সোমবার, ৮ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২৪শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রতিরক্ষা ও সমর দর্শনে বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শী ভাবনা

সম্পাদকীয়

🕒 প্রকাশ: ১১:১১ পূর্বাহ্ন, ১৬ই আগস্ট ২০২৩

#

লে. জেনারেল (অব.) আবুল হোসেন

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ প্রাক-পর্বে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসমুদ্রে তর্জনী উঁচিয়ে নির্দেশ দিয়েছিলেন, ‘…তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করতে হবে…।’ বঙ্গবন্ধুর সাত মার্চের ভাষণের প্রতিটি লাইনই গণজাগরণের উদ্দীপ্ত চেতনাবাহী। ওই প্রেক্ষাপটেই শত্রুর মোকাবেলায় বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনা উল্লেখিত উপর্যুক্ত লাইনটির মধ্যে অনেক কিছুই নিহিত রয়েছে। জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধুর ওই নির্দেশনা শুধু মুক্তিকামী সাধারণ মানুষকেই উদ্দীপ্ত করনি, সশস্ত্র বাহিনীর দেশপ্রেমিক সৈনিকদেরও উজ্জীবিত করেছিল। ‘শত্রুর মোকাবেলা’ করতে হবে শব্দগুলোয় গঠিত বাক্যে বঙ্গবন্ধুর সমর দর্শন এবং প্রতিরক্ষা চিন্তার যে প্রতিফলন ঘটেছিল তা কতোটা প্রাজ্ঞ এবং দূরদর্শী চিন্তার প্রতিফলন তা আজকের বাস্তবতায় আরও বিশেষভাবে গভীর মর্মার্থের অনুসন্ধান দেয়। বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবন, দর্শন, আন্দোলন-সংগ্রামের পরিকল্পনা এবং মানুষকে উদ্বেলিত করার মোহনীয় শক্তি নিয়ে ইতিমধ্যে অনেক গবেষণাধর্মী গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। সংক্ষিপ্ত পরিসরে বঙ্গবন্ধুর সমর দর্শন ও সামরিক চিন্তা নিয়ে ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ দুরূহ। 

বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরে যেসব মন্ত্রণালয়ের ওপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছিলেন, এর মধ্যে প্রতিরক্ষার বিষয়টি ছিল অগ্রভাগে। সদ্য স্বাধীন দেশে সামরিক বাহিনীকে আধুনিক ও সুসংগঠিত একটি শক্তিশালী বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার ব্যাপারে বঙ্গবন্ধুর চিন্তায় এও পরিস্ফূটিত হয়েছিল, সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে জনগণের সৌহার্দ্য-মৈত্রীর সেতু স্থাপন অপরিহার্য। স্মরণ করি, তৎকালীন সময়ে বঙ্গবন্ধুর একটি গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য। তিনি বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী বীর যোদ্ধাদের পুলিশ বাহিনী ও জাতীয় মিলিশিয়ার অর্ন্তভুক্ত করা হবে।… মুক্তিযুদ্ধের বীর সেনানীরা বাংলাদেশের নবগঠিত সেনা-বিমান-নৌ বাহিনীতে নেতৃত্ব প্রদান করবেন। সরকার আন্তরিকভাবে এটাই কামনা করছে। এদেশের সাধারণ মানুষের কাতার থেকে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তা ও সাধারণ সেনারা বঙ্গবন্ধুর নির্দেশ ধারণ করে দেশমাতৃকার শৃঙ্খল মুক্তির লক্ষ্যে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ পর্বে প্রতিবেশী দেশ ভারত আমাদের অকৃত্রিম বন্ধুর পরিচয় দেয়। তাদের সশস্ত্র বাহিনীর অনেকেই প্রাণ বিসর্জন দেন। আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে এবং যুদ্ধোত্তর ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে আলোচনাক্রমে মিত্র বাহিনীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বিশ্ব ইতিহাসে অনন্য নজির হয়ে আছে। এক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর সমর দর্শনের পাশাপাশি জাতীয় প্রতিরক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি যেভাবে প্রতিভাত হয়ে ওঠে তাও যুগ-যুগান্তর ইতিহাসের পাতায় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। 

