সোমবার, ২০শে অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৫ই কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** পাকিস্তান দেখাল কীভাবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ‘ডিল’ করতে হয় *** দেশে লাগাতার অগ্নিকাণ্ডে স্বরাষ্ট্রসচিবের নেতৃত্বে সরকারের কোর কমিটি *** নাহিদের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় যা বলল জামায়াত *** প্রথম আলোর আলোচনায় জুলাই সনদ *** আলোচনা-সমালোচনায় কবি-সাংবাদিক আলতাফ, সহকর্মীরা প্রতিবাদমুখর, সরব নারীনেত্রীরা *** জামায়াত সম্পর্কে কী এনসিপির নতুন উপলব্ধি *** খালেদা জিয়ার সংসদ নির্বাচনের প্রচারে অংশ নেওয়ার বিষয়ে যা জানাল বিএনপি *** একের পর এক অগ্নিকাণ্ড নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে জরুরি বৈঠক *** জামায়াতসহ সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর নতুন কর্মসূচি *** আন্দোলনের জবাবে ট্রাম্প বললেন, ‘আমি রাজা নই’

পারিবারিক ঋণ বৃদ্ধিতে অর্থনৈতিক মন্দার মুখে চীন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০১:৩৬ অপরাহ্ন, ৫ই আগস্ট ২০২৩

#

ছবি: সংগৃহীত

চাকরি ও আয়ের অনিশ্চয়তার সাথে সাথে ক্রমবর্ধমান ঋণের দায়ে ভুগছেন চীনা নাগরিকেরা। এ পরিস্থিতি দেশটির অর্থনৈতিক মন্দার ক্ষেত্রেও ব্যাপক অবদান রাখছে। 

বিশ্লেষকদের মতে, চীনাদের আয় কমে যাওয়ার ফলে তাদের ভবিষ্যৎও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউশন ফর ফাইন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এনআইএফডি) জারি করা একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে দেশের গৃহস্থালি ঋণ জাতীয় মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৬৩.৫ শতাংশ, যা গত বছরে ছিল ৬১.৯ শতাংশ। চীনের গৃহস্থালি ঋণ বা দেশীয় ঋণ মূলত বন্ধক ঋণের আকারে রয়েছে এবং এর পরিমাণ ৩৮.৬ ট্রিলিয়ন ইউয়ান বা ৫.৩৮ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। এ ব্যাপারে গবেষক ঝাং জিয়াওজিং এবং লিউ লেই বলেন, গৃহস্থালি ব্যবহার এবং বিনিয়োগের পরিমাণ উভয়ই কমেছে।

ব্যাংক ফর ইন্টারন্যাশনাল সেটেলমেন্ট জানায় যে, চীনাদের ঋণের পরিমাণ গত বছরের শেষ নাগাদ ১০.৭৬ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারে এসে পৌঁছেছে, যা চীনের মোট অর্থনৈতিক উৎপাদনের ৬১.৩ শতাংশ। 

অন্যদিকে ২০২২ সালের শেষ নাগাদ জার্মানির ঋণের পরিমাণ মোট অর্থনৈতিক উৎপাদনের ৫৫.২ শতাংশ, ভারতের ৩৬.৪ শতাংশ এবং উদীয়মান অর্থনৈতিক রাষ্ট্রগুলোর ৪৭.৭ শতাংশ। চীনের ঋণের পরিমাণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (৭৪.৪ শতাংশ) এবং জাপানের (৬৮.২ শতাংশ) কাছাকাছি। 

অত্যধিক ঋণের মাত্রা চীনাদের আয়ের পরিমাণকেও ধীর করে তুলছে। তবে চীনের পলিটব্যুরো গত সপ্তাহের ত্রৈমাসিক সম্মেলনে জাতীয় প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধির জন্য দেশীয় চাহিদার উপর নির্ভরশীলতার কথা জানায়।

জাতীয় উন্নয়ন ও সংস্কার কমিশন চলতি সপ্তাহের শুরুতে ২০ টি ভোক্তা উদ্দীপনা ব্যবস্থাও চালু করেছে। 

করোনার প্রভাবে ২০২১ সালে যেখানে চীনা প্রবৃদ্ধি ছিল ৫৮.৩ শতাংশ, সেখানে ২০২২ সালে তা এসে দাঁড়ায় ৩২.৮ শতাংশে।

চলতি বছরের প্রথমার্ধে চীনা নাগরিকদের সঞ্চয়ের পরিমাণ ছিল ১২ ট্রিলিয়ন ইউয়ান। তবে আয়ের স্বল্পতা ও অনিশ্চিত ভবিষ্যতের কারণে বর্তমানে চীনা নাগরিকেরা এ সঞ্চয় বিনিয়োগের পরিবর্তে ঋণ পরিশোধ করতেই ব্যয় করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

আরো পড়ুন: পাঁচ মামলায় ‘ক্ষমা’ তবুও মুক্তি মিলছে অং সান সু চির

অনিশ্চিত ভবিষ্যত ও কর্মসংস্থানের অভাবের ফলে চীনা নাগরিকেরা সবসময়ই ভীত থাকে, যা দেশের অর্থনৈতিক গতির উপরেও প্রভাব ফেলছে। চীনের বকেয়া বন্ধকী ঋণ এক বছর আগের তুলনায় দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে ০.৮ শতাংশ কমেছে। 

তবে ২০২১ সালে চীনের মোট অর্থনৈতিক ঋণ যেখানে ছিল জাতীয় জিডিপির ২৭৩.১ শতাংশ, সেখানে জুনের শেষ নাগাদ এ ঋণ এসে দাঁড়িয়েছে জাতীয় জিডিপির ২৮৩.৯ শতাংশে।

এম এইচ ডি/ আই. কে. জে/ 

চীন পারিবারিক ঋণ অর্থনৈতিক মন্দা

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250