ছবি-ফাইল
আগামীকাল ২০ অক্টোবর থেকে শুরু হতে যাচ্ছে দুর্গাপূজা। পূজার প্রধান উপলক্ষ প্রতিমা তৈরির কাজও প্রায় শেষ। তুলির শেষ আঁচড়ে দেবী দুর্গাকে সাজিয়ে দিচ্ছেন শিল্পীরা। পাশাপাশি প্রতিমার শাড়ি, মুকুট, শাঁখা সিঁদুর লাগানো হচ্ছে। কাল থেকে মন্দিরে মন্দিরে পৌঁছে যাবে প্রতিমা।
পূজা উপলক্ষে পুরান ঢাকার অলিগলিতে চলছে মন্দিরের প্যান্ডেল বানানোর কাজ। একদিন আগে অর্থাৎ আজ হবে সাজসজ্জা। তাই ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা।
সনাতন ধর্মাবলম্বীরা জানান, আগামীকাল দুর্গাপূজা শুরু হয়ে শেষ হবে ২৪ অক্টোবর। এ বছর ধামরাই উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ২২০টি মণ্ডপে ও সাভারে ১২৩টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। গত এক মাস আগে প্রতিমা তৈরির কাজ শুরু হয়।
সরেজমিনে মণ্ডপে ঘুরে দেখা যায়, দুর্গাদেবীর প্রতিমার সঙ্গে শোভা পাচ্ছে গণেশ, সরস্বতী, লক্ষ্মী, অসুর, সিংহ, মহিষ, মহাদেব ও কার্তিকের প্রতিমা।
ধামরাইয়ের গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়নের বারবাড়িয়া এলাকায় ঠাকুর বাড়ির মণ্ডপে গিয়ে কাজ করতে দেখা যায় শিল্পী সম্পদ পাল ও তার সহযোগীদের। কর্মব্যস্ততায় কথা বলার ফুরসত নেই তার। সম্পদ পাল বলেন, এ বছর আরও কয়েকটি প্রতিমার কাজ করেছি। খুব বেশি সময় হাতে নেই। তাই দিনরাত কাজ করছি।
বারবাড়িয়া সার্বজনীন পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক নিলয় চন্দ্র দাস (শ্যামল) বলেন, ঠাকুর বাড়িতে বহু বছর ধরে পূজা আয়োজন হচ্ছে। গত পাঁচ বছর এটির কলেবর বৃদ্ধি পেয়েছে। এবারেও আমরা পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছি।
পূজার সমন্বয়ক দীপক চক্রবর্তী বলেন, অত্যন্ত সুন্দর ও আনন্দের মধ্য দিয়ে সবাই মিলে উৎসবটি পালন করতে পারব বলে আশা করছি।
ধামরাইয়ের কায়েতপাড়ার ঐতিহ্যবাহী রায় বাড়ির সদস্য অ্যাডভোকেট শ্যামল রায় জানান, কায়েত পাড়ার রায় বাড়িতে প্রায় ৪০০ বছর ধরে দূর্গাপূজার আয়োজন চলছে। তিনি বলেন, ‘সার্বজনীন এই পূজা সকলের সার্বিক সহযোগীতা নিয়েই পালন করি আমরা।’
উপজেলার মাধব মন্দির ও ধামরাই উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নন্দ গোপাল সেন জানান, মহা পঞ্চমীর মধ্য দিয়ে শুরু হবে দূর্গোৎসব। একক উপজেলায় এতো বেশি পরিমাণ পূজা ধামরাইতেই হয় দাবি করে তিনি বলেন, ‘এ বছর উপজেলায় ২২০টি মন্দিরে দুর্গোৎসবের প্রতিমা নির্মাণ করা হয়েছে।’
নন্দ গোপাল জানান, প্রশাসন থেকেও সার্বিক নিরাপত্তার জন্যে ইতোমধ্যে সনাতন ধর্মাবলম্বী নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভা করা হয়েছে।
ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ বলেন, দুর্গোৎসব উপলক্ষে প্রশাসনিকভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এবছর উপজেলায় সবমিলিয়ে ২২০টি মন্দিরে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এসব মন্দিরে ঢাকা ও ঢাকার বাইরের প্রচুর ভক্ত আসেন। ফলে এসব মন্দিরের নিরাপত্তায় কড়া ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
আরো পড়ুন: আজ শুভ মহালয়া, শুরু হলো দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা
এ বিষয়ে ধামরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকী বলেন, পূজা নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে উপজেলা প্রশাসন থেকে সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
সাভার উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মাজহারুল ইসলাম বলেন, দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
এসি/ আই.কে.জে