সশস্ত্র বাহিনী দেশের নিরাপত্তা রক্ষায় যাতে দ্রুত সক্ষমতা অর্জন করতে পারে সে জন্যও বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান থেকে ফেরত আসা সব সদস্যকে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সেনাসদস্যদের সঙ্গে সম্পৃক্ত করে মাত্র আড়াই বছরের মাথায় সমগ্র সেনাবাহিনীকে বিগ্রেড, গ্রুপ, ফোর্সে বিন্যাস করে যে পুনর্গঠন প্রক্রিয়া করেছিলেন তাও তার দূরদর্শী সমর দর্শনের ও জাতীয় প্রতিরক্ষা ভাবনার সাক্ষ্য বহন করে। বাংলাদেশ বিমান বাহিনী বারোটি মিগ বিমান সোভিয়েত ইউনিয়নের কাছ থেকে অনুদান হিসেবে গ্রহণ করে নবযাত্রা শুরু করেছিল। ১৯৭২-৭৫, তাও পূর্ণ সময় নয়; উল্লেখিত ওই আংশিক সময়ের মধ্যে এএন ২৪ বিমান, একটি ভিআইপি এমআই৮ হেলিকপ্টার, চারটি এমআই৮ হেলিকপ্টার, ইআইআরভি১১ রাডারসহ আরও কিছু আনুষঙ্গিক সামরিক বিমান ও উপকরণ নিয়ে গঠিত বাংলাদেশ বিমানবাহিনী আজ অনেক বেশি বিকশিত। ওই সময়ের মধ্যেই বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বাধীন সরকার বিমানবাহিনীর অনেক কর্মকর্তা ও সেনাকে তৎকালীন সোভিয়েত রাশিয়া এবং চীনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রশিক্ষণ ও পরিদর্শনের ব্যবস্থা করেন। এই কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে তার লক্ষ্য ছিল, বিমানবাহিনীর সাংগঠনিক উন্নয়নের পথ সুগম করা। আজকের বাস্তবতায় এর সুফল আমাদের কাছে নানাভাবেই দৃশ্যমান। 

বাংলাদেশ নৌবাহিনীর যাত্রা শুরু হয়েছিল, আরও সংক্ষিপ্ত পরিসরে। মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে মাত্র সতের জন কর্মকর্তা ও সতের জন নাবিক নৌবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। ১৯৭৩ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার বঙ্গবন্ধুর সমর দর্শন ও দূরদর্শী প্রতিরক্ষা চিন্তার প্রতিফলন ঘটিয়ে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কর্তব্য-দায়িত্বের বিষয়াবলী অনুমোদন করে। আজ, সেই নৌবাহিনীও অনেক বিকশিত। আর সেনাবাহিনীর কথা বলতে গেলে বলতে হয়, এই বাহিনীর কাঠামো এবং কর্মতৎপরতা যেন দিগন্ত বিস্তৃত। দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সরাসারি সম্পৃক্ত সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা ও সদস্যরা ব্যাপক ভূমিকা পালন করছেন। অবকাঠামোগত উন্নয়ন কর্মকাণ্ডসহ নানাক্ষেত্রে জনগণের জন্য বিস্তৃত হয়েছে তাদের পরিসেবা। সেনাবাহিনীর মর্যাদার প্রতীক বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি বঙ্গবন্ধু উদ্বোধন করেন ১৯৭৪ সালের ৩ মার্চ। তখন প্রতিরক্ষা বাহিনীর মর্যাদা ও শক্তি বৃদ্ধির জন্য ট্যাঙ্কসহ আধুনিক সমরাস্ত্র ক্রয়ের উদ্যোগ নেওয়া হয়। উল্লেখ্য, রাষ্ট্রীয় প্রটোকলে বঙ্গবন্ধু সেনাবাহিনীকে সব বাহিনীর ঊর্ধ্বে স্থান দেন। সর্বাধিক কার্যকরী ও নিয়মতান্ত্রিক একটি যুদ্ধ পরিচালনার জন্য সামরিক নেতৃত্বের প্রয়োজন বোধ করে বাংলাদেশের প্রথম সরকার যা মুজিব নগর সরকার নামে পরিচিত, তারা এ লক্ষ্যে কার্যকর অবকাঠামো গঠন করতে কর্নেল এম এ জি ওসমানীকে (পরবর্তীতে জেনারেল) কেবিনেট মিনিস্টারের মর্যাদাসহ বাংলাদেশ ফোর্সেস-এ প্রধান সেনাপতির দায়িত্ব অর্পণ করে। একইসঙ্গে কর্নেল (অব.) এম এ রবকে বাংলাদেশ ফোর্সেস-এর চিফ অব স্টাফ এবং গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ কে খন্দকারকে ডেপুটি চিফ অব স্টাফ হিসেবে নিযুক্তি দেওয়া হয়।

