সোমবার, ৮ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২৪শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পুরুষকে ভালোবাসার দিন আজ

লাইফস্টাইল ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১২:৩৮ অপরাহ্ন, ১৯শে নভেম্বর ২০২৩

#

ছবি: সংগৃহীত

আজ দিনটি শুধুই পুরুষদের জন্য। আজ বিশ্ব পুরুষ দিবস। এ দিন তারা নিজেদের মতো করে কাটাবে। আর তাই আপনার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ পুরুষদের দিবসটির শুভেচ্ছা জানাতে পারেন।

বিশেষ কোনো আয়োজন করে তাদের পছন্দ অনুযায়ী উপহার দিয়ে দিনটিকে আরও সুন্দরভাবে পালনের ব্যবস্থা করতে পারেন। আপনার জীবনে তাদের গুরুত্ব কতটা—সেটা অনুভব করাতে পারেন।

বিশ্বের প্রায় ৭০টি দেশে ১৯ নভেম্বর আন্তর্জাতিকভাবে পুরুষ দিবস উদযাপন করা হয়। এ উপলক্ষে নানা ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকে।

সমাজে পুরুষদের বীরত্ব আর ত্যাগের প্রতি সম্মান জানিয়ে মূলত দিবসটি পালনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নারীর পাশাপাশি কিছু বিষয়ে তাদের অধিকার সুনিশ্চিত করার প্রয়োজন রয়েছে। আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবসের লক্ষ্য সেই সব বিষয়গুলোকে প্রাধান্য দেওয়া।

এ ছাড়া দিবসটির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হিসেবে কয়েকটি বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। সেগুলো হলো:

১. বালক, কিশোর ও পুরুষদের স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি।

২. নারী-পুরুষের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়ন বিষয়ক প্রচারণা। নারী-পুরুষ সমতার প্রচার, পুরুষদের মধ্যে ইতিবাচক আদর্শ চরিত্রের গুরুত্ব তুলে ধরা।

আরো পড়ুন : অন্যের কল্যাণ সাধনের মধ্য দিয়ে সুস্থ ও সুখী জীবন

৩. পুরুষ ও বালকদের নিয়ে গড়ে ওঠা বিভিন্ন সংস্কার ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরি করা।

৪. পুরুষ ও বালকদের অর্জন ও অবদানকে উদযাপন করা।

৫. আবার সমাজ, পরিবার, বিবাহ ও শিশু যত্নের ক্ষেত্রে পুরুষদের অবদানকে তুলে ধরাও এই দিবসের আরেকটি লক্ষ্য।

পুরুষ দিবস উদযাপনের দিনটি নিয়ে নানা ধরনের মত প্রচলিত রয়েছে। দিবসটি পালনে প্রথমে ২৩ ফেব্রুয়ারি দিন ঠিক হয়েছিল। কিন্তু আগে থেকে এ দিনটি ‘রেড আর্মি ও নেভি ডে’র জন্য নির্ধারণ করেছিল রাশিয়া। ১৯২২ সালের কয়েক বছর আগে হওয়া প্রথম বিশ্বযুদ্ধে নিহত সেনাদের শ্রদ্ধা জানাতে এবং পুরুষ জাতিকে উদ্বুদ্ধ করতে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নে ‘রেড আর্মি অ্যান্ড নেভি ডে’ পালন করা হতো।

ষাটের দশক থেকেই পুরুষ দিবস পালনের জন্য পত্রিকায় লেখালেখি চলছিল। ১৯৬৮ সালে আমেরিকান সাংবাদিক জন পি হ্যারিস নিজের লেখায় এ দিবসটি পালনের গুরুত্ব তুলে ধরেন। এরপর নব্বই দশকের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া ও মাল্টায় কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ফেব্রুয়ারিতে পুরুষ দিবস পালনের জন্য বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। যদিও অনুষ্ঠানগুলো খুব একটা প্রচার পায়নি। তাতে অংশগ্রহণও ছিল কম।

পরে ১৯৯৯ সালে ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোর ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের অধ্যাপক ড. জেরোম তিলক সিং ১৯ নভেম্বর তার বাবার জন্মদিন উদযাপন করেছিলেন। সেদিন তিনি মানুষকে পুরুষ দিবসের গুরুত্ব সম্পর্কে বিভিন্নভাবে উৎসাহিত করেছিলেন। তারপর থেকেই এই তারিখটি আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস হিসেবে পালিত হয়।

এ বছর পুরুষ দিবসের প্রতিপাদ্য রাখা হয়েছে ‘জিরো মেল সুইসাইড’। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ৪৫ বছরের কম বয়সী পুরুষের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বেশি। যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, রাশিয়াসহ বিশ্বের অনেক দেশে এই ঘটনা ঘটছে।

পরিসংখ্যান বলছে, পুরুষের তুলনায় নারীরা বিষণ্নতায় বেশি ভোগেন। কিন্তু, পুরুষের আত্মহত্যার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই পুরুষের মাঝে সামাজিক সচেতনতা বাড়াতে ও মানসিক সুস্থতার জন্য পুরুষ দিবস উদযাপন গুরুত্বপূর্ণ।

এস/ আই. কে. জে/



দিবস পুরুষ বিশ্ব

খবরটি শেয়ার করুন