সোমবার, ৮ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২৩শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাকিস্তানি নারীর ফাঁদে ভারতীয় বিজ্ঞানী, হাতিয়ে নিল মিসাইলের তথ্য

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৩:৩৯ অপরাহ্ন, ৯ই জুলাই ২০২৩

#

ভারতীয় প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থার (ডিআরডিও) বিজ্ঞানী প্রদীপ কুরুলকার। ছবি : সংগৃহীত

পাকিস্তান সেনাবাহিনীর নিয়োগকৃত নারীরা এর আগেও ভারতীয় গোয়েন্দা বাহিনীর ও সেনা সদস্যদের প্রেমের জালে আটকিয়ে বিভিন্ন তথ্য হাতিয়ে নিয়েছেন। গত বছর এমনি এক ঘটনায় পুরো ভারত জুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এরপর এর প্রক্রিয়া ঠেকাতে ভারতের পক্ষ থেকে নতুন করে উদ্যোগ নেয়া হয়। কিন্তু তাতে কি এবার আবারও সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়েছে। এবার নতুনভাবে ভারতীয় এক বিজ্ঞানীয়কে ফাঁসিয়েছেন পাকিস্তানের এক নারী।

জানা যায়, পাকিস্তানের এক নারী গুপ্তচরের প্রেমে মজে ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে গোপন তথ্য পাচারের অভিযোগ উঠেছে ভারতীয় প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থার (ডিআরডিও) এক বিজ্ঞানীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ওই বিজ্ঞানীর নাম প্রদীপ কুরুলকার। তিনি পুনেতে ডিআরডিওর একটি ল্যাবরেটরিতে পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

চলতি বছরের ৩ মে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এবার তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে এ অভিযোগ আনা হয়েছে। বর্তমানে তিনি বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন।

ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআইয়ের বরাতে গতকাল শনিবার (৮ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

এনডিটিভির খবরে বলা হয়, প্রদীপ কুরুলকার জারা দাশগুপ্ত নামে এক পাকিস্তানি গোয়েন্দার প্রেমে পড়েন। ২০২২ সালের জুন মাস থেকে প্রদীপের সঙ্গে তার যোগাযোগ শুরু হয়। চলে একই বছরের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত।

জারা দাশগুপ্তের সঙ্গে চ্যাটিংয়ের সময় অন্যান্য গোপন প্রতিরক্ষা প্রকল্পের পাশাপাশি ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা সম্পর্কেও প্রদীপ তাকে তথ্য দিয়েছিলেন বলে চার্জশিটে বলা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে গত সপ্তাহে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে মহারাষ্ট্র পুলিশের অ্যান্টি টেররিজম স্কোয়াড (এটিএস)।

আরো পড়ুন: কিউবায় গুপ্তচর ঘাঁটি স্থাপনা নিয়ে বিশাল পরিকল্পনা চীনের

চার্জশিটে এটিএস উল্লেখ করেছে, প্রদীপ কুরুলকার ও জারা দাশগুপ্ত হোয়াটসঅ্যাপের পাশাপাশি ভয়েস ও ভিডিও কলের মাধ্যমে যোগাযোগ করতেন। নিজেকে যুক্তরাজ্যের সফটওয়্যার প্রকৌশলী হিসেবে পরিচয় দেওয়া জারা দাশগুপ্ত ‘অশ্লীল বার্তা ও ভিডিও’ পাঠিয়ে প্রদীপ কুরুলকারের সঙ্গে বন্ধুত্ব করেন। তবে তদন্তের সময় জারার আইপি ঠিকানা পাকিস্তানে শনাক্ত হয়েছে।

পাকিস্তানি এই গোয়েন্দা এজেন্ট ভারতের ব্রাহ্মোস লঞ্চার, ড্রোন, ইউসিভি, অগ্নিমিসাইল লঞ্চার ও মিলিটারি ব্রিজিং সিস্টেমসহ অন্যান্য গোপন ও সংবেদনশীল তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন বলেও এতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া জারা দাশগুপ্তের সঙ্গে সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল (এসএএম), ড্রোন, ব্রহ্মোস ও অগ্নিমিসাইল লঞ্চার এবং ইউসিভিসহ বিভিন্ন প্রকল্প সম্পর্কে কথাও বলেছেন বিজ্ঞানী প্রদীপ কুরুলকার।

এম এইচ ডি/

পাকিস্তান নারী গোয়েন্দা এজেন্ট ফাঁদ ভারতীয় বিজ্ঞানী মিসাইলের তথ্য গুপ্তচরবৃত্তি

খবরটি শেয়ার করুন