বাংলাদেশের প্রথম সরকার, অর্থাৎ মুজিবনগর সরকার যাদের নিয়ে গঠিত হয়েছিল, তারা ছিলেন বঙ্গবন্ধুর পরীক্ষিত সৈনিক এবং আন্দোলন-সংগ্রামের নির্ভরযোগ্য সহযোদ্ধা। আমাদের সেনাবাহিনীর মূলত জন্ম যুদ্ধক্ষেত্রে অর্থাৎ মুক্তিযুদ্ধের সময়, যে যুদ্ধ ছিল জনযুদ্ধ এবং ওই যুদ্ধের মহানায়ক অর্থাৎ সুপ্রিম কমান্ডার ছিলেন বঙ্গবন্ধু। সমর দর্শন ও প্রতিরক্ষা ভাবনায় বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শিতার পরিচয় মেলে তার ঘোষিত ছয় দফায়। সশস্ত্র বাহিনী নিয়ে বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘ পরিকল্পনা ছিল এবং সেই ছকও তিনি কষেছিলেন।  বর্তমান সরকার, ধারাবাহিক তিন মেয়াদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর সেই দূরদর্শিতার সড়ক ধরেই সশস্ত্র বাহিনীর উত্তর-উত্তর আধুনিকায়নসহ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটিয়ে চলেছেন। 

একাত্তর-পূর্ব বঙ্গবন্ধুর সমর চিন্তা তার ঘোষিত ছয় দফার মধ্য দিয়ে প্রথম আমাদের সামনে উপস্থাপিত হয়, যে ছয় দফা বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ হিসেবে বিবেচিত। ছয় দফা পর্যালোচনায় দেখা যায়, এর ষষ্ঠ দফায় পূর্ব পাকিস্তানি মিলিশিয়া বা প্যারামিলিটারি গঠনসহ পূর্ব পাকিস্তানের পূর্ণ নিরাপত্তা কল্পে অন্যান্য বিষয়ও তিনি সন্নিবেশিত করেন। এর মধ্যে রয়েছে, ১. আনসার বাহিনীকে ইউনিফর্মধারী সশস্ত্র বাহিনীতে রূপান্তর. ২. ইপিআর অর্থাৎ ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস (বর্তমানে বিজিবি) বাহিনীকে পূর্ব পাকিস্তান সরকারের অধীনস্ত করা, ৩. পূর্ব পাকিস্তানে অস্ত্র কারখানা স্থাপন করা, ৪. পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনীর তিনটি শাখার ভেতর নৌবাহিনীর হেডকোয়ার্টার পূর্ব পাকিস্তানে রাখা। ছয় দফায় উল্লেখিত বিষয়গুলো বঙ্গবন্ধু সংযোজন করেছিলেন, পূর্ব পাকিস্তানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার লক্ষ্যেই এবং এর অন্তর্নিহিত তাৎপর্য যে কতোটা ব্যাপক ছিল নতুন করে এর ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ নিষ্প্রয়োজন। এই ভূখণ্ডের স্বাধীনতা বঙ্গবন্ধুর অন্তর্নিহিত চিন্তার অগ্রভাগে ছিল এবং এর প্রেক্ষাপটেই তিনি তার সমর দর্শন রচনা করেছিলেন, তৈরি করেছিলেন প্রতিরক্ষা পরিকল্পনা। ছয় দফা বাঙালি জাতির মুক্তির অনন্য সনদ তো বটেই এবং ওই ছয় দফায় বঙ্গবন্ধুর সমর দর্শন ও প্রতিরক্ষা ভাবনার যে প্রতিফলন ঘটেছিল তা স্বাধীনতা অর্জনের ৫২ বছর পর আজ নিঃসন্দেহে উচ্চ মাত্রায় পর্যালোচনা ও গবেষণার বিষয় হতে পারে। 

