয়ানমার, বাংলাদেশ, আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশসমূহ চীনা অস্ত্রের প্রধান আমদানিকারক। এক্ষেত্রে ড্যানিয়েল কে ইনোয়ে এশিয়া-প্যাসিফিক সেন্টার ফর সিকিউরিটি স্টাডিজের অধ্যাপক আলেকজান্ডার ভুভিং চীনা সামরিক হার্ডওয়্যারের সমস্যার বিষয়টি তুলে ধরেন।

বিপুল পরিমাণে চীনা জেট কিনে এসব জেটের কারিগরি ত্রুটির কারণে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মিয়ানমার। ক্রয়ের চার বছর পরেও এ জেটগুলো মিয়ানমার ব্যবহার করতে পারেনি।

অন্যদিকে রক্ষণাবেক্ষণ সমস্যার কারণে নয়টি ফাইটার জেটের মধ্যে সাতটিকেই চীনে পাঠাতে বাধ্য হয়েছে নাইজেরিয়া। চীনা মিত্রশক্তি পাকিস্তানও চীনের তৈরি নৌ জাহাজসমূহ ব্যবহার করতে গিয়ে সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। বাংলাদেশ চীন থেকে কেনা কে-৮ডব্লিউ জেট প্লেন নিয়ে সমস্যার কথা জানায়। তাছাড়া চীন থেকে কেনা শর্ট রেঞ্জ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম এবং দুটি মিং শ্রেণির সাবমেরিন নিয়েও সমস্যার কথা জানায় বাংলাদেশ। 

চীনা অস্ত্রের নিম্নমান তাদের সৈন্যদের জন্যেও সমস্যার কারণ হয়ে উঠেছে। 

চীনা সামরিক প্রযুক্তির অগ্রগতির দাবি সত্ত্বেও বিশ্লেষকদের মতে, চীনা সেনাবাহিনী এখনও পুরাতন অস্ত্র সরঞ্জাম ব্যবহার করে চলেছে, যা পশ্চিমা বিশ্বের তুলনায় অত্যন্ত নিম্নমানের। এজন্য অবশ্য দুর্নীতিকে দাবি করেন বিশ্লেষকরা।

আর.এইচ

অস্ত্র

খবরটি শেয়ার করুন