ছবি: সংগৃহীত
পাকিস্তানে পুলিশের অন্যায় এনকাউন্টারের ঘটনা এখন নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিছু কিছু এনকাউন্টারে ব্যক্তির অঙ্গ প্রত্যঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং অন্যদিকে পুলিশ কিছু অপরাধীকে পুলিশ হেফাজতে হত্যাও করে।
দেখা যায়, নিম্নপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তারা এসএইচও এর নির্দেশে এমন এনকাউন্টারের ঘটনা ঘটায়। এ ব্যাপারে প্রত্যেক এসএসপি ও অবগত রয়েছে। অপরাধ নির্মূলের জন্য সিন্ধুর আইজিপির নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও জুয়া, পতিতাবৃত্তি ইত্যাদি অপরাধমূলক কার্যক্রম চালানোর জন্য অনেকেই ঘুষ প্রদান করে থাকে।
এ ধরনের এনকাউন্টারের শিকার কাশিফ, যাকে পুলিশের সহিংসতার কারণে নিজের পা হারাতে হয়েছে। কাশিফ জানায়, এসআই মাল্লার সাথে ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের কারণে মাল্লা তাকে দুইটি মামলায় আটক করে। মামলাগুলো থেকে খালাস পেলেও পরবর্তীতে মাল্লা তাকে পুনরায় গ্রেফতার করে। এ বিষয়ে মাল্লাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি এ ব্যাপারে যুক্ত নন বলে জানান।
সিআইএ সেন্টার থেকে তাকে ক্যান্টনমেন্ট থানায় নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখানে তার পায়ে গুলি করা হয়। সে পড়ে যাওয়ার সাথে সাথে তাকে আবার গুলি করা হয়।
হাশিম মিনাস রাজপুত নামের আরেকজন সন্দেহভাজন বন্দিকেও পায়ে গুলি করা হলে তার পায়ে গুলির ক্ষত থেকেই যায়।
আরো পড়ুন: পাকিস্তানে সাম্প্রতিক সময়ে অপহরণের ঘটনা বেড়েছে
হাশিম জানায়, সে জামশোরো থেকে ফিরছিলো যখন পুলিশ তাকে থামিয়ে সিআইএ সেন্টারে নিয়ে যায়। ২৯ মার্চ তাকে ক্যান্টনমেন্ট পুলিশ এবং ফোর্ট পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ফোর্ট পুলিশ তার পায়ে গুলি করে এবং একটি এনকাউন্টারের মামলা নথিভুক্ত করে।
অর্থোপেডিক ওয়ার্ডে ভর্তি বশির বুলেদিও দাবি করে, ফোর্ট পুলিশ এনকাউন্টারের দাবি নিয়ে আসার আগে তাকে ভিট শাহ থেকে তুলে নেওয়া হয়েছিল এবং দুই দিন হেফাজতে রাখা হয়েছিল।
সাবেক কনস্টেবল আসাদ, ইরশাদ, শাহনেওয়াজ, আদনান, উসমান, হারুন এবং ইমরান সক্রিয়ভাবে এসএইচওদের সাথে কাজ করছেন বলে জানা গেছে। এই অবৈধ অনুশীলনের জন্য এখনও পর্যন্ত কোনও এসএইচওকে জিজ্ঞাসাবাদের সম্মুখীন করা হয়নি।
এসি/ আই. কে. জে/