স্বাধীন দেশে বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সুবিন্যস্ত করার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু যেসব পদক্ষেপ নিয়েছিলেন তা নতুন করে সদ্য স্বাধীন দেশটিকে অন্য রূপ দিয়ে এগিয়ে নেওয়ার সংকল্পই সুপ্তভাবে ছিল। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক অধ্যয় পর্যালোচনা করলে স্পষ্টতই প্রতীয়মান হয়, মর্যাদাপূর্ণ দেশরক্ষা বাহিনী গড়ার ক্ষেত্রে তাঁর স্বপ্ন ও পরিকল্পনা একে অপরের পূরিপূরক হিসেবে কাজ করেছে। কতিপয় সজাত্যদ্রোহীর বর্বরোচিত কর্মকাণ্ড বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া সশস্ত্র বাহিনীর ললাটে যে কলঙ্গ তিলক এঁকেছিল এবং তৎকালীন কুচক্রী স্বার্থান্বেষী সরকার ছিল যে মর্মন্তুদ অধ্যায়ের পৃষ্ঠপোষক, ওই কদর্য অধ্যায়ের বিলম্বে হলেও অপসারণ করেছেন তাঁরই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বঙ্গবন্ধুর সমর দর্শন ও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার চিন্তা আমাদের সমৃদ্ধির যে সড়ক নির্মাণ করে দিয়েছিল তা উত্তরোত্তর চওড়া হচ্ছে এটি অবশ্যই গর্বের। শুধু উন্নয়ন যজ্ঞেই নয়,  দেশের প্রতিটি দুর্যোগ ও ক্রান্তিকালে জনগণের পাশে সশস্ত্র বাহিনী দাঁড়িয়েছে দৃঢ়ভাবে। সদ্য স্বাধীন দেশের অর্থনৈতিক দুর্দিনের মধ্যেও বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নে যথাসাধ্য অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন যা আজ তাঁর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অব্যাহত রেখেছেন। নিঃসন্দেহে বলা যায়, প্রতিরক্ষাবাহিনীগুলোর গোড়াপত্তন যথার্থভাবেই বঙ্গবন্ধু করেছিলেন, যার ফলে বাহিনীগুলো ভারসাম্যপূর্ণ, সুশৃঙ্খল ও সুসংগঠিতভাবে গড়ে ওঠে। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে আজ আমরা গর্বিত অংশীদার। এ সবই বঙ্গবন্ধুর সমর দর্শনের দৃষ্টান্তযোগ্য প্রতিফলন।

লেখক : সাবেক মহাপরিচালক, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)


প্রতিরক্ষা ও সমর দর্শনে বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শী ভাবনা লে. জেনারেল (অব.) আবুল হোসেন

খবরটি শেয়ার